
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করেছেন ভ্যাটিকানের উন্নয়ন মন্ত্রী কার্ডিনাল মাইকেল ফেলিক্স জার্নি।
সোমবার সফরের মিডিয়া সাব-কমিটির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কার্ডিনাল জার্নি চলমান মানবিক প্রচেষ্টা প্রত্যক্ষ করেন এবং বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন। তিনি রোহিঙ্গা সংকটের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে পোপ চতুর্দশ লিওর সঙ্গে সরাসরি মতবিনিময় ও সহযোগিতার আশ্বাস দেন, যাতে ভবিষ্যতে এই মানবিক সংকট সমাধানে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া যায়।
কার্ডিনালের সঙ্গে ছিলেন তার সেক্রেটারি ফাদার জোসেফ সাভারিমাথু, এশিয়া মেইনল্যান্ডের আঞ্চলিক সমন্বয়ক ফ্রান্সেসকা ডোনা, বাংলাদেশে নিযুক্ত অ্যাপোস্টলিক নুনসিও আর্চবিশপ কেভিন স্টুয়ার্ট র্যান্ডাল, চট্টগ্রামের আর্চবিশপ লরেন্স সুব্রত হাওলাদার, এবং ন্যায় ও শান্তির জন্য বিশপের কমিশনের চেয়ারম্যান বিশপ জার্ভাস রোজারিও।
এছাড়া কমিশনের সম্পাদক ফাদার লিটন গোমেজ ও জরুরি সাড়াদান কর্মসূচির নির্বাহী পরিচালক দাউদ জীবন দাসসহ অন্যান্য জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানান।
পরিদর্শনকালে প্রতিনিধি দল রোহিঙ্গা পরিবারগুলোর সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন এবং কারিতাস বাংলাদেশের বাস্তবায়িত মানবিক কার্যক্রম ঘুরে দেখেন। তারা সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় ক্যাম্প-৪ ও ক্যাম্প-৪ এক্সটেনশনের এমসিএসি কেন্দ্র, ওয়াশ (স্বাস্থ্যবিধি) প্রদর্শনী, কমিউনিটি পরামর্শ সভা, এবং ক্যাম্প ১৯-এর আশ্রয় (শেল্টার) কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
সেখানে কার্ডিনাল জার্নি ব্যক্তিগতভাবে শরণার্থী পরিবারগুলোর মধ্যে আশ্রয় কার্যক্রমের উন্নত পণ্য বিতরণ করেন। এ ছাড়া, কমিউনিটি নেতাদের সঙ্গে পরামর্শ করেন এবং সম্মানজনক প্রত্যাবাসনের জন্য প্রার্থনায় অংশ নেন।
পরিদর্শন সম্পর্কে বলতে গিয়ে কার্ডিনাল জার্নি বলেন, শিবিরে আমার অভিজ্ঞতা দেখায় যে, মানুষ তাদের দৈনন্দিন জীবনে অনেক গুরুতর চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছেন। তাদের বাড়ি ফিরে যাওয়ার গভীর আকাঙ্ক্ষা রয়েছে। কারিতাস যে বিভিন্ন কার্যক্রম স্পন্সর করছে, তাতে আমি খুব খুশি। কারণ, তারা ক্রমাগত মানুষকে সমর্থন করে চলেছে। তাদের একটি আশাবাদী ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করছে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও ধর্মভিত্তিক সংস্থাগুলোর উদ্দেশে তিনি বলেন, অর্থায়ন হ্রাস ও বিশ্বের কম মনোযোগের কারণে পরিস্থিতি খুবই কঠিন। বিশ্বের কম নয়, আরও বেশি সংহতি দেখানো উচিত। কার্ডিনাল জার্নি বলেন, ‘আমি রোহিঙ্গা জনগণের সঙ্গে এখানে থাকতে পেরে এবং তাদের শক্তি ও স্থিতিস্থাপকতা প্রত্যক্ষ করতে পেরে খুব খুশি। আমি প্রার্থনা করি এবং আশা করি, একদিন তারা নিরাপদে নিজ জন্মভূমিতে ফিরে যেতে পারবে এবং শান্তি ও মর্যাদার সঙ্গে জীবনযাপন করতে পারবে।
‘আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে এনসিপি’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



