জুমবাংলা ডেস্ক : বেআইনীভাবে সরকারি নথিপত্রের ছবি তুলে সংবাদ সৃষ্টি করা অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা নয় বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। বুধবার নিজের ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে এ কথা বলেন তিনি।
পাঠকদের জন্য শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর স্ট্যাটাসটি হুবুহু তুলে ধরা হল-
‘তথ্য অধিকার আইনের প্রয়োগ না করে, ন্যুনতম সাক্ষাৎকার চেয়ে, তথ্য না চেয়ে, বেআইনীভাবে সরকারি নথিপত্রের ছবি তুলে সংবাদ সৃষ্টি করা অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা নয়। পরিকল্পিতভাবে চমক সৃষ্টি করা, বস্তুনিষ্ঠতা, নিরপেক্ষতা, সবই গৌন হয়ে যায় যখন বড়সড় মিড়িয়া হাউজের নাম সামনে আসে। অন্ধের মতো অনেকে মনে করে উনারা যাই বলবেন, তাই সত্য।’
‘বাস্তবতা হচ্ছে, বড় বড় অনেক প্রতিষ্ঠানের মালিক পক্ষের কর্ম অপকর্মের সংবাদ এরা অনেকেই ছাপান না বা দেখান না। এটি আসলে এক প্রকার অলিখিত সমঝোতা। সত্যিকারের জনস্বার্থ চাইলে, প্রভাবশালী কর্পোরেট স্বার্থকে কেনো ছাড় দেয়া হয়?’
‘আমরা চাই-সরকার প্রশাসন, রাজনৈতিক দলের অনিয়ম, দুর্নীতি, যেমনি স্বচ্ছতার প্রয়োজনে গণমাধ্যমের মাধ্যমে প্রকাশিত হবে, তেমনি গণমাধ্যমের মালিক পক্ষ কর্পোরেট গ্রুপ সমূহ, কর্তব্যরত সাংবাদিক ভাই বোন, এদেরও সবার জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠিত হবে। এরাও সর্বসাধারণের স্বার্থে প্রাতিষ্ঠানিক তথ্য প্রাপ্তি, কিভাবে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা যায় তা সাধারণের কাছে তুলে ধরবেন। আমরা জানি, দুর্নীতি বাংলাদেশে একটি বিশাল চ্যালেঞ্জ, এই চ্যালেঞ্জে গণমাধ্যমের একটি টেকসই ভূমিকা দরকার, শুধুই সেন্সেশন দিয়ে টেকশই ভুমিকা তৈরি হবে না।’
‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে নিয়ে বা বাংলাদেশ সরকারের যেকোনো প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে দেশের অনেকের অভিযোগ থাকতে পারে। আবার পাশাপাশি দেশের অনেক বৃহৎ বেসরকারি ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর মালিকানাধীন অনেক গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানকে নিয়েও জনগণের অনেক অভিযোগ আছে। কিন্তু আমরা তা প্রকাশিত হতে দেখি খুবই কম।’
আসলে পক্ষ বিপক্ষ নয়, পরিস্কার হোক মূল ঘটনা।
লেখক: উপমন্ত্রী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।