জুমবাংলা ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসি এলাকা থেকে ফুল বিক্রেতা জিনিয়াকে অপহরণের ঘটনায় নূর নাজমা আক্তার লোপা তালুকদার (৪২) নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা রমনা বিভাগ। কিন্তু কে এই লোপা তালুকদার, অনেকের মনেই এ প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে।
জানা গেছে, সমাজের সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে ছবি রয়েছে এই লোপা তালুকদারের। মন্ত্রী এমপি, এমনকী খোদ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও ছবি তুলে ফেলেছেন। তাই অনেকেই ‘লোপা’কে রিজেন্ট গ্রুপের সাহেদের ‘লেডি ভার্সন’ বলছেন।
জিনিয়াকে ‘অপহরণের’ ঘটনায় লোপা তালুকদারের অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তার মেয়েও। তবে তাকে এখনো আটক করা হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাকে পুলিশ খুঁজছে বলে জানা গেছে। জিনিয়া অপহরণের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) দুই দিনের রিমান্ডে রয়েছেন লোপা।
তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে অনেককে চাকরি দেওয়ার কথা বলে প্রচুর টাকা নিয়েছেন লোপা। এ অভিযোগে দু’জন ইতিপূর্বে শাহবাগ ও মতিঝিল থানায় জিডি করেছেন। এখন লোপার বিরুদ্ধে তারা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।
ডিবির রমনা অঞ্চলের অতিরিক্ত উপকমিশনার ও মামলার তদন্ত তদারক কর্মকর্তা মিশু বিশ্বাস গণমাধ্যমকে বলেন, লোপার অতীত ভালো নয়, বাড়ি পটুয়াখালী। সেখানে অন্তঃসত্ত্বা নারী হত্যা মামলার আসামি ছিলেন তিনি। সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামী মারা যাওয়ার পর বিভিন্ন সময় বেআইনি কাজে যুক্ত হয়েছেন তিনি।
এখন তার মেয়েকেও খুঁজছে পুলিশ। সংশ্লিষ্টদের ধারণা, জিনিয়াকে দিয়ে অনৈতিক কর্মকাণ্ড করানোর পরিকল্পনা থেকেই শিশুটিকে অপহরণ করা হয়। গত সোমবার রাতে নারায়নগঞ্জের ফতুল্লা থানার আমতলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে জিনিয়াকে উদ্ধার করা হয়। এসময় গ্রেফতার করা হয় লোপা তালুকদারকে। এরপর থেকেই তার বিষয়ে নানা ধরনের তথ্য সামনে আসতে শুরু করে।
জানা গেছে, লোপা তালুকদার অনেকেরই পরিচিত। মন্ত্রী, এমপি, এমনকী খোদ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও ছবি তুলেছেন। তিনি নাকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় প্রেসক্লাব এলাকার পরিচিত মুখ। বড় বড় সাংবাদিকদের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ধরনের খবর এখন ভেসে বেড়াচ্ছে।
তাকে গ্রেপ্তারের পর ডিবির যুগ্ম কমিশনার মাহাবুবুর রহমান বলেন, লোপা তালুকদার বিভিন্ন প্রলোভনের মাধ্যমে জিনিয়াকে ফুঁসলিয়ে নারায়নগঞ্জে তার বোনের বাড়িতে রাখে। তার উদ্দেশ্য ভালো ছিল না, খারাপ উদ্দেশ্য থাকতে পারে। তাকে প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি তিনি স্বীকার করেছেন।
তিনি বলেন, তার মাকে না জানিয়ে সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এছাড়া তার মা বা কেউ যাতে না জানে সে ব্যবস্থাও নিয়েছে। সেখানে সে রেখেছিল, চেষ্টা করেছে এটা যাতে আর কেউ না জানে। কাজেই অসৎ উদ্দেশ্যেই তাকে নিয়েছে বলে আমরা মনে করি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।