ধর্ম ডেস্ক : আমাদের অনেকের কাছে রামাদান তাঁর আধ্যাত্মিকতা হারিয়ে ইবাদাতের বদলে একটি প্রথাগত অনুষ্ঠানের রূপ লাভ করেছে। আমরা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপোস থাকি শুধুমাত্র আমাদের আশেপাশের সবাই রোজা রাখে বলে। আমরা ভুলে যাই যে এই সময়টা আমাদের অন্তর ও আত্মাকে সকল প্রকার খারাপ কাজ থেকে পরিশুদ্ধ করার জন্য আমরা দু’আ করতে ভুলে যাই, ভুলে যাই আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে এবং জাহান্নামের আগুন থেকে আমাদেরকে মুক্তি দান করতে। নিশ্চিতভাবে আমরা পানাহার থেকে বিরত থাকি কিন্তু সেটা কেবল লৌকিকভাবেই!
এই রোজার কিছু শারীরিক উপকার রয়েছে। রয়েছে কিছু ভুল ধারণা। সেই সঙ্গে কিছু করণীয় ও বর্জণীয় বিষয়ও রয়েছে। আসুন সংক্ষেপে জেনে নেই-
রোজার শারীরিক উপকার
– আপনি সহজে বুড়ো হবেন না
– ওজন কমাতে পারবেন সহজে
– ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমবে
– কোলেস্টেরল কমায়
– ক্যান্সার ঝুঁকি কমায়
– স্ট্রেস কমায়
রোজার কয়েকটি ভুল ধারণা
– খাবারের কোন হিসাব নেই
– আলসার থাকলে রোজা রাখা যায় না
– ডায়াবেটিসের জন্যে ক্ষতিকর
– সেহরিতে বেশি খেতে হবে
– শরীরকে দুর্বল করে দেয়
– ইফতার আর সেহরি পার্টি
রমজানে করণীয়
– সবাইকে আগে সালাম দেয়া।
– কোরআন অর্থসহ পড়া, শোনা, পৌঁছে দেয়া।
– ধৈর্য ও সহনশীলতা।
– বেশি বেশি দান।
– প্রার্থনা।
রমজানে বর্জনীয়
– টিভি/মোবাইলের অতি ব্যবহার।
– ভাজাপোড়া ও ভুরিভোজ।
– গীবত, দুর্ব্যবহার, উত্তেজনা।
– অতিরিক্ত কেনাকাটা।
– ওজনে কম দেয়া, প্রতারণা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



