আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আধুনিক সভ্যতায় বিজ্ঞান মানুষকে দিয়ে বহু সুবিধা। তার মধ্যে বিদ্যৎ অন্যতম। এটা ছাড়া সব কিছুই যেন অচল এখন। তবে লোডশেডিংয়ের মাত্রা বেড়ে গেলে অসুবিধার যেন অন্ত থাকে না। তাই তো লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে ব্যতিক্রমি পন্থা বেছে নিয়েছেন ভারতের কর্ণাট এর স্থানীয়রা। লোডশেডিং এর প্রতিবাদ জানাতে বিদ্যুৎ অফিসে কুমির নিয়ে হাজির হয়েছেন গ্রামের লোকজন। তবে কৃষকদের এমন অভিনব প্রতিবাদ বেশ শোরগোল ফেলে দিয়েছে।
ভারতীয় সংবাদ টিভি৯ এর মাধ্যমে জানা গেছে, সাম্প্রতি বৃষ্টি না হওয়ার কারনে প্রভাব পড়েছে চাষাবাদে। দিনে বিদ্যুৎ আর চাষের জন্য পর্যাপ্ত পানি না পেয়ে রাতেও কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন কর্ণাটকের কৃষকরা, ফলে জীবনের ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে। ক্ষেতে বিষধর সাপ এমন কী কুমির কিংবা ঘড়িয়াল ঢুকে পড়ার আশঙ্কা ছিলই, ঘটলও তাই।
হুবলি ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি বা হেসকম-এর (HESCOM) আওতাধীন এলাকায় বারবার লোডশেডিং হচ্ছিল। গত কয়েক দিন ধরে অনিয়মিত বিদ্যুৎ সরবরাহের অভিযোগ উঠেছে। এতে খুবই বিরক্ত হয় ওঠেন সেখানকার সাধারণ মানুষ। লোডশেডিংয়ের কারণে রাতে চারদিক অন্ধকার হয়ে পরে। ফলে জমিতে কুমির বা সাপ এলেও তা বোঝার উপায় থাকে না। এতে আতঙ্কে দিন কাটছিল সেখানকার বাসিন্দাদের।
সকালে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় রাতে ক্ষেতের কাজ করতে গিয়েছিলেন কৃষকরা। সেখানে দেখেন মস্ত এক কুমির ঢুকেছে জমিতে। সম্ভবত কৃষ্ণা নদী থেকে কুমিরটি জমিতে চলে এসেছিল। এরপরই কুমিরকে সঙ্গে নিয়েই বিদ্যুৎ অফিসে হাজির হন গ্রামের লোকজন। তারা জানিয়েছেন, বার বার লোডশেডিং হচ্ছে। বলেও লাভ হচ্ছে না। তারই প্রতিবাদে তারা কুমির নিয়ে হাজির হয়েছে।
ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ও বন দফতরের কর্মীরা সেখানে হাজির হয়। ওই কুমিরটিকে উদ্ধার করে কাছের একটি বড় জলাশয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। বিক্ষোভ থামাতে শেষ পর্যন্ত চাষীদের অন্তত দিনের বেলা পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিদ্যুৎ দফতর।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।