জুমবাংলা ডেস্ক : বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) ও বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরকান আর্মির মধ্যে চলমান সংঘাতের কারণে উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরগুলোয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
রোহিঙ্গা শিবিরে যেন এর কোনো প্রভাব না পড়ে সেদিকে লক্ষ্য রেখেই এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশে হামলায় গুরুতর আহত পুলিশ সদস্য রাজ্জাককে দেখতে এসে এ কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) আবদুল্লাহ আল-মামুন।
তিনি বলেন, সীমান্তে বর্তমান পরিস্থিতির ঘটনায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে নিরাপত্তা বাড়িয়েছে পুলিশ।
আইজিপি বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরের সংঘাতকে কেন্দ্র করে সীমান্তবর্তী অঞ্চলের নিরাপত্তা নিয়ে বিচলিত হওয়ার কারণ নেই। সীমান্তের অস্থিরতা নিরসনে সরকারের আদেশ পালন করে যাবে পুলিশ। অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ রাখতে পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সীমান্ত দিয়ে যারা পালিয়ে আসছে, তাদের নিরাপত্তায় সহযোগিতা করছে সরকার।
গত কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়ন, কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়ন ও টেকনাফ উপজেলার হোয়াংক্যং, হ্নীলা ইউনিয়নে মিয়ানমার বিজিপি ও আরকান আর্মির মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ চলছে।
এ সংঘর্ষ গত শনিবার থেকে মারাত্মক আকার ধারণ করে। এ পর্যন্ত মিয়ানমারের বিজিপির ২২৯ জন সদস্য আরকান আর্মির সঙ্গে টিকে থাকতে না পেরে বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ করে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড সদস্যদের কাছে আশ্রয় গ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে ১৫ জন সদস্য গুরুতর আহত হওয়ায় কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে তাদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।