বিজনেস ডেস্ক : রোজার আগেই অস্থিতিশীল রাজধানীর বাজার। দুই-একটি বাদে বেশিরভাগ সবজির দাম কেজিতে বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা। গরুর মাংসের দাম উঠেছে ৬০০ টাকা কেজিতে। ক্রেতাদের অভিযোগ, এবার রোজার আগেই দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন বিক্রেতারা। পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকার পরও পরিবহনে চাঁদাবাজির অজুহাতে দাম বাড়াচ্ছেন বিক্রেতারা।
পবিত্র রমজান মাসে নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে বাজার তদারকিসহ অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। তবে, এর তেমন প্রভাব পড়েনি বাজারে।
রাজধানীর কল্যাণপুর নতুন বাজারে গিয়ে দেখা গেল, প্রতি কেজি কাকরোল বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়, মরিচ ৬০ টাকা, শসা ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, টমেটো ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বেগুন মানভেদে ৫০ থেকে ৬০ টাকা এবং চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে। গেল সপ্তাহের চেয়ে এসব সবজির দাম ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। তবে কেজিতে ৫ টাকা কমে ঢেড়স বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়।
একজন ক্রেতা বলেন, মনিটরিং শুধু ঘরে বসে করলে তো হবে না, বাজারে এসে করতে হবে।
সবজির দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে পরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবি জানালেন বিক্রেতারা।
মাছের বাজারে পাবদা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৬০ টাকায়, চাপিলা ৬০০ টাকা, শিং আকারভেদে সাড়ে তিনশো থেকে ৫শ’ টাকা কেজি দরে। বাজারে দেখা মিলছে ইলিশ মাছের।
এদিকে সরকারের বেঁধে দেয়া দামে মাংস বিক্রি করছেন না অধিকাংশ বিক্রেতা। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকায়। খাসির মাংসের দাম উঠেছে কেজিতে ৮০০ টাকা।
একজন ক্রেতা বলেন, কোনো কোনো জায়গায় ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, এটা আসলে মনিটরিং করা দরকার।
দেশি মুরগী বিক্রি হচ্ছে ৪৮০ টাকা কেজি দরে। তবে ব্রয়লার মুরগী বিক্রি হচ্ছে ১৫৫-১৬০ টাকা কেজি দরে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।