বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক: ল্যাপটপ আজকাল অনেক কাজেই ব্যবহৃত হয়। বিশেষকরে মৌলিক কম্পিউটিং থেকে শুরু পড়াশুনা, বিনোদন, কমার্সিয়াল ভাবে ব্যবহার করা হয়। ল্যাপটপ হচ্ছে কম্পিউটার একটি পোর্টেবল ভার্শন, কম্পিউটার দিয়ে যে সকল কাজ করা হয় ল্যাপটপ দিয়েও সে সকল কাজ করা যায়। সবারই মনের আকাঙ্ক্ষা থাকে একটি ভালো মানের ল্যাপটপ কেনার।
বাংলাদেশের মার্কেটে থেকে কিভাবে সেরা ল্যাপটপ বাছাই করে নেবেন তার কিছু টিপস জেনে নেওয়া যাক-
ব্র্যান্ড সিলেকশন
পণ্যের ব্যান্ড হচ্ছে গ্রাহকের বিশ্বস্ততার জায়গা। একটি বিশ্বস্ত ও পরিচিত ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ কিনতে হলে আগে থেকে সম্পর্কে জেনে সিলেকশন করতে হবে। বর্তমানে বাংলাদেশের বাজারে এইচপি, ডেল, লেনেভো, এসুস, এসার এবং অ্যাপল ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ পাওয়া যায়। ব্র্যান্ড অনুযায়ী প্রত্যেক ল্যাপটপের দাম ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। তাই বাজেট অনুযায়ী কোন ব্র্যন্ডের ল্যাপটপ কিনবেন তা পূর্বে থেকে নির্ধারণ করা জরুরি।
প্রসেসরের ধরন
বর্তমান বাজারে দুইটি ব্র্যান্ডের প্রসেসর পাওয়া যায় একটি হচ্ছে ইন্টেল প্রসেসর ও অপরটি হচ্ছে রাইজেন প্রসেসর। ল্যাপটপের প্রসেসর কেমন হওয়া উচিৎ তা নির্ভর করবে আপনার কাজের ধরনের উপরে। ল্যাপটপ দিয়ে যত বেশি কিংবা ভারি কাজ করা হবে ল্যাপটপের প্রসেসর তত বেশি শক্তিশালী নিতে হবে। আর সাধারণ কাজের কোর আই-৫ প্রসেসরই যথেষ্ঠ হবে। প্রসেসরের কোর এবং জেনারেশনের যত বেশি হবে ল্যাপটপের দাম তত বেশি হবে।
ডিসপ্লের আকার
ল্যাপটপের ডিসপ্লে সাইজ মূলত ইঞ্চিতে পরিমাপ করা হয়। স্ট্যান্ডার্ড মানের ল্যাপটপের স্ক্রিন সাইজ মূলত ১৪ ইঞ্চি হয়ে থাকে। ডিস্প্লের আকারের উপরে নির্ভর করবে ল্যাপটপের সাইজ ও ওজন। ওজনে হালকা ল্যাপটপ নিতে হলে ১৪ ইঞ্চি স্ক্রিনের ল্যাপটপ, এবং কাজের জন্য প্রয়োজনে ১৫.৬ ইঞ্চি স্ক্রিনের ল্যাপটপ নিতে পারেন যদিও এটির ওজন কিছুটা বেশি।
স্টোরেজ বা হার্ড ড্রাইভ
হার্ড ড্রাইভের ধরন: দুটি প্রধান ধরনের হার্ড ড্রাইভ রয়েছে – HDD (হার্ড ডিস্ক ড্রাইভ) এবং SSD (সলিড স্টেট ড্রাইভ)। এইচডিডি একটি এসএসডি থেকে সস্তা কিন্তু ধীর। যখন একটি এসএসডি একটি এইচডিডি থেকে বেশি ব্যয়বহুল। তবে এসএসডি অনেক দ্রুত! আপনি কি ধরনের ব্যবহারকারী তার উপর ভিত্তি করে হার্ড ড্রাইভ নির্বাচন করা উচিত।
হার্ড ড্রাইভের আকার: আপনার সব ফাইল সংরক্ষণ করার জন্য আপনার ল্যাপটপের যথেষ্ট হার্ড ড্রাইভ ক্ষমতা থাকা দরকার। তাই আপনার ল্যাপটপের হার্ড ডিস্কের আকার বিবেচনা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রাইমারি একটি ল্যাপটপের জন্য কমপক্ষে ৫০০ জিবি স্টোরেজ স্পেস হলে ভালো।
হার্ড ড্রাইভের গতি: এটাও গুরুত্বপূর্ণ যে আপনার ল্যাপটপে থাকা হার্ড ডিস্ক ড্রাইভ এর পরিবর্তে একটি সলিড স্টেট ড্রাইভ (এসএসডি) রয়েছে কিনা? একটি এসএসডি ল্যাপটপকে সবকিছুকে অনেক দ্রুত এবং মসৃণ করে কাজ করতে পারে। অল্প সময়ের মধ্যে দ্রুত কাজ করতে এসএসডি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
র্যাম সাইজ
র্যাম (Random Access Memory – RAM) হলো একটি কম্পিউটারের প্রাথমিক মেমরি। এটি আপনার হার্ড ড্রাইভের চেয়ে অনেক দ্রুত ডাটা এক্সেস বা সংরক্ষণ করতে পারে। ল্যাপটপের পাওয়ার বন্ধ করলে ডেটা সঞ্চয় করে রাখার কাজ করে। আপনার প্রয়োজনীয় র্যামের পরিমাণ নির্ভর করে আপনি কোন প্রোগ্রাম এবং ফাইলগুলো ব্যবহার করেন তার উপর।
বাজেট
ল্যাপটপ কেনার আগে অবশ্যই দাম বাজেট নির্ধারণ করতে হবে। কারণ বাজেটর উপরের ব্র্যান্ড ও মডেল নির্ভর করবে। তাই বেস্ট কোয়ালিটির ল্যাপটপের দাম জেনে নিতে ভিজিট করতে পারেন bdstall.com এর ওয়েবসাইট থেকে। প্রয়োজনে নির্ধারিত শো রুমে গিয়ে ভিজিট করে ল্যাপটপ কিনতে পারবেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।