জুমবাংলা ডেস্ক : রাজধানী ঢাকা থেকে পাঁচ শতাধিক যাত্রী নিয়ে ছেড়ে আসা বরগুনাগামী লঞ্চ এমভি অভিযান-১০ এ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিখোঁজ যাত্রীদের তথ্য দিতে পারছে না বরগুনা নৌবন্দর কর্তৃপক্ষ। তাদের সন্ধানে বন্দরে ভিড় করছেন স্বজনরা। আগুন লাগার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪১ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে, আহত হয়েছেন দুই শতাধিক।
গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঝালকাঠি সদর উপজেলার গাবখান ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের গাবখান চ্যানেলের কাছে সুগন্ধা নদীর মাঝখানে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে লঞ্চটি।
তবে লঞ্চের কতজন যাত্রী নিখোঁজ আছেন, সে তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর থেকে স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে লঞ্চে থাকা যাত্রীদের। তাই তাদের খোঁজে বরগুনা নৌবন্দরে এসেছেন লঞ্চে থাকা যাত্রীদের স্বজনরা। কিন্তু সেখানে গিয়ে কোনো তথ্যই মিলছে না। নিখোঁজ যাত্রীদের তথ্য দেওয়ার মতো কোনো ব্যবস্থা নেই বরগুনা নৌবন্দরে।
বরগুনা নৌবন্দরের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ জানান- লঞ্চটিতে ৪-৫ শ’ জন যাত্রী আরোহন করতে পারে। তাদের উদ্ধারে বরিশাল নৌবন্দর কর্তৃপক্ষ কাজ করছে। তবে অগ্নিকাণ্ডের পরপরই ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর সঙ্গে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ঝালকাঠি ইউনিটের যুব সদস্যরা উদ্ধার কাজে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। পরবর্তীতে যুক্ত হয়েছে কোস্টগার্ডসহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থা।
ইতোমধ্যে বরগুনা জেলা প্রশাসন থেকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিকসহ কয়েকজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঝালকাঠির উদ্দেশ্যে রওনা করে গেছেন।
লঞ্চের যাত্রী সূত্রে জানা গেছে, আগুন লাগার পর অনেক যাত্রী প্রাণ বাঁচাতে লঞ্চ থেকে লাফিয়ে পড়েছেন। এতে হতাহতের সংখ্যা বাড়বে বলে ধারণা করছেন লঞ্চ দুর্ঘটনা থেকে ফিরে আসা যাত্রীরা। তবে প্রাথমিকভাবে সঠিক কতটি হতাহতের ঘটনা ঘটেছে তা এখনো জানা যায়নি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।