জুমবাংলা ডেস্ক: জ্বালানি সাশ্রয়ে মঙ্গলবার থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় এলাকাভিত্তিক শুরু হয়েছে পরীক্ষামূলক এক ঘণ্টা লোডশেডিং। তবে বিদ্যুতের কোনো ঘাটতি না থাকায় দক্ষিণের আট জেলায় হবে না লোডশেডিং। এসব জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র।
লোডশেডিংয়ের এ শিডিউল বুধবার প্রকাশ করেছে ওজোপাডিকো। লোডশেডিংয়ের আওতামুক্ত আটটি জেলা হলো- বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, ঝালকাঠি, বরগুনা, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর ও মাদারীপুর। ওই শিডিউলে খুলনাসহ ১৩ জেলার তথ্য দেওয়া হয়েছে।
ওজোপাডিকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী আজহারুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ওজোপাডিকো সূত্রে জানা গেছে, ওজোপাডিকো দক্ষিণের ২১টি জেলা শহর ও ২০টি উপজেলায় বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করে। জেলা শহরগুলো হলো- খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, নড়াইল, যশোর, ঝিনাইদহ, মাগুরা, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জ, বরিশাল, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলা, পিরোজপুর।
এ ছাড়া ২০টি উপজেলা হলো- ফুলতলা, মোংলা, কালীগঞ্জ, কোটচাঁদপুর, মহেশপুর, শৈলকুপা, আলমডাঙ্গা, ভেড়ামারা ও কুমারখালী। এ ছাড়া পাংশা, গোয়ালন্দ, মধুখালী, সদরপুর ও ভাঙ্গা। আর বরিশাল বিভাগের ভান্ডারিয়া, বোরহানউদ্দিন, নলসিটি, কাঁঠালিয়া, চরফ্যাশন ও মনপুরা উপজেলা। এই ২১ জেলায় গ্রাহক রয়েছেন প্রায় ১৪ লাখ ২৮ হাজার। এর মধ্যে খুলনায় গ্রাহক আছেন প্রায় ২ লাখ ৪৫ হাজার।
ওজোপাডিকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী আজহারুল ইসলাম বলেন, খুলনা, বরিশাল বিভাগ, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, মাদারীপুর, শরীয়তপুর ও গোপালগঞ্জসহ ২১ জেলা শহরের বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা ওজোপাডিকোর আওতায় রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহের কারণে ওই ৮ জেলায় বিদ্যুতের ঘাটতি থাকছে না। এ জন্যই মূলত ওই জেলাগুলোতে লোডশেডিং প্রয়োজন নেই। তবে বাকি ১৩টি জেলায় লোডশেডিংয়ের আওতায় রয়েছে। এই জেলাগুলোর লোডশেডিংয়ের শিডিউল প্রকাশ করা হয়েছে। দৈনিক লোডশেডিংয়ের সূচি একদিন আগেই প্রকাশ করা হবে। তবে সেটি সরবরাহ দেওয়া সাপেক্ষে ঘাটতি অনুযায়ী সূচি প্রকাশ করা হবে।
এদিকে লোডশেডিংয়ের প্রথম দিনে দক্ষিণাঞ্চলের আওতায় ছিল ২১ জেলা। মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে ওজোপাডিকো ও পল্লী বিদ্যুতের ঘাটতি ছিল ৩২৮ মেগাওয়াট।
ওজোপাডিকোর কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে খুলনাসহ দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলায় বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ২ হাজার ৮৯ মেগাওয়াট। চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ ছিল ১ হাজার ৭৬১ মেগাওয়াট। ফলে বিদ্যুতের ঘাটতি দেখা দেয় ৩২৮ মেগাওয়াট। এর মধ্যে ওজোপাডিকোর ৫৮৫ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ দেওয়া হয় ৫১৯ মেগাওয়াট। ফলে ঘাটতি ছিল ৬৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।
এ ছাড়া পল্লী বিদ্যুতের এক হাজার ৫০৪ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ দেওয়া হয়ে এক হাজার ২৪২ মেগাওয়াট। ফলে ঘাটতি ছিল ২৬২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।
বিদ্যুৎ বিভাগের ২ প্রকৌশলীকে ৫ বছরের কারাদণ্ড, ৭০ লাখ টাকা জরিমানা
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।