জুমবাংলা ডেস্ক : প্রবাসী আয় করমুক্ত হলেও বাড়ি নির্মাণ বা যে কোনো খাতে ব্যয়-বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দেখাতে হয় টাকার উৎস। তখনই প্রয়োজন পড়ে রেমিট্যান্স সার্টিফিকেটের। আর এই সনদ দিতেই দেশের বিভিন্ন ব্যাংক গড়িমসি করছে বলে অভিযোগ প্রবাসী ও তাদের স্বজনদের। অথচ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই সনদ দিতে বাধ্য ব্যাংকগুলো। তবে অভিযোগের সত্যতা মিললে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
দেশের অর্থনীতি ও রিজার্ভের অন্যতম ভিত রেমিট্যান্স। এই আয়ের বিপরীতে প্রবাসী বা তাদের পরিবারকে দেশে কোনো আয়কর দিতে হয় না। তবে বাড়িঘর নির্মাণ থেকে শুরু করে প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ খরচ করতে গেলে দেখাতে হয় আয়ের উৎস। তখনই দরকার হয় রেমিট্যান্স সনদ বা সার্টিফিকেটের। অভিযোগ আছে, এই সনদ দিতে গড়িমসি করছে দেশের বিভিন্ন ব্যাংক।
প্রবাসীরা জানান, ব্যাংকে রেমিট্যান্স সার্টিফিকেট আনতে গেলে সার্টিফিকেট দেয়ার বদলে বিভিন্ন অজুহাত দেখায় ব্যাংকগুলো। এতে প্রয়োজনীয় কাজ করতে ঝামেলায় পড়তে হচ্ছে।
ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের যে ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে প্রবাসী আয়ের অর্থ জমা হবে সেই ব্যাংক সনদ দিতে বাধ্য। এক্ষেত্রে যে দেশ থেকে রেমিট্যান্স পাঠানো হচ্ছে সেই দেশের এক্সচেঞ্জ হাউজ বা ব্যাংক থেকে কোনো সনদের প্রয়োজন পড়ে না।
ব্র্যাক ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক মাঈনউদ্দিন বলেন,
যে ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে প্রবাসী আয়ের অর্থ জমা হবে সেই ব্যাংকেই সনদ দিতে হবে। এখানে গড়িমসি করার কোনো সুযোগ নেই। এ বিষয়ে কঠোর হতে হবে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে।
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামি ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোহম্মদ আব্দুল মান্নান বলেন, এই সমস্যা সমাধানে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে কঠোর নির্দেশনা জারি করতে হবে। যাতে করে কোনো গ্রাহককে ব্যাংকে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে না হয়।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, রেমিট্যান্স সংক্রান্ত ইস্যুতে প্রবাসীরা যেন কোনো ধরনের বিড়ম্বনায় না পড়ে সেই ব্যবস্থা বাংলাদেশ ব্যাংককে নিশ্চিত করতে হবে। অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. আবু ইউসুফ বলেন,
রেমিট্যান্স সার্টিফিকেট একজন প্রবাসীর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটির মাধ্যমে বাড়ি-গাড়ি করা থেকে শুরু করে সবক্ষেত্রে সুবিধা পেতে পারে। তাই প্রবাসী ও তাদের স্বজনরা যাতে বিড়ম্বনায় না পড়ে সেই ব্যবস্থা কেন্দ্রীয় ব্যাংককে নিশ্চিত করতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হুঁশিয়ারি, প্রবাসী ও তাদের স্বজনদের প্রয়োজন মতো রেমিট্যান্স সনদ দিতে গড়িমসি করার প্রমাণ পেলেই নেয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা বলেন,
সার্টিফিকেট একান্তই প্রয়োজন হলে ব্যাংককে অবশ্যই সেটি দিতে হবে। এক্ষেত্রে ব্যাংকের কোনো আইনি জটিলতা নেই। কোনো ব্যাংক গড়িমসি করলে নেয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা।
কোনো ব্যাংক যদি রেমিট্যান্স সার্টিফিকেট দিতে গড়িমসি করে তাহলে নিজেদের হটলাইন নম্বর ১৬২৩৬-এ অভিযোগ করারও পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।