আন্তর্জাতিক ডেস্ক: করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনায় মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের অঙ্গ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে সপার্ষদ এই বৈঠক করলেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রীদের পাশাপাশি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন বৃহস্পতিবারের এই বৈঠকে। এই কনফারেন্স বৈঠকে সংক্রমিতের সংখ্যা পর্যালোচনায় কৌশল রচনা করা হয়েছে। সংক্রমিতের সংস্পর্শে কে বা কারা এসেছে, সেটা কীভাবে সঠিক উপায়ে চিহ্নিত করা সম্ভব। সেই বিষয়ে বৈঠক হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
মুখ্যমন্ত্রীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘লকডাউন পর্ব মিটলেও নিয়ন্ত্রিত করতে হবে মানুষের গতিবিধি। আসুন, এ বিষয়ে আমরা যৌথ কৌশল রচনা করি। লকডাউন পরবর্তী অবস্থায় সীমিত গণ-জমায়েত ও সামাজিক দুরত্ব যাতে বজায় থাকে সেটা নিশ্চিত করি।”
এদিকে, ক্রমশই নিজের শক্তি বাড়িয়ে চলেছে মৃত্যুদূত করোনা। সংক্রমণ এড়াতে দেশে ২১ দিনের টানা লকডাউন পর্ব চলার মধ্যেই মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুসারে, ভারতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৫০ জনের। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ জন প্রাণ হারিয়েছে এই রাক্ষুসে ভাইরাসের আক্রমণে। আর নতুন করে ওই ভয়ঙ্কর রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৩২৮ জন। সরকারি পরিসংখ্যান মতে আক্রান্ত ১৯৬৫ জন। বিভিন্ন হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজে চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছেন এমন রোগীর সংখ্যা ১৫১ জন। বুধবার দেশে COVID-19 পজিটিভ রোগীর সংখ্যা একদিনে সর্বোচ্চ রেকর্ড করেছে – মোট ৪৩৭ জন।
দেশের সব রাজ্যের মধ্যে তামিলনাড়ুতে এই সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টাতেই সেখানে ১৬০ জনের শারীরিক পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে। তামিলনাড়ুতে এখনও পর্যন্ত ২৩০ জনেরও বেশি মানুষের শরীরে ওই রোগের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। ইতিমধ্যেই সেখানে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৬ জন সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন।
দেশব্যাপী লকডাউন ঘোষণা হওয়ার পর এটা ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীদের দ্বিতীয় বৈঠক। এদিকে, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে দেশ লকডাউন জারি ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত। ২১ দিনের এই লকডাউনে আগামী দিনে আরও বাড়বে কিনা, তাই নিয়ে সম্প্রতি উঠেছিল প্রশ্ন। মন্ত্রিপরিষদের সচিব রাজীব গৌবা ইতিমধ্যেই লকডাউন আর বাড়ানো হবে না বলে জানিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে, ১৫ এপ্রিল বাংলা নববর্ষের পরের দিন থেকে স্বাভাবিক হতে পারে রেল এবং বিমান পরিসেবা—-এই ইঙ্গিতও মিলেছে থেকে মন্ত্রিপরিষদ থেকে। ওই তারিখ থেকে যাত্রী সাধারণ প্লেন বা ট্রেন যাত্রার পরিকল্পনা করে টিকিট বুক করতে পারেন বলে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২২ মার্চ করোনার ভাইরাস সংক্রমণ রোধে কেন্দ্র রেল ও বাস পরিষেবা বন্ধ করে দেয়। বাতিল হয় সমস্ত বিমান পরিসেবাও।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।