জুমবাংলা ডেস্ক : লক্ষ্মীপুরে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে। অঞ্চলটিতে বন্যার পানিতে ভেসে এবং আশ্রয়কেন্দ্রে ২ জন মারা গেছেন। সেখানকার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে এ পর্যন্ত ২৭ হাজার ৭০০জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।
কমলনগর চরলরেন্স গ্রামে মাছ ধরার খালের পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে হৃদয় (১৪) নামে এক কিশোরের। অপরদিকে সদর উপজেলার লাহার কান্দি আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়োমনিয়া আক্রান্ত হয়ে আব্দুল মালেক (৭০) নামে এক ব্যক্তির মারা গেছেন।
এদিকে মেঘনা সংলগ্ন কিছু এলাকার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও অভ্যন্তরীণ এলাকা, জেলা শহরসহ প্রায় শতকরা ৯০ শতাংশ লোকালয় বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। রায়পুর-ঢাকা মহাসড়ক ছাড়া জেলার সকল সড়ক পানিতে ভেসে গেছে। জেলার সাথে উপজেলা, গ্রামাঞ্চলের সড়কগুলোও স্থান ভেদে হাটু পানি থেকে কোমর পর্যন্ত বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।
সদর উপজেলার ১৮০ টি আশ্রয় কেন্দ্রে মঙ্গলবার থেকে রান্নাকরা খাবার বিতরণ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফুর রহমান। এদিকে বৃষ্টি কিছুটা কম হলেও অভ্যন্তরীণ এলাকা বন্যার পানি বেড়েছে। জেলা প্রশাসন থেকেও বন্যার পানি বৃদ্ধির খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। গ্রামের কোথাও গলা থেকে মাথার ওপর পর্যন্ত পানি।
লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১৩ এবং ১৪ নং ওয়ার্ড, সদর উপজেলার বাঙ্গাখাঁ, গরিনগর, নেয়ামতপুর, উত্তর জয়পুরের উত্তরাঞ্চল, রাধাপুর কেন্দ্রগুলোতে এ পর্যন্ত সরকারি ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছেনি বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসীর। তবে প্রশাসন থেকে বলা হয়েছে, সব আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ত্রাণ সামগ্রী পাঠানো হয়েছে। এর পাশাপাশি ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে এবং বিতরণের অপেক্ষায় আছে।
জেলা প্রশাসন থেকে এ পর্যন্ত নগদ ২৬ লাখ টাকা, ৫০৯ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি শুকনো খাবার দেয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহানের সভাপতিত্বে মঙ্গলবার ২৭ আগস্ট দুপুরে অনুষ্ঠিত জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির এক জরুরি সভায় জেলা থেকে ওয়ার্ড পর্যন্ত ছাত্র সমাজসহ বিভিন্ন শ্রেণীর লোকদের নিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।