Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home রোজ ব্যায়ামে কি কি লাভ: সুস্থ দীর্ঘ জীবনের চাবিকাঠি
    লাইফস্টাইল ডেস্ক
    লাইফস্টাইল

    রোজ ব্যায়ামে কি কি লাভ: সুস্থ দীর্ঘ জীবনের চাবিকাঠি

    লাইফস্টাইল ডেস্কMd EliasJuly 31, 202513 Mins Read
    Advertisement

    সকালবেলা। ঘুম ভাঙলেই মনে হল, শরীরটা যেন সিসেমোলের ড্রামের মতো ভারী। চেয়ারে বসে অফিসের কাজ করতে গেলেই পিঠে ব্যথার ছুরি বিঁধছে। সিঁড়ি ভাঙতে গেলেই হাঁপিয়ে উঠছেন? অথবা রাতে বিছানায় শুয়ে শুয়ে দুশ্চিন্তা আপনাকে কুরে কুরে খাচ্ছে? যদি এই পরিচিত দৃশ্যগুলো আপনার জীবনের অংশ হয়ে থাকে, তাহলে জেনে রাখুন, সমাধানটা আপনার হাতের নাগালেই আছে – আপনার দরকার শুধু নিয়মিত রোজ ব্যায়াম। এটা কোনো জাদুর কাঠি নয়, বিজ্ঞানসম্মত সত্য। প্রতিদিনের এই ছোট্ট অভ্যাসটিই আপনার শরীর-মনকে পাল্টে দিতে পারে, দিতে পারে সুস্থ, প্রাণবন্ত ও দীর্ঘ জীবনের নিশ্চয়তা। রোজ ব্যায়াম শুধু ক্যালরি পোড়ানো নয়; এটি আপনার দেহের প্রতিটি কোষকে সতেজ করে, মস্তিষ্ককে সচল রাখে, মনকে প্রফুল্ল করে এবং রোগের বিরুদ্ধে এক অদৃশ্য প্রাচীর গড়ে তোলে। চলুন জেনে নিই, কিভাবে প্রতিদিনের এই ছোট্ট প্রচেষ্টা আপনার জীবনে বড়সড় ইতিবাচক পরিবর্তন এনে দিতে পারে।

    রোজ ব্যায়ামে কি কি লাভ

    রোজ ব্যায়ামের শারীরিক সুবিধা: শরীরকে ভেতর থেকে শক্তিশালী করা

    রোজ ব্যায়াম করলে আপনার শরীর যেভাবে লাভবান হয়, তা সত্যিই বিস্ময়কর। এটি কোনো একটি অঙ্গের নয়, সমগ্র দেহযন্ত্রের উপর গভীর ও ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।

    1. হৃদযন্ত্রের সুরক্ষা ও শক্তিবৃদ্ধি: নিয়মিত ব্যায়াম হৃৎপিণ্ডকে একটি শক্তিশালী পাম্পে পরিণত করে। এটি হৃদস্পন্দন কমাতে সাহায্য করে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং রক্তনালিগুলোকে প্রসারিত ও নমনীয় রাখে। ফলে হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি ব্যাপক হারে কমে যায়। জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, ঢাকা (NICVD) এর গবেষণা অনুসারে, যারা সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট মাঝারি মাত্রার এ্যারোবিক ব্যায়াম (দ্রুত হাঁটা, সাইকেল চালানো, সাঁতার) করেন, তাদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অলস ব্যক্তিদের তুলনায় প্রায় ৪০% কম। ব্যায়াম রক্তে উপকারী কোলেস্টেরল (HDL) এর মাত্রা বাড়ায় এবং ক্ষতিকর কোলেস্টেরল (LDL) ও ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমায়।

    2. ওজন নিয়ন্ত্রণ ও বিপাকক্রিয়া উন্নত করা: রোজ ব্যায়াম ক্যালরি পোড়ানোর সবচেয়ে কার্যকর উপায়। এটি শুধু ব্যায়ামের সময়ই নয়, ব্যায়ামের পরেও আপনার বিপাকক্রিয়াকে গতিশীল রাখে (EPOC – Excess Post-exercise Oxygen Consumption), ফলে আরও বেশি ক্যালরি পোড়ে। নিয়মিত ব্যায়াম পেশি গঠনে সাহায্য করে, এবং পেশি কোষগুলি চর্বি কোষের চেয়ে বেশি ক্যালরি পোড়ায়, এমনকি বিশ্রামের সময়েও। ফলে স্থূলতা, টাইপ-২ ডায়াবেটিস এবং বিপাকজনিত নানা সমস্যা প্রতিরোধে এটি অত্যন্ত কার্যকর। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) স্থূলতা ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত শারীরিক সক্রিয়তাকে অন্যতম প্রধান হাতিয়ার হিসেবে উল্লেখ করেছে।

    3. হাড় ও পেশির শক্তি বৃদ্ধি: বয়স বাড়ার সাথে সাথে হাড়ের ঘনত্ব কমে যাওয়া (অস্টিওপোরোসিস) এবং পেশি শক্তি হ্রাস (সারকোপেনিয়া) বড় সমস্যা। ওজন বহনকারী ব্যায়াম (হাঁটা, দৌড়ানো, নাচ, ওজন তোলা) হাড়ের ঘনত্ব বাড়াতে এবং হাড়কে শক্তিশালী রাখতে সাহায্য করে। একইভাবে, পেশি শক্তিশালীকরণের ব্যায়াম (প্রতিরোধক প্রশিক্ষণ) পেশির ভর ও শক্তি ধরে রাখে, যা দৈনন্দিন কাজকর্ম, ভারসাম্য রক্ষা এবং বয়সকালে স্বাধীনতা বজায় রাখার জন্য অপরিহার্য। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিওথেরাপি বিভাগের গবেষণায় দেখা গেছে, সপ্তাহে মাত্র ২ বার প্রতিরোধক ব্যায়াম করলেও মধ্যবয়সী ও বয়স্ক ব্যক্তিদের পেশি শক্তি এবং ভারসাম্যে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়।

    4. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উল্লেখযোগ্য উন্নতি: রোজ ব্যায়াম আপনার ইমিউন সিস্টেমকে সতর্ক ও সক্রিয় রাখে। এটি শ্বেত রক্তকণিকার চলাচল বাড়ায়, যা জীবাণু শনাক্তকরণ ও ধ্বংসে সাহায্য করে। মাঝারি মাত্রার নিয়মিত ব্যায়াম সাধারণ সর্দি-কাশি থেকে শুরু করে কিছু ক্যান্সার (যেমন কোলন, ব্রেস্ট) এবং দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহজনিত রোগের (যেমন আর্থ্রাইটিস) ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। তবে মনে রাখবেন, অত্যধিক কঠোর ব্যায়াম অস্থায়ীভাবে ইমিউন সিস্টেমকে দুর্বল করে দিতে পারে, তাই ভারসাম্য বজায় রাখা জরুরি।

    5. শক্তি বৃদ্ধি ও দৈনন্দিন কাজে সহজলভ্যতা: প্রথম দিকে ব্যায়াম করলে ক্লান্ত লাগলেও, দীর্ঘমেয়াদে রোজ ব্যায়াম আপনার সামগ্রিক শক্তি স্তরকে উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়ে তোলে। এটি আপনার হৃদযন্ত্র ও ফুসফুসকে দক্ষ করে তোলে, যার ফলে দৈনন্দিন কাজকর্ম (বাজারে যাওয়া, সিঁড়ি ভাঙা, বাচ্চাদের সাথে খেলা) করতে অনেক কম ক্লান্তি লাগে এবং অনেক বেশি শক্তি অনুভব করেন। আপনার শরীর হয়ে ওঠে আরও দক্ষ ও কর্মক্ষম একটি যন্ত্র।

    মন ও মস্তিষ্কের উপর রোজ ব্যায়ামের আশ্চর্য প্রভাব

    রোজ ব্যায়ামের উপকারিতা শুধু শরীরেই সীমাবদ্ধ নয়; এর প্রভাব মস্তিষ্কের গভীরে এবং আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর অপরিসীম।

    1. মানসিক চাপ, উদ্বেগ ও হতাশা কমানো: ব্যায়াম করলে শরীর প্রাকৃতিকভাবে এন্ডোরফিন নামক রাসায়নিক নিঃসরণ করে। এন্ডোরফিনকে প্রায়শই “ফিল-গুড” হরমোন বলা হয়, যা মেজাজ উন্নত করে, ব্যথা কমায় এবং এক ধরণের প্রাকৃতিক ইউফোরিয়া তৈরি করে। এটি কর্টিসল (স্ট্রেস হরমোন) এর মাত্রা কমাতেও সাহায্য করে। ফলে নিয়মিত ব্যায়াম উদ্বেগ, দুশ্চিন্তা এবং হালকা থেকে মাঝারি মাত্রার হতাশার লক্ষণগুলিকে কার্যকরভাবে কমাতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে, এটি ওষুধের কার্যকর বিকল্প বা সহায়ক হতে পারে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (BSMMU) এর মনোরোগবিদ্যা বিভাগের গবেষণায় দেখা গেছে, হতাশার লক্ষণে ভুগছেন এমন রোগীদের জন্য ডাক্তারি চিকিৎসার পাশাপাশি নিয়মিত হাঁটার পরামর্শ দেওয়া হলে, তাদের উন্নতির হার উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি হয়।

    2. আত্মবিশ্বাস ও আত্মমর্যাদাবোধ বৃদ্ধি: নিজের জন্য কিছু করা, লক্ষ্য নির্ধারণ করা এবং তা অর্জন করা (যেমন একটু বেশি দূরত্ব হাঁটা, একটু বেশি ওজন তোলা) – এই ছোট ছোট সাফল্যগুলো আপনার আত্মবিশ্বাসকে চাঙ্গা করে। রোজ ব্যায়াম আপনাকে আপনার শরীরের উপর নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেতে সাহায্য করে। ওজন কমা, পেশি শক্ত হওয়া বা শুধুই ভালো বোধ করা – এই পরিবর্তনগুলো আপনার আত্মমর্যাদাবোধকে বাড়িয়ে তোলে। আপনি নিজের সম্পর্কে আরও ভালো অনুভব করেন।

    3. মস্তিষ্কের কার্যকারিতা ও স্মৃতিশক্তি উন্নত করা: ব্যায়াম মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, নতুন মস্তিষ্ক কোষ (নিউরন) জন্মাতে সাহায্য করে এবং হিপ্পোক্যাম্পাসের মতো গুরুত্বপূর্ণ মস্তিষ্ক অঞ্চলের আকার বাড়ায় – যা শেখা ও স্মৃতির জন্য দায়ী। এটি ব্রেইন-ডেরাইভড নিউরোট্রফিক ফ্যাক্টর (BDNF) নামক প্রোটিনের মাত্রা বাড়ায়, যা মস্তিষ্কের কোষগুলোর স্বাস্থ্য, বৃদ্ধি এবং টিকে থাকার জন্য অত্যাবশ্যক। ফলে নিয়মিত ব্যায়াম সৃজনশীলতা বাড়ায়, মনোযোগ ও ঘনত্ব বাড়ায়, শেখার ক্ষমতা বাড়ায় এবং বয়সজনিত স্মৃতিভ্রম (ডিমেনশিয়া, অ্যালঝেইমার্স) এর ঝুঁকি কমায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নায়ুবিজ্ঞান বিভাগের গবেষকরা উল্লেখ করেন, যে বয়স্ক ব্যক্তিরা নিয়মিত শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকেন, তাদের জ্ঞানীয় দক্ষতা হ্রাসের হার অলস ব্যক্তিদের তুলনায় অনেক ধীর।

    4. ঘুমের গুণগত মানের উন্নয়ন: রোজ ব্যায়াম আপনাকে গভীর ও আরামদায়ক ঘুম পেতে সাহায্য করে। শারীরিক শ্রম ঘুমের চক্রকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং ঘুমিয়ে পড়তে সাহায্য করে। তবে, ঘুমানোর ঠিক আগে খুব জোরালো ব্যায়াম করলে তা ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে, তাই ঘুমানোর কমপক্ষে ২-৩ ঘন্টা আগে ব্যায়াম শেষ করে ফেলা ভালো। ভালো ঘুম আবার শরীরের মেরামত, হরমোন নিয়ন্ত্রণ এবং পরের দিনের শক্তির জোগান দেয় – এটি একটি চমৎকার চক্র তৈরি করে।

    দীর্ঘায়ু ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে রোজ ব্যায়ামের অবদান

    রোজ ব্যায়াম কেবল আজকের সুস্থতাই নিশ্চিত করে না, এটি ভবিষ্যতের জন্য একটি শক্তিশালী বিনিয়োগ – দীর্ঘ ও স্বাস্থ্যকর জীবনের নিশ্চয়তা।

    1. দীর্ঘায়ুর সম্ভাবনা বৃদ্ধি: অসংখ্য বৈজ্ঞানিক গবেষণা একবাক্যে প্রমাণ করেছে যে, যারা শারীরিকভাবে সক্রিয়, তাদের অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি অলস ব্যক্তিদের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এর মতে, শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর চতুর্থ প্রধান ঝুঁকির কারণ। নিয়মিত ব্যায়াম হৃদরোগ, স্ট্রোক, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার এবং অন্যান্য দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমিয়ে গড় আয়ু বাড়াতে সাহায্য করে। একটি বিখ্যাত গবেষণা (হাভার্ড অ্যালামনাই স্টাডি) দীর্ঘদিন ধরে দেখিয়েছে যে, যারা নিয়মিত ব্যায়াম করেন (যেমন সপ্তাহে ৩,৫০০ ক্যালরি পোড়ানো, যা দৈনিক প্রায় ১ ঘন্টা দ্রুত হাঁটার সমান), তাদের মৃত্যুর ঝুঁকি যারা ব্যায়াম করেন না তাদের তুলনায় প্রায় ২০-৩৫% কম।

    2. স্বাস্থ্যকর বার্ধক্য (Healthy Aging): রোজ ব্যায়াম শুধু বছর সংখ্যা বাড়ায় না, বাড়ায় জীবনের গুণগত মানও। এটি বয়সজনিত বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক দুর্বলতাকে দূরে রাখতে সাহায্য করে:

      • সচলতা ও স্বাধীনতা রক্ষা: শক্তিশালী পেশি ও হাড়, ভালো ভারসাম্য এবং সহনশীলতা বজায় রাখে, ফলে বয়সে চলাফেরায় স্বাধীনতা বজায় থাকে, পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি কমে।
      • জ্ঞানীয় ক্ষমতা সংরক্ষণ: মস্তিষ্ককে সক্রিয় রাখে, স্মৃতিশক্তি ও চিন্তাশক্তির দ্রুত হ্রাস রোধ করে।
      • দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি হ্রাস: ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, হৃদরোগের মতো রোগের প্রকোপ কমায় বা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
      • সামাজিক সংযোগ: অনেক সময় ব্যায়াম সামাজিক ক্রিয়াকলাপের সুযোগ করে দেয় (গ্রুপ এক্সারসাইজ, ওয়াকিং ক্লাব), যা বয়সে একাকিত্ব দূর করে মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
    3. জীবনের প্রতি উৎসাহ ও প্রাণবন্ততা বৃদ্ধি: যারা রোজ ব্যায়াম করেন, তারা সাধারণত জীবনের প্রতি বেশি উৎসাহী ও প্রাণবন্ত বোধ করেন। শারীরিক শক্তি ও সক্ষমতা বৃদ্ধি, মানসিক চাপ মুক্তি এবং আত্মবিশ্বাসের উন্নতি একত্রিত হয়ে জীবনকে আরও উপভোগ্য, অর্থপূর্ণ এবং আনন্দময় করে তোলে। প্রতিদিনের ছোট্ট এই জয় (ব্যায়াম শেষ করা) আপনাকে জীবনের বড় চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলার শক্তি জোগায়।

    রোজ ব্যায়াম শুরু করার জন্য ব্যবহারিক পরামর্শ: আপনার যাত্রা শুরু হোক আজই

    “রোজ ব্যায়াম” বলতে কী বুঝায়? এর মানে কি প্রতিদিন ম্যারাথন দৌড়ানো বা জিমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটানো? একদমই না! শুরুটা হতে হবে আপনার বর্তমান অবস্থা, সুবিধা এবং আগ্রহের কথা মাথায় রেখে।

    1. ছোট্ট করে শুরু করুন, ধারাবাহিকতা বজায় রাখুন: এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কৌশল। প্রতিদিন ২ ঘন্টা ব্যায়ামের অসম্ভব লক্ষ্য ধরে না রেখে, ছোট্ট ও বাস্তবসম্মত লক্ষ্য রাখুন। শুরু করুন মাত্র ১০-১৫ মিনিট দিয়ে। হতে পারে সকালে বা সন্ধ্যায় দ্রুত হাঁটা, কিছু সহজ স্ট্রেচিং, বা বাসায় বসে করা যায় এমন কিছু বডিওয়েট এক্সারসাইজ (স্কোয়াট, লাঞ্জ, পুশ-আপ – দেয়ালে হেলান দিয়ে শুরু করা যায়)। মূল বিষয় হল প্রতিদিন করা, তা সামান্য হলেও। ধারাবাহিকতা সাফল্যের চাবিকাঠি। এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন ১৫ মিনিট করতে পারলে, পরের সপ্তাহে ২০ মিনিটে যান।

    2. আপনার পছন্দের ব্যায়াম খুঁজে বের করুন: ব্যায়াম যদি আনন্দদায়ক না হয়, তবে তা চালিয়ে যাওয়া কঠিন। আপনি কী পছন্দ করেন?

      • প্রকৃতির সান্নিধ্য পছন্দ? তাহলে পার্কে বা খোলা জায়গায় হাঁটা/দৌড়ানো বা সাইকেল চালানোর চেষ্টা করুন।
      • সঙ্গ পছন্দ? জয়েন করুন কোনো ওয়াকিং গ্রুপ, ডান্স ক্লাস, যোগা ক্লাস বা জিম।
      • ঘরে একা একা করতে চান? ইউটিউবে অনুসরণ করুন এমন এক্সারসাইজ ভিডিও যা আপনার পছন্দ (যোগা, পিলাটেস, এইচআইআইটি, স্ট্রেথেনিং)।
      • খেলাধুলা পছন্দ? ক্রিকেট, ফুটবল, ব্যাডমিন্টন, ভলিবল খেলুন বন্ধুদের সাথে।
      • সাঁতার কাটতে পারেন? এটি একটি চমৎকার পুরো শরীরের ব্যায়াম।
    3. একটি ভারসাম্যপূর্ণ রুটিন তৈরি করুন: আদর্শভাবে, আপনার সাপ্তাহিক রুটিনে নিম্নলিখিতগুলির মিশ্রণ থাকা উচিত:

      • এ্যারোবিক এক্সারসাইজ (কার্ডিও): হৃদস্পন্দন বাড়ায়, সহনশীলতা বাড়ায়। যেমন: দ্রুত হাঁটা, দৌড়ানো, সাইকেল চালানো, সাঁতার, নাচ, স্কিপিং। লক্ষ্য: সপ্তাহে কমপক্ষে ১৫০ মিনিট মাঝারি মাত্রার (যেখানে কথা বলতে গেলে একটু হাঁপ ধরে কিন্তু গান গাওয়া যায় না) বা ৭৫ মিনিট জোরালো মাত্রার (যেখানে কয়েক শব্দের বেশি বলা কঠিন) কার্ডিও।
      • পেশি শক্তিশালীকরণ (স্ট্রেথেনিং/রেজিস্টেন্স): পেশির ভর ও শক্তি বাড়ায়, হাড় শক্ত করে, বিপাক বাড়ায়। যেমন: ফ্রি ওয়েট (ডাম্বেল, বারবেল), রেজিস্টেন্স ব্যান্ড, বডিওয়েট এক্সারসাইজ (পুশ-আপ, স্কোয়াট, লাঞ্জ, প্ল্যাঙ্ক), যন্ত্র ব্যবহার করে ওজন তোলা। লক্ষ্য: সপ্তাহে কমপক্ষে ২ দিন প্রধান প্রধান পেশি গ্রুপগুলির (পা, নিতম্ব, পিঠ, বুক, পেট, কাঁধ, বাহু) জন্য ব্যায়াম করা।
      • নমনীয়তা ও ভারসাম্য: জয়েন্টের গতিশীলতা বাড়ায়, পেশিকে টানটান করে, পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি কমায়। যেমন: যোগব্যায়াম, স্ট্রেচিং, তাই চি, পিলাটেস। লক্ষ্য: প্রায় প্রতিদিন, বিশেষ করে ব্যায়ামের পরে স্ট্রেচিং করা উচিত। ভারসাম্যের জন্য সপ্তাহে ২-৩ দিন আলাদাভাবে সময় দেওয়া ভালো (যেমন এক পায়ে দাঁড়ানো)।
    4. প্রতিদিনের জীবনের সাথে ব্যায়ামকে একীভূত করুন (Active Lifestyle): রোজ ব্যায়াম মানে শুধু জিমে যাওয়া নয়। আপনার পুরো দিনটাকেই একটু বেশি সক্রিয় করে তুলুন:

      • লিফটের বদলে সিঁড়ি ব্যবহার করুন।
      • অফিসে বা বাসায় ফোনে কথা বলার সময় হাঁটুন।
      • কাছাকাছি দোকানে হেঁটে যান, গাড়ি/রিকশা নেবেন না।
      • টিভি দেখার সময় বিজ্ঞাপনের বিরতিতে উঠে দাঁড়ান, হাঁটুন বা কিছু স্ট্রেচিং করুন।
      • বাচ্চাদের সাথে পার্কে গিয়ে সক্রিয়ভাবে খেলুন।
      • বাগান করুন।
    5. শ্রবণ করুন আপনার শরীরের সংকেত: খুব জোরালো ব্যথা (বিশেষ করে জয়েন্টে বা পেশিতে তীব্র ব্যথা) হচ্ছে? খুব ক্লান্ত? অসুস্থ বোধ করছেন? তাহলে একদিন বিশ্রাম নিন। বিশ্রামও প্রশিক্ষণের অংশ। অতিরিক্ত প্রশিক্ষণ (ওভারট্রেনিং) আঘাত ও ক্লান্তির কারণ হতে পারে। আস্তে আস্তে বাড়ানোর নীতিতে থাকুন (প্রগ্রেসিভ ওভারলোড)।

    6. পানিশূন্যতা রোধ করুন ও পুষ্টিকর খাবার খান: ব্যায়ামের আগে, সময়ে ও পরে পর্যাপ্ত পানি পান করুন। ব্যায়ামের জন্য শক্তি জোগাতে এবং পরে শরীর মেরামত করতে স্বাস্থ্যকর, সুষম খাবার খান। প্রোটিন (ডাল, মাছ, মুরগি, ডিম, দুধ), জটিল শর্করা (ভাত, রুটি – পরিমিত, ওটস, ফল), স্বাস্থ্যকর চর্বি (বাদাম, বীজ, অ্যাভোকাডো, জলপাইয়ের তেল) এবং প্রচুর শাকসবজি খাওয়ার উপর জোর দিন।

    সতর্কতা: যদি আপনার কোনো পূর্ব-বিদ্যমান স্বাস্থ্য সমস্যা থাকে (হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, ইত্যাদি), নতুন করে রোজ ব্যায়াম শুরু করার আগে অবশ্যই আপনার ডাক্তারের পরামর্শ নিন। তিনি আপনার জন্য উপযুক্ত ব্যায়ামের ধরন ও তীব্রতা নির্ধারণ করে দিতে পারবেন।

    বাস্তব জীবনের গল্প: ফারহা আপার কথা
    ফারহা আপা, একজন ৫২ বছর বয়সী স্কুল শিক্ষিকা। ব্যস্ততা আর অলসতার কারণে কয়েক বছর ধরে ওজন বেড়েই চলছিল, হাঁপ ধরে যেত সামান্য হাঁটলেই, রাতে ঠিকমত ঘুম হতো না, আর সারা দিন ক্লান্তি ভর করত। ডাক্তার বললেন প্রি-ডায়াবেটিসের লক্ষণ। তখনই তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন। শুরু করলেন প্রতিদিন সকালে মাত্র ২০ মিনিট পার্কে হাঁটা। প্রথম দিকে কষ্ট হলেও তিনি লেগে থাকলেন। ধীরে ধীরে সময় বাড়ালেন, যোগ করলেন সপ্তাহে দু’দিন কিছু সহজ স্ট্রেচিং আর পিলাটেস। ছয় মাস পর ফলটা অবিশ্বাস্য! ৮ কেজি ওজন কমেছে, ডায়াবেটিসের ঝুঁকি প্রায় উধাও, সিঁড়ি ভাঙতে আর হাঁপ ধরে না, রাতে ঘুম আসে সহজে, আর ক্লান্তি? সেটা এখন অতীত। ফারহা আপা বলেন, “রোজ ব্যায়াম আমার জীবন বদলে দিয়েছে। এটা এখন আমার দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অ্যাপয়েন্টমেন্ট, নিজের সাথে!”


    জেনে রাখুন (FAQs)

    1. প্রশ্ন: প্রতিদিন কতক্ষণ ব্যায়াম করা উচিত?
      উত্তর: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) সুপারিশ অনুযায়ী, প্রাপ্তবয়স্কদের সপ্তাহে কমপক্ষে ১৫০-৩০০ মিনিট মাঝারি মাত্রার এ্যারোবিক ব্যায়াম (যেমন দ্রুত হাঁটা) বা ৭৫-১৫০ মিনিট জোরালো মাত্রার এ্যারোবিক ব্যায়াম (যেমন দৌড়ানো) করা উচিত। এর পাশাপাশি সপ্তাহে ২ দিন বা তার বেশি দিন প্রধান প্রধান পেশি গ্রুপগুলোর জন্য শক্তি বাড়ানোর ব্যায়াম করা উচিত। শুরুতে কম সময় দিয়ে (১০-১৫ মিনিট/দিন) ধীরে ধীরে সময় বাড়ানো ভালো। প্রতিদিন হালকা থেকে মাঝারি কিছু করা আদর্শ, তবে একদিন বিশ্রামও দরকার।

    2. প্রশ্ন: সকালে না বিকালে ব্যায়াম করা ভালো?
      উত্তর: যেটা আপনার জন্য সুবিধাজনক এবং যা আপনি ধারাবাহিকভাবে করতে পারবেন সেটাই সবচেয়ে ভালো সময়। সকালের ব্যায়াম দিন শুরু করতে এনার্জি দিতে পারে, বিপাক বাড়াতে পারে এবং নিশ্চিত করে যে অন্য কাজের ভিড়ে ব্যায়াম বাদ পড়বে না। বিকাল/সন্ধ্যার ব্যায়াম দিনের চাপ কমাতে সাহায্য করে। তবে ঘুমানোর খুব কাছাকাছি সময়ে (২-৩ ঘন্টার মধ্যে) খুব জোরালো ব্যায়াম করলে তা ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।

    3. প্রশ্ন: বাসায় কোন কোন সহজ ব্যায়াম করা যায়?
      উত্তর: বাড়িতেই অনেক কার্যকর ব্যায়াম করা সম্ভব, কোনো যন্ত্রপাতি ছাড়াই:

      • কার্ডিওর জন্য: জাম্পিং জ্যাক, স্পট জগিং (স্থির দৌড়ানো), হাই নী নাই, বাট কিকার্স, মাউন্টেন ক্লাইম্বার।
      • পেশি শক্তিশালীকরণের জন্য:
        • স্কোয়াট (পা, নিতম্ব)
        • পুশ-আপ (বুক, কাঁধ, বাহু – দেয়ালে হেলান দিয়ে বা হাঁটু ভেঙে শুরু করা যায়)
        • লাঞ্জ (পা)
        • প্ল্যাঙ্ক (পেট, পিঠ – কনুই এবং পায়ের আঙুলের উপর ভর দিয়ে শরীর সোজা রাখা)
        • ট্রাইসেপ ডিপস (চেয়ার ব্যবহার করে, বাহুর পিছনের অংশ)
        • সুপারম্যান (পিঠের নিচের অংশ – পেটের উপর ভর দিয়ে হাত-পা একসাথে উপরে তোলা)
      • নমনীয়তা/ভারসাম্যের জন্য: বিভিন্ন ধরনের স্ট্রেচিং (হ্যামস্ট্রিং, কাফ, কাঁধ, বুক), যোগাসনের কিছু সহজ ভঙ্গি (শবাসন, ভুজঙ্গাসন, ত্রিকোণাসন), এক পায়ে দাঁড়ানো। ইউটিউবে ‘নো ইকুইপমেন্ট হোম ওয়ার্কআউট’ বা ‘বডিওয়েট এক্সারসাইজ’ সার্চ করুন।
    4. প্রশ্ন: ব্যায়ামের পর পেশিতে ব্যথা হলে কী করব?
      উত্তর: নতুন ব্যায়াম শুরু করলে বা তীব্রতা বাড়ালে পরের দিন বা দু’দিন পর পেশিতে ব্যথা (DOMS – Delayed Onset Muscle Soreness) হওয়া স্বাভাবিক। এতে ভয় পাবেন না। হালকা কার্ডিও (হাঁটা), হালকা স্ট্রেচিং, গরম সেঁক বা হালকা গরম পানিতে স্নান ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে। পর্যাপ্ত পানি পান করুন এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খান পেশি মেরামতের জন্য। ব্যথা খুব তীব্র হলে বা জয়েন্টে ব্যথা হলে বিশ্রাম নিন এবং পরের বার ব্যায়ামের তীব্রতা সামান্য কমিয়ে দিন। ব্যথা সাধারণত ২৪-৭২ ঘন্টার মধ্যে কমে যায়।

    5. প্রশ্ন: রোজ ব্যায়াম করলে কি বার্ধক্যজনিত সমস্যা কমবে?
      উত্তর: হ্যাঁ, একেবারেই। রোজ ব্যায়াম বার্ধক্যজনিত অনেক শারীরিক ও মানসিক সমস্যার ঝুঁকি কমাতে এবং তার গতিকে ধীর করতে অত্যন্ত কার্যকর:

      • অস্টিওপোরোসিস (হাড় ক্ষয়) রোধ করে।
      • সারকোপেনিয়া (পেশি ক্ষয়) প্রতিরোধ করে, শক্তি ও ভারসাম্য বজায় রাখে, পড়ে যাওয়া কমায়।
      • হৃদরোগ, স্ট্রোক, টাইপ-২ ডায়াবেটিস, কিছু ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
      • স্মৃতিশক্তি ও চিন্তাশক্তির হ্রাস রোধ করে, ডিমেনশিয়া/অ্যালঝেইমার্সের ঝুঁকি কমায়।
      • আর্থ্রাইটিসের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে, জয়েন্টের নমনীয়তা বাড়ায়।
      • মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে, বিষণ্ণতা ও উদ্বেগ কমায়।
      • সামগ্রিকভাবে স্বাধীনতা ও জীবনযাত্রার মান বজায় রাখে।

    সত্যিই কি আপনি আরও একদিন পিছিয়ে দেবেন? প্রতিটি সকাল যে আপনাকে রোজ ব্যায়ামের মাধ্যমে সুস্থতার দিকে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ দেয়, তা কি আপনি হাতছাড়া করবেন? ফারহা আপার মতো লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রতিদিন প্রমাণ করছেন যে, এই ছোট্ট অঙ্গীকারটিই জীবনে বড়সড় ইতিবাচক পরিবর্তনের সূচনা করতে পারে। এটি শুধু কয়েক কেজি ওজন কমানো নয়, শুধু ভালো দেখানো নয়; এটি আপনার শরীরকে ভেতর থেকে শক্তিশালী করা, আপনার মনকে উদ্বেগমুক্ত করা, আপনার মস্তিষ্ককে সতেজ রাখা এবং ভবিষ্যতের জন্য একটি দীর্ঘ, প্রাণবন্ত ও স্বাধীন জীবনের ভিত্তি তৈরি করা। রোজ ব্যায়াম আপনার হাতে থাকা সবচেয়ে শক্তিশালী ওষুধ, সবচেয়ে কার্যকর বিনিয়োগ। আজই সিদ্ধান্ত নিন। জুতোর ফিতা বাঁধুন, ম্যাটটা বিছান, বা শুধু উঠে দাঁড়ান। আপনার সুস্থ, দীর্ঘ ও প্রাণবন্ত জীবনের যাত্রা শুরু হোক এখনই।


    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    ‘লাভ কি চাবিকাঠি জীবনের দীর্ঘ ব্যায়ামে রোজ রোজ ব্যায়ামে কি কি লাভ লাইফস্টাইল সুস্থ
    Related Posts
    Dragon

    ড্রাগন ফলের যত উপকারিতা, জেনে নিন

    August 1, 2025

    সম্পর্ক ভালো রাখতে প্রতিদিন যে কথাগুলো বলা জরুরি

    August 1, 2025
    খাওয়ার আগে-পরে

    খাওয়ার আগে-পরে এই অভ্যাসগুলো শরীর সুস্থ রাখে

    August 1, 2025
    সর্বশেষ খবর
    Indian-Garments

    বাংলাদেশের শুল্ক কমানোর দিনই ভারতের পোশাক বাজারে শেয়ার ধস

    F-35 fighter jet

    যুক্তরাষ্ট্রের এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান কিনতে অস্বীকৃতি ভারতের

    Rani

    জাতীয় পুরস্কার পেয়ে বিশ্বের সব মা’কে উৎসর্গ করলেন রানি

    Tollywood

    ‘বিশ্ব স্তন্যপান সপ্তাহে’ কী বলছেন ছোট পর্দার নতুন মায়েরা?

    Pangash

    ২৫ কেজির পদ্মার পাঙাশ বিক্রি হলো সাড়ে ৫৭ হাজারে

    Malaysia

    শর্তসাপেক্ষে বাংলাদেশিদের জন্য আবারও উন্মুক্ত হচ্ছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার

    sarah jessica parker

    Sarah Jessica Parker Bids Emotional Farewell to Carrie Bradshaw as ‘Sex and the City’ Era Ends After 27 Years

    Pinaki

    বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানিয়ে পিনাকীর স্ট্যাটাস ভাইরাল

    AirPods touchscreen case

    Apple’s Revolutionary AirPods Touchscreen Case Patent Unveils Turntable Connectivity

    Brazil's Risky Venezuela-Trump Strategy: Precedent Concerns

    US Brazil Tariffs: Lula’s Defiance Risks Venezuela-Style Economic Collapse

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    • Feed
    • Banglanews
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.