অর্থনীতি ডেস্ক : নতুন বছরে পেঁয়াজের মতো লাফিয়ে বাড়ছে তেল ও চিনির দাম। এবার এদের সঙ্গে দামে ঝাঁজ যোগ করছে রসুন ও আদার। সপ্তাহের ব্যবধানে মানভেদে আদায় কেজিতে ৩০ ও রসুন কেজিতে ৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। গতকাল বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ তথ্য জানা গেছে।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এক সপ্তাহ আগে যে রসুনের (দেশি) কেজি ১৬০ টাকা বিক্রি হতো, সেই রসুন এখন ২০০ টাকা। আর ১২০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া আদা ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে খুচরা বাজারের দামের সঙ্গে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) দামের পার্থক্য পাওয়া গেছে। তবে টিসিবির হিসাবেও সপ্তাহের ব্যবধানে আদা ও রসুনের দাম বেড়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ৪০ টাকা। এদিকে বাজারে শীতের সবজি ভরপুর থাকলেও তা ক্রেতাদের স্বস্তি দিচ্ছে না। সরবরাহ বাড়লেও কোনো সবজির দাম কমেনি, বরং কিছু সবজির দাম সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, ভালো মানের দেশি রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০-১৯০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ১৬০-১৭০ টাকা। আর আমদানি করা রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৬০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ১৪০-১৫০ টাকা। রসুনের মতো বাজারগুলোয় বেড়েছে আদার দামও। গত সপ্তাহে যে আদার কেজি ১১০-১২০ টাকা ছিল, এখন দাম বেড়ে সেই আদা বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৪০ টাকা কেজি। একজন ব্যবসায়ী জানান, আদা-রসুনের দাম এখন বেশ চড়া। তাদের আগে কেনা বলে দেশি রসুন ১৮০ টাকা এবং আদা ১৩০ টাকা কেজি বিক্রি করছেন। কিন্তু দুদিন পরে এই দামে আর বিক্রি করা সম্ভব হবে না। কারণ পাইকারিতে ইতোমধ্যে আদা ও রসুনের দাম বেড়েছে।
টিসিবি দ্রব্যমূল্যের দামের যে তথ্য প্রকাশ করেছে তার তথ্য অনুযায়ী, দেশি রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৭০-১৮০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ১৬০-১৮০ টাকা। আমদানি করা রসুন আগের সপ্তাহের মতো ১৪০-১৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আর আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৭০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ১০০-১৭০ টাকা।
টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, সপ্তাহের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজ, আমদানি করা পেঁয়াজ, আলু, চিনি, সয়াবিন তেল, পাম অয়েলের দাম সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে। দেশি পেঁয়াজ ১৬০-১৮০ টাকা এবং আমদানি করা পেঁয়াজ ৬০-১৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। তবে খুচরা বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এক সপ্তাহ আগে ধরেই চিনির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৬৬ টাকা, পাঁচ লিটারের সয়াবিন তেলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০০-৫১৫ টাকা। কিন্তু টিসিবি বলছে, এক সপ্তাহ আগে চিনির কেজি ৬০ টাকা এবং পাঁচ লিটারের সয়াবিন তেল ৪৫৫ টাকায় বিক্রি হয়।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, নতুন মৌসুমের দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ কমে গেছে। এ কারণে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে চিনির দাম গত সপ্তাহ থেকে সাত থেকে আট টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে যে চিনি ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, তা এখন বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকায়। সয়াবিন তেলের দাম এক লাফে লিটারে আট টাকা বেড়েছে। সঙ্গে প্যাকেটজাত চিনির দাম বাড়ানো হয় কেজিপ্রতি সাত টাকা। এর আগে নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত খোলা সয়াবিন তেলের দামও লিটারপ্রতি আট টাকা ও পাম সুপার তেলের দাম ১৬ টাকার মতো বেড়েছে। বাজেটের পর এখন পর্যন্ত খোলা চিনির দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ১২ টাকা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।