জুমবাংলা ডেস্ক: জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার প্রভাবে অন্যান্য নিত্যপণ্যের সঙ্গে বেড়েছে ডিমের দামও। রাজধানীর অলিগলির খুচরা বাজারগুলোতে এক হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫৪-৫৬ টাকায়। ফলে চড়া দামের বর্তমান বাজারে ভোক্তাকে একটি ডিম কিনতেই খরচ করতে হচ্ছে সাড়ে ১৩ থেকে ১৪ টাকা। ডিমের লাগামহীন দামে ব্যয়বৃদ্ধি নিয়ে দুশ্চিন্তায় সীমিত আয়ের মানুষের।
সরেজমিনে আজ মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কাঁচাবাজারগুলোতেও ডজনপ্রতি বেড়েছে ডিমের দাম। এক ডজন লাল ডিমে ৪০ থেকে ৫০ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে ১৫০ টাকায়। সাদা ডিমের ডজন ১৫০ টাকা, দেশি ২১০ টাকা ও হাঁসের ডিম প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা দরে।
রাজধানীর ইস্কাটনের বাসিন্দা তাসমিম সুলতানা বাজারে ডিম কিনতে এসে অনেকটাই চমকে যান! ডিমের ডজন ১৫০ টাকা শুনে তিনি অবাক। এই ক্রেতা জনকণ্ঠ কে বলেন, তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে ডিমের দাম এতোটা বাড়ার তো কথা নয়। আজকের বাজারে অনেকে পর্যাপ্ত মাছ-মাংস কিনতে পারেন না। নিম্নবিত্তের সাধ্যের মধ্যে থাকা ডিমের দামও এখন আকাশছোঁয়া। এটা ভাবা যায়! মানুষ যাবে কোথায়!
কারওয়ান কাঁচাবাজারের ডিম ব্যবসায়ী মহিবুল আলম বলেন, খামারে বিদ্যুৎ থাকে না। জেনারেটর দিয়ে আলোর ব্যবস্থা করা হয়। ডিজেলের দামও বাড়তি। মুরগির খাবারের দাম বেড়েছে, প্রোডাকশনও কম। অন্যদিকে বাজারে বাজারে ডিমের চাহিদা অনেক। এসব কারণেই দামও বাড়তি। এছাড়া খামারিদের অনেকে আগে লোকসান দিয়েছেন, এখন বাড়তি দামে বেচতে না পারলে তাদের ব্যবসা টিকবে না। বিশেষত জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার পরই সব জিনিসের মতো ডিমের দামও বেড়েছে।
তেজগাঁওয়ের ডিম ব্যবসায়ী বহুমুখী সমবায় সমিতির প্রচার সম্পাদক হাজী মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে সবকিছুরই দাম বাড়তি। সে হিসেবে মুরগির খাবার, ওষুধ ও ভ্যাকসিনের দাম আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। মুরগির প্রিয় খাবার সয়াবিনের দামও বাড়তি। এ কারণে গত দুই বছর পোল্ট্রি খামারিদের অনেকে ব্যবসায় ভর্তুতি দিয়েছেন। ছোট খামারিদের অনেকে ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছেন। এসব কারণে উৎপাদন যেমন কমেছে, বাজারে ডিমের জোগানও এখন কম। বিপরীতে বেড়েছে চাহিদা। তাই দামও বেড়ে গেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।