জুমবাংলা ডেস্ক : নাটোরের বাগাতিপাড়ায় ৫ বছর আগের এক লাশ উদ্ধারের তদন্ত নিয়ে তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হয়রানি, নির্যাতন ও অর্থ আদায়ের অভিযোগে শুক্রবার মানববন্ধন ও ঝাড়ু মিছিল করেছেন এলাকাবাসী।
২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বর পাঁকা ইউনিয়নের ঝিনা গ্রামের রেল লাইনের পাশ থেকে স্থানীয় স্বর্ণকার সাধন কর্মকারের লাশ উদ্ধার করে রেলওয়ে পুলিশ।
এ ঘটনায় সাধনের ভাই সন্তোষ কুমার বাদী হয়ে ঈশ্বরদী জিআরপি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে রেলওয়ে ও সিআইডির তদন্তের পর মামলাটির চার্জশিট দেয়া হয়।
কিন্তু মামলার বাদী সন্তোষ কুমার নারাজির আবেদন করলে মামলাটি পিবিআই, রাজশাহীকে তদন্ত করার নির্দেশ দেন আদালত। পিবিআইয়ের এসআই সাইদুর রহমান মামলাটির তদন্ত শুরু করেন। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) ১৭ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, তিনি দায়িত্ব পাওয়ার পর দফায় দফায় শিক্ষক, মাদরাসার সুপার, ব্যবসায়ী, কৃষকসহ নানা শ্রেণি পেশার বিত্তশাালী মানুষকে আটক করতে শুরু করেন। অনেকের কাছ থেকে টাকা আদায় করেন।
তাদের অভিযোগ, অনুসন্ধানের নামে নিরীহ লোকজনকে ধরে নিয়ে অকথ্য নির্যাতন করা হয়েছে। যাদের কাছে টাকা দাবি করে পায়নি, তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়া হয়েছে। তারা এ ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সাইদুর রহমান। তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। দুইজন আসামীর স্বীকারোক্তি এবং মামলাটির তদন্তে যাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে তাদের বিরুদ্ধেই চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন পাঁকা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন, প্রভাষক তোফাজ্জল হোসেন, আইরিন বেগম, ডবিনা রানী মুখার্জী অচিন্ত, নজরুল ইসলাম, আবুল হাসনাত প্রমুখ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।