জুমবাংলা ডেস্ক : ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সুপার নিউমারারি পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) আব্দুল্লাহিল কাফীকে হাজারীবাগ থানার অপহরণ মামলায় ৮ দিনের রিমান্ডে দিয়েছেন আদালত। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে তাকে আদালতে তোলা হয়।
পরে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে পুলিশ। একপর্যায়ে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আক্তারুজ্জামান তার ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) আব্দুল্লাহিল কাফীর বিরুদ্ধে মরদেহ পুড়িয়ে ফেলার অভিযোগে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা হয়। এছাড়া অপহরণের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করা হয় রাজধানীর হাজারীবাগ থানায়।
পরবর্তীতে মামলার বিষয়ে ডিবির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মো. রবিউল হোসেন ভুঁইয়া জানান, যেহেতু তিনি একজন সার্ভিস অফিসার, তাকে গ্রেপ্তার করতে গেলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অনুমতি লাগবে। প্রাথমিকভাবে আশুলিয়ার ঘটনায় তার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। এজন্য স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দপ্তরে আবেদন করেছি। অনুমতি সাপেক্ষে তাকে গ্রেপ্তার এবং রিমান্ড চাওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত ৩১ আগস্ট থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকজন পুলিশ সদস্য কয়েকটি মরদেহ একটি ভ্যানে তুলে সেগুলো ব্যানার দিয়ে ঢেকে দিচ্ছেন। এরপর থেকেই জনমনে প্রশ্ন উঠতে থাকে ভিডিওটি কবের? কোথাকার?
পরবর্তীতে জানা যায়, ভিডিওটি গত ৫ আগস্ট ঢাকার আশুলিয়া থানা এলাকার। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, দুই পুলিশ কর্মকর্তা মরদেহ স্তূপ করে রাখছেন। পরে স্থানীয় পুলিশ ও বাসিন্দারা তাদের একজনকে ডিবি পুলিশের পরিদর্শক হিসেবে শনাক্ত করেন।
ওই ঘটনায় লাশ পোড়ানোর অভিযোগ ওঠার পর গত সোমবার হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে ডিবি পুলিশ কাফীকে আটক করে। গত ৫ আগস্ট ঢাকার আশুলিয়ায় ছাত্র-জনতাকে হত্যার পর আগুনে পুড়িয়ে ফেলার ঘটনায় তার সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগ রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।