লাল চালের ভাতের স্বাস্থ্য উপকারিতা জেনে নিন

লাল চালের ভাতের

লাল চাল স্বাস্থ্যকর, পুষ্টিতে ভরপুর এবং স্বাদে সুস্বাদু। এটি একটি হোল গ্রেইন যার বাইরের তুষের স্তর এবং জীবাণু অক্ষত থাকে এবং তাই এতে ফাইবার, খনিজ এবং ভিটামিন বেশি থাকে। এছাড়াও এটি সাদা, পালিশ করা চালের মতো তীব্র প্রক্রিয়াজাতকরণের শিকার হয় না এবং তাই এটি আরও স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিকর।

লাল চালের ভাতের

আমাদের খাবার এবং সাদা ভাতের মধ্যে সম্পর্ক দৃঢ়। পোলাও বা কোনো ধরনের ভাত ছাড়া আমাদের খাবার বেশিরভাগ সময়েই অসম্পূর্ণ থাকে। আমরা বেশিরভাগই সাদা ভাতের প্রচুর ক্যালোরি এবং অবাঞ্ছিত কার্বোহাইড্রেট সম্পর্কে জানি না।ভাত সম্পূর্ণরূপে বাদ দেওয়ার পরিবর্তে লাল চাল খাওয়া অনেক স্বাস্থ্যকর বিকল্প বলে মনে হয়। লাল চালের উপকারিতা চলুন জেনে নেওয়া যাক-

১. ডায়াবেটিস প্রতিরোধে কাজ করে

গবেষণায় দেখা গেছে যে লাল চাল ফাইটিক অ্যাসিড, ফাইবার এবং প্রয়োজনীয় পলিফেনল সমৃদ্ধ। এটি একটি জটিল কার্বোহাইড্রেট যা শর্করার ধীরে ধীরে নিঃসরণে সহায়তা করে, তাই আমাদের সুস্থ রাখে।

২. হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখে

লাল চাল আমাদের হাড়ের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। এটি ম্যাগনেসিয়াম এবং ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ যা হাড়কে শক্তিশালী এবং সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

৩. হৃদরোগ দূরে রাখে

লাল চাল ধমনীর বাধা রোধে সাহায্য করে। এতে সেলেনিয়ামও রয়েছে যা হৃদযন্ত্রের জন্য ভালো, এটি উচ্চ রক্তচাপ এবং রক্তনালী রোগের মতো হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

৪. হজম স্বাস্থ্য ভালো রাখে

উচ্চ ফাইবার উপাদানের কারণে লাল চাল অন্ত্রের কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণ করে এবং অ্যাসিড শোষণ রোধ করে এবং এইভাবে হজম প্রক্রিয়া সহজ করে। তাই হজমশক্তি ভালো রাখতে চাইলে নিয়মিত লাল চালের ভাত খেতে পারেন।

পেঁপের বীজ না খাওয়া যে কারণে ভালো

৫. ওজন ব্যবস্থাপনা

লাল চালে ম্যাঙ্গানিজ এবং ফসফরাস রয়েছে, যা শরীরের চর্বি সংশ্লেষণ করতে এবং স্থূলতা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এর উচ্চ ফাইবার উপাদান দীর্ঘক্ষণ পেট ভরে রাখে। যে কারণে বারবার খাওয়া প্রতিরোধ করে। এর ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়।