জুমবাংলা ডেস্ক : লিবিয়ায় গুলিতে মাদারীপুরের ১১জন নিহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মানবপাচারকারী চক্রের অন্যতম সদস্য জুলহাস সরদারকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (৯ জুন) বিকেলে জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. সাইদুর রহমান তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর আগে জুলহাস সরদার (৩৫) করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে জেলা সদর হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি ছিলেন।
মঙ্গলবার দুপুরে তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। পরে তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ।
মাদারীপুরের রাজৈর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শওকত জাহান জানান, গত ২৮ মে লিবিয়ার মিজদাহ এলাকায় ২৬ বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করে মানবপাচারকারীরা। এরমধ্যে ১১ জনের বাড়ি মাদারীপুরের বিভিন্ন এলাকায়। এ ঘটনায় রাজৈরের বিদ্যানন্দী গ্রামের নিহত মানিক হাওলাদারের বাবা শাহ আলম হাওলাদার বাদী হয়ে জুলহাস সরদারসহ ৪ জনের নাম উল্লেখ্য করে রাজৈর থানায় মানবপাচার আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার আগেই সত্যবতী গ্রামের আবদুল মজিদ সরদারের ছেলে জুলহাস সরদার করোনা আক্রান্ত হয়ে সদর হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি হয়। পরে তাকে মঙ্গলবার দুপুরে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দিলে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হলে বিচারক কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দেন। এদিকে জুলহাসের বিরুদ্ধে নিহতের স্বজনরা মানবপাচার আইনে ৪টি মামলা দায়ের করেছেন। পাশাপাশি মামলার বাকি আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, একই ঘটনায় বিদ্যানন্দী গ্রামের লিবিয়ায় নিহত জুয়েলের বাবা রাজ্জাক হাওলাদার বাদী হয়ে দালাল জুলহাস সরদারসহ ৪ জনের নামে মানব পাচার আইনে একটি মামলা করেছেন রাজৈর থানায়। এছাড়াও বদরপাশা এলাকার নিহত রহিম খালাসীর ভাই আবুল খায়ের খালাসী বাদী হয়ে রাজৈর থানায় আরো একটি মামলা দায়ের করেছে। এই মামলা জুলহাস সরদারসহ ৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। অন্যদিকে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর থানায়ও জুলহাস সরদারের বিরুদ্ধে মানবপাচার আইনে মামলা দায়ের করেন বামনডাঙ্গা গ্রামের নিহত সুজন মৃধার পিতা কাবুল মৃধা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।