লাখ লাখ টাকা দিতে হবে। তা হলেই ছেলে জন্ম হওয়ার গ্যারান্টি। এমনই এক প্রতারণা চক্র দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় ছিল। একাধিক দম্পতির থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়েও নিয়েছে এই আইবিএফ সেন্টার। অবশেষে সেই প্রতারণা চক্রের পর্দা ফাঁস হল।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, জাতীয় মহিলা কমিশন, দিল্লি পুলিশেরর একটি দল ওই আইবিএফ সেন্টারে হানা দেয়। একটি কল সেন্টার চালাচ্ছিল সেই আইবিএফ সেন্টার। সেখানেও হানা দিয়ে বেশ কিছু তথ্য জানতে পেরেছে তদন্তকারী দল। দিল্লির কীর্তি নগরের এই সেন্টারে বহুদিন ধরেই সক্রিয় ছিল প্রতারণা চক্র। আইবিএফ সেন্টারের কল সেন্টারে হানা দিয়ে ৩০০টি ল্যাপটপ উদ্ধার হয়েছে।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সারা দেশে এই সংস্থায় প্রতারণা চক্র ছড়িয়ে রয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
জিজ্ঞাসাবাদ চলছে, কিছুদিন আগে জাতীয় মহিলা কমিশনে কেউ একজন ফোন করে এই প্রতারণা চক্রের কথা জানান। এরপরই ১৪ জনের একটি দল সেখানে হানা দেয়। জানা যায়, এই সংস্থা দম্পতিদের থেকে লাখ লাখ টাকা নিয়ে পুত্রসন্তান জন্ম দেওয়ার গ্যারান্টি দিত।
এই প্রতারণা চক্রকে ধরার জন্য জাল পেতেছিল পুলিশ। এদিন দু’জন পুলিশকর্মী দম্পতি সেজে সেন্টারে হাজির হন।
এরপরই আইবিএফ সেন্টারের ম্যানেজার জানান, আইবিএফ পদ্ধতিতে তারা পুত্র সন্তানের জন্ম দিতে পারবেন। কিন্তু তার জন্য মহিলাকে ১০-১২ দিনের জন্য সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক বা দুবাইতে থাকতে হবে। রেজিস্ট্রেশন চার্জ লাগবে দশ হাজার। আর পুরো প্যাকেজ সাড়ে আট লাখ টাকা। দেশজুড়ে তাদের একশোর বেশি সেন্টার রয়েছে বলে জানান ম্যানেজার। এর পরই সেই ম্যানেজারকে আটক করে একের পর এক তথ্য সামনে এসেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।