
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রাণঘাতী করোনার বিস্তার ঠেকাতে আক্রান্ত দেশগুলোতে চলছে লকডাউন। করোনা আক্রান্ত ভারতেও কঠোর লকডাউন চলছে। লকডাউনে স্থবির দেশের জনজীবন। এই অবস্থার মধ্যেই দিল্লির এক পরিবার দিল্লি পুলিশের দ্বারস্থ হলেন। জানালেন, তারা তাদের ছেলের বিয়ে দিতে চান। এই পরিবারের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় দিল্লি পুলিশ। সম্পন্ন হয় বিয়ে।
লকডাউনের নিয়ম মেনে হাজির ছিল মাত্র ৬ জন। খুশাল ওয়ালিয়া ও পূজা ওয়ালিয়া লকডাউনের মধ্যেই বিয়ে করলেন। তাদের বক্তব্য, দিল্লি পুলিশ সহায়তা না করলে এমনটা সম্ভব হত না।
লকডাউনের মধ্যে নরেশ ওয়ালিয়া তার বন্ধু নিশিকান্তের সাহায্য চান। তাকে বলেন, তার ছেলের বিয়ে ঠিক হয়ে আছে ২৫ এপ্রিল। কিন্তু লকডাউনের সময় বিয়ে করতে বাইরে যাওয়া সম্ভব হবে না।
নরেশ জানান, চার মাস আগে এই বিয়ে ঠিক হয়। কার্ড ছেপে বিলি করা শেষ। নির্দিষ্ট দিনেই দুই পরিবার বিয়ে সম্পন্ন করতে চায়। নিশিকান্ত বন্ধুর দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। তিনি তার পরিচিত পুলিশকে ফোন করেন। এরপর পুলিশি সহায়তায় গ্রেটার কৈলাস আর্য সমাজ মন্দিরে সম্পন্ন হয় বিয়ে। বিয়েতে শুধুমাত্র বর-কনে ও তাদের বাবা-মা উপস্থিত ছিলেন।
বর খুশাল ওয়ালিয়া জানান, অন্যদের দেখে নিজের বিয়েতেও জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান করতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু করোনা সব পন্ড করে দিয়েছে। তাই এইভাবেই বিয়ে করতে হল তাদের। নববধূ পূজা তার এমন অভিনবভাবে বিয়ে হওয়াতে খুশি। তিনি বলেন, যা হয়েছে ভালই হয়েছে।
বিয়ের সময় সত্যিকারের ফুলের মালা পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকায় বর-কনে প্লাস্টিকের মালা পরেই বিয়ে করেন।
নবদম্পতির এই বিয়েতে উপস্থিত পুলিশ সঞ্জীব ও অনিলকে উপহার দেন স্যানিটাইজার ও মাস্ক। বিয়ের পর পুলিশ বর-কনেকে পুলিশের গাড়িতে করে তাদের বাড়িতে পৌঁছে দেয়।
বাড়ি পৌঁছে নতুন এক অভিজ্ঞতা হয় নবদম্পতির। আশপাশের বাড়ির ছাদ, গলি ও ব্যালকনি থেকে সকলে অভিনন্দন জানান তাদের। কাজেই সব মিলিয়ে এই বিয়ে স্মরণীয় এক মুহূর্ত তৈরি করল নতুন জীবনে দম্পতি জীবনে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



