আন্তর্জাতিক ডেস্ক : লেবাননে ইসরায়েলের বিমান হামলায় হিজবুল্লাহর এলিট ফোর্স রাদওয়ান বাহিনীর এক সিনিয়র কমান্ডার নিহত হয়েছেন।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) নিরাপত্তাবিষয়ক ৩টি সূত্রের বরাতে এমন তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।
নিহত উইসাম আল-তাবিল রাদওয়ান বাহিনীর একটি ইউনিটের উপপ্রধান ছিলেন। সোমবার দক্ষিণ লেবাননের মাজদাল সেলম গ্রামে তাদের গাড়ির ওপর বিমান হামলা হলে তিনি ও আরেক হিজবুল্লাহ যোদ্ধা নিহত হয়েছেন।
একটি সূত্র বলেছে, ‘হামলাটি অত্যন্ত বেদনাদায়ক ছিল।’ আরেকটি সূত্র বলেছে, ‘এবার উত্তেজনা আরও বেড়ে যাবে।’
গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে লেবাননের দক্ষিণ সীমান্তজুড়ে ইসরায়েলের সাথে প্রায় প্রতিদিনই গুলি বিনিময় করছে হিজবুল্লাহ। ৭ অক্টোবর পর থেকে দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলি বোমা হামলায় ১৩০ জনের বেশি হিজবুল্লাহ যোদ্ধা নিহত হয়েছে। সিরিয়ায় আরও ১৯ জন নিহত হয়েছেন।
গত সপ্তাহে টেলিভিশনে দেওয়া দুটি ভাষণে ইসরায়েলকে লেবাননের বিরুদ্ধে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ শুরু না করার বিষয়ে সতর্ক করেছেন হিজবুল্লাহর প্রধান সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ। তিনি বলেন, যে কেউ আমাদের সাথে যুদ্ধের কথা ভাবলে, এক কথায় বলব তাকে অনুশোচনা করতে হবে।
এর আগে গত মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) লেবাননের বৈরুতে ইসরায়েলের ড্রোন হামলায় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাসের উপপ্রধান সালেহ আল-আরৌরি নিহত হন। নিহত আল-আরৌরি হামাসের পলিট ব্যুরোর একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি সংগঠনটির সামরিক বিষয়ে গভীরভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন। গত নভেম্বরে কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যকার সাময়িক যুদ্ধবিরতি ও বন্দিবিনিময় চুক্তির একজন প্রধান আলোচক ছিলেন তিনি। এর আগে ইসরায়েলের অধিকৃত পশ্চিম তীরে হামাসের কার্যক্রমের নেতৃত্ব দিয়েছেন ৫৭ বছর বয়সী আল-আরৌরি।
তার হত্যাকাণ্ডের পর ইসরায়েল ও হামাসের যুদ্ধ অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা পেরিয়ে মধ্যপ্রাচ্যর অন্যান্য অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ার যে শঙ্কা এতদিন ছিল তা আরও বেড়ে যায়। এবার আল-তাবিলের হত্যায় সেই ঝুঁকি আরও বাড়ল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।