রোযাকে সামনে রেখে ভোগ্যপণ্যের আমদানি ৩৯ শতাংশ বৃদ্ধি

ভোগ্যপণ্যের আমদানি

সামনে আসছে রমজান মাস। রমজান মাসে যেন ভোগ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি না পায় ও বাজারে সরবরাহ থাকে সেজন্য পণ্যের আমদানি করা হচ্ছে বেশি করে। সব মিলিয়ে ৩৯ শতাংশ ভোগ্যপণ্যের আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে। চার মাসের রিপোর্ট এমন কথাই বলছে। সবথেকে বেশি আমদানি করা হয়েছে সয়াবিন তেল।

ভোগ্যপণ্যের আমদানি

যদিও বাজারে ৫ লিটার সয়াবিন তেলের সংকট চলছে। বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের সর্বশেষ রিপোর্টে এ ধরনের তথ্য প্রকাশ করেছে। আমদানি বৃদ্ধি পেলেও বাজার অস্থির অবস্থায় রয়েছে। প্রতি বছরের মতো এবারও নিত্য পণ্যের বাজার অস্থিতিশীল থাকবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাছাড়া কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়ানোর বিষয়টি তো আছেই।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঋণপত্র নিষ্পত্তির তথ্য অনুযায়ী, চার মাসে নয় ধরনের ভোগ্যপণ্য আমদানি হয়েছে ১৯ লাখ ১৯ হাজার ৪৫০ মেট্রিক টন। সবচেয়ে বেশি পাঁচ লাখ ৯৮ হাজার ২৫২ মেট্রিক টন সয়াবিন তেল আমদানি হয়েছে।

বেড়েছে চিনি আমদানিও, ৪ মাসে এসেছে ৪ লাখ ৫৪ হাজার ৩৪ মেট্রিক টন। যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ২০ ভাগ বেশি। ছোলা আমদানি হয়েছে ৯৭ হাজার ৫৫৫ মেট্রিক টন। ২৩ শতাংশ বেড়ে খেজুর আমদানি হয়েছে ১৪ হাজার ৪২০ মেট্রিক টন। ডাল জাতীয় পণ্য, পেঁয়াজ, আদা, রসুনের আমদানিও বেড়েছে ৩০ থেকে ৮৫ শতাংশ পর্যন্ত।

সরকারি তথ্যে রোজা সামনে রেখে নিত্যপণ্যের আমদানি পর্যাপ্ত বলা হলেও স্বস্তির লক্ষণ নেই বাজারে। এখনও অনেক পণ্যের অযৌক্তি দাম দেখছেন ক্রেতারা। ক্যাব বলছে, কারসাজি করে ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়ানো ব্যবসায়ীদের জন্য নিয়মিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। যা ঠেকাতে দেখা যায় না জোড়ালো কোনো পদক্ষেপ।

ক্যাবের সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসেন বলেন, ‘আমদানি করে পণ্যগুলো কোথায় যাচ্ছে সেটা দেখতে হবে। পণ্যগুলো কোনো জায়গায় মজুত হচ্ছে কিনা সেটা দেখতে হবে। পণ্যগুলো সারা দেশে ঠিক মতো পৌঁছাছে কিনা। সাপ্লাই লাইনে কেউ প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে কিনা এ বিষয়গুলো যদি নিশ্চিত হওয়া না যায় তাহলে আমদানি বেশিও হলেও এ বিষয়ে সমাধান তবে না।’ শুধু রোজা নয়, সারাবছর নিত্যপণ্যের বাজার স্বাভাবিক রাখতে নিয়মিত তদারকির আহ্বান বাজার বিশ্লেষকদের।