আন্তর্জাতিক ডেস্ক: করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ ঠেকাতে দেওয়া লকডাউনের প্রভাবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বায়ুতে গুণগত মান বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসার ফলে আবারও লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিল হয়েছে, সচল হচ্ছে অর্থনীতির চাকাও। ফলে এই মানের পরিবর্তন বেশিদিন ধরে রাখা সম্ভব হবে না। সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। খবর সিএনএন’র।
বিশ্বব্যাপী বাতাসের মান হিসেব করা পরিসংখ্যান ওয়েবসাইট আইকিউ এয়ারের ২০২০ সালের ওয়ার্ল্ড এয়ার কোয়ালিটির প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, লকডাউনের সময় বিভিন্ন শিল্প কারখানা এবং যানবাহন থেকে কার্বন নির্গমন হ্রাস পেয়েছে। বিশ্বের ৬৫% শহর ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে বায়ুর মানে ইতিবাচক পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে। সামগ্রিকভাবে, ৮৪ শতাংশ রাষ্ট্রই বায়ুর গুণগত মান বৃদ্ধির অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছে।
প্রতিবেদনটি জানায়, কোভিড -১৯ এর সাথে বায়ু দূষণের মধ্যকার এ সংযোগ নতুন এক সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে। বিভিন্ন এলাকার বায়ু লকডাউনকালীন সময়ে যেভাবে স্বচ্ছ হয়ে উঠেছে, তাতে এটাই প্রমাণিত হয়, জরুরি প্রয়োজনে ও সম্মিলিত পদক্ষেপের মাধ্যমে বায়ুর গুণগত মানের উন্নতি সম্ভব।
পরিবেশ আইন অনুযায়ী, বাতাসে ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫-এর মানমাত্রা হচ্ছে প্রতি কিউবিক মিটারে ১৫ মাইক্রোগ্রাম। বায়ুর মানমাত্রার এ সূচক ১০০-এর ওপরে উঠলেই তা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকারক।
দক্ষিণ এশিয়ার সর্বাধিক দূষিত ২৫টি শহরে আগের চেয়ে পিএম ২.৫-এর মাত্রা কমেছে এবং গত চার বছরে সামগ্রিক বায়ু দূষণের সূচক নিম্নমুখী হয়েছে।
পূর্ব এশীয় দেশগুলোও বায়ুর গুণগত মান উন্নয়নে প্রচেষ্টা রেখেছে। সাধারণত এ অঞ্চলের দেশগুলোর পিএম ২.৫ মান নিম্নমুখীই হয়ে থাকে। দক্ষিণ কোরিয়াতে, বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে কয়লার উৎপাদনে গৃহীত কিছু পদক্ষেপের দরুন ২০২০ সালে বায়ু মানের উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।