লন্ডনে পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন ঐশ্বরিয়া!
বিনোদন ডেস্ক : কখনও সখনও তারকাদের নিয়ে ফ্যান্টাসির কারণে অনেকেই তাঁদের সাথে নিজেদের জীবনকে গুলিয়ে ফেলেন। ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন (Aishwarya Rai Bachchan) প্রাক্তন মিস ওয়ার্ল্ড হওয়ার পাশাপাশি ভারতের এক নম্বর সারির তারকাদের মধ্যে অন্যতম। 2018 সালে তাঁকে ঘিরে এক চমকে দেওয়া দাবি করেছিলেন বিশাখাপত্তনমের এক যুবক। তাঁর নাম সঙ্গীত কুমার (Sangeeth Kumar)। সঙ্গীত বলেছিলেন, ঐশ্বরিয়া তাঁর জন্মদাত্রী মা।
2018 সালে মিডিয়ায় এই ঘটনা চাউর হওয়ার পর রীতিমত আলোড়ন পরে গিয়েছিল। সঙ্গীত জানিয়েছিলেন, 1988 সালে লন্ডনের একটি হাসপাতালে আইভিএফ পদ্ধতিতে তাঁর জন্ম দিয়েছিলেন ঐশ্বরিয়া। এরপর দুই বছর বয়স অবধি ঐশ্বর্যর বাবা কৃষ্ণরাজ রাই (Krishnaraj Rai) ও মা বৃন্দা রাই (Vrinda Rai)-এর সাথে ছিলেন সঙ্গীত। কিন্তু পরে তাঁর বাবা আদিভেলু রেড্ডি (Adivelu Reddy) তাঁকে বিশাখাপত্তনমে নিয়ে আসেন। বর্তমান সেখানেই থাকেন সঙ্গীত। 2018 সালে সঙ্গীত যখন এই দাবি করেছিলেন তাঁর বয়স ছিল আঠাশ বছর। সঙ্গীত বলেছিলেন, তাঁর কাছে ঐশ্বরিয়ার সন্তান হওয়ার কোনো প্রমাণ নেই। কারণ তাঁর আত্মীয়রা সব প্রমাণ নষ্ট করে দিয়েছেন। বর্তমানে তিনি চান ঐশ্বরিয়া তাঁর সাথে তাঁর ম্যাঙ্গালোরের বাড়িতে এসে থাকুন। কিন্তু 2018 সালে কোনোভাবে এই ঘটনা ধামাচাপা পড়ে গিয়েছিল।
সঙ্গীত আরও একবার মিডিয়ার সামনে এই দাবি তোলেন 2020 সালে। তিনি নিজের শৈশবের ছবিও মিডিয়ার সামনে আনেন। তবে তাতে ঐশ্বরিয়া উপস্থিত ছিলেন না। এমনকি সঙ্গীতের দাবি ছিল ঐশ্বরিয়ার সাথে অভিষেক বচ্চন (Abhishek Bachchan)-এর দাম্পত্য জীবনে সমস্যা চলছে। কিন্তু তাঁর কোনো দাবির প্রমাণ দিতে পারেননি সঙ্গীত। তবে এই ব্যাপারে নড়েচড়ে বসে বিশাখাপত্তনমের পুলিশ।
View this post on Instagram
সঙ্গীতের দাবি অনুযায়ী রীতিমত নিয়ম মেনে তদন্ত করা হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, শুধুমাত্র নিজেকে ঐশ্বরিয়ার পুত্র রূপে দাবি করাই নয়, সঙ্গীত এর আগে নিজেকে এ.আর.রহমান (A.R.Rahman)-এর ছাত্র হিসাবে দাবি করেছিলেন। জানা যায়, সঙ্গীত বিশাখাপত্তনমের একজন বাস কন্ডাক্টরের পুত্র। পড়াশোনায় যথেষ্ট ভালো হওয়া সত্ত্বেও চূড়ান্ত অ্যালকোহলের নেশায় ডুবে গিয়েছে সে। পাশাপাশি সঙ্গীতের মানসিক সমস্যাও রয়েছে। তবে ঐশ্বরিয়া এই ব্যাপারে চুপ থাকাই শ্রেয় মনে করেছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।