জুমবাংলা ডেস্ক: চলতি মাসের শুরুর দিকে জ্বালানি তেলের দাম এক লাফে প্রায় ৫০ শতাংশ বাড়িয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে সরকার। এরপর বিশ্ব অর্থনীতি সংকটের মধ্যে কীভাবে এই দাম কমানো যায় সেই পথ খুঁজতে শুরু করে সংশ্লিষ্টরা।
অবশেষে ডিজেলের আগাম কর মওকুফ এবং আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এর ফলে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) ও অন্য ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান হ্রাসকৃত শুল্ক হারে ডিজেল আমদানি করতে পারবে। তবে যতটা শুল্ক কমানো হয়েছে তাতে লিটারে দুই টাকা দাম কমতে পারে বলে জানিয়েছে জ্বালানি বিভাগ।
তবে বাজারে এখনই জ্বালানির দাম কমছে না। সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) কেনা তেলে শুল্ক কমায় তখন দাম কমানো হবে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ গণমাধ্যমকে বলেন, যতটুকু কর কমেছে, তাতে লিটারে দুই টাকা কমতে পারে। এতে বাজারে তেমন প্রভাব পড়বে না।
তিনি বলেন, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির পদক্ষেপটি স্থায়ী নয়। বিপিসিকে দেউলিয়াত্বের হাত থেকে বাঁচাতে এটা করতে হয়েছে। অবশ্যই এটা সমন্বয় করা হবে। সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে।
এদিকে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ বলছে, সব ধরনের কর প্রত্যাহার করলে প্রতি লিটার ডিজেলের মূল্য কম করে হলেও ৩৬ টাকা কমানো সম্ভব। কারণে, বর্তমানে লিটারপ্রতি ১১৪ টাকার ডিজেল থেকে ৩৬ টাকা কর আদায় করছে সরকার।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট রাতে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ৩৪ টাকা বাড়িয়ে ১১৪ টাকা করে। অকটেন ৪৬ টাকা বাড়িয়ে ১৩৫ এবং পেট্রোল ৪৪ টাকা বাড়িয়ে ১৩০ টাকা লিটার করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।