Close Menu
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Facebook X (Twitter) Instagram
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Bangla news
Home শবে বরাতের গুরুত্ব ও আমাদের করণীয়
ইসলাম ধর্ম

শবে বরাতের গুরুত্ব ও আমাদের করণীয়

Saiful IslamApril 3, 20206 Mins Read
Advertisement

ধর্ম ডেস্ক : শবে বরাতের প্রকৃত নাম: এই রাতের নাম হাদীসের ভাষায় ‘লাইলাতুল নিসফ মিন শা’বান’ বা শা’বানের মধ্য রাত। আমরা এই রাতকে শবে বরাত কিংবা লাইলাতুল বরাত বলে থাকি। তিরমিজী, ইবনে মাজাহ ও সহীহ ইবনে হিব্বানে শবে বরাত সম্পর্কে হাদীস উদ্বৃত হয়েছে । ইমাম ইবনে হিব্বান বিশুদ্ধ সব হাদীস সহীহ ইবনে হিব্বানে চয়ন করেছেন। এ কিতাবে এই রাত্র সম্পর্কে আলোচনা এসেছে। চারজন বিখ্যাত ফেকাহর ইমামদের মধ্যে একজন হচ্ছেন ইমাম আহমদ (রহ:)। তিনি হাদীসের যে গ্রন্থ সঙ্কলন করেছেন তার নাম হল ‘মুসনাদ’। সেই কিতাবেও এই রাত সম্পর্কে হাদীসে এসেছে। আমরা পূর্বেই বলেছি হাদীসের গ্রন্থ সমূহে এই রাত্রকে লাইলাতুল বরাত কোথাও বলা হয়নি। এই রাত সম্পর্কে হাদিসে শিরোনাম ব্যবহৃত হয়েছে- “শাবানের মধ্যরাত সম্পর্কে বর্ণনা”। আমাদের সমাজে এ রাতের প্রচলিত নাম হল ‘শবে বরাত’। ‘শব’ শব্দটি ফার্সি। অর্থ হল রাত। আর ‘বরাত’ মানে হচ্ছে বন্টন। কাজেই ‘শবে বরাত’ অর্থ দাঁড়ায় বন্টনের রাত। এ নাম জন সাধারনে বহুল প্রচলিত ।

শবে বরাতের গুরুত্ব এবং আমাদের করনীয়: এই রাতের গুরুত্ব, তাৎপর্য সম্পর্কে হযরত আয়শা (রাঃ) বর্ণনা করেন যে, এক রাতে আল্লাহর রাসুল আমার ঘরে থাকার কথা ছিল, রাতে তিনি আমার ঘরে শুয়েছেন। হঠাৎ আমার ঘুম ভেঙ্গে যাওয়ার পর আমি আশে পাশে অনেক খুঁজে দেখলাম যে, আল্লাহর রাসুল (সাঃ) বিছানায় নেই। আমি সন্দেহ করলাম, কি ব্যাপার, আল্লাহর রাসুল কি আজকে আমাকে ছেড়ে অন্য কোন স্ত্রীর ঘরে চলে গেলেন? আজকের রাততো আমার হক্ব। জেনে রাখা দরকার, যাদের একাধিক স্ত্রী আছে তাঁদের সপ্তাহ কিংবা মাসকে প্রত্যেক স্ত্রীর জন্য বরাদ্দ করতে হয়। যদি দু’জন থাকে, এক মাসকে দু’ভাগে ভাগ করতে হবে। ১৫ দিন এক স্ত্রীর ঘরে, আর ১৫ দিন অন্য স্ত্রীর ঘরে। ১৫ দিন তার ঘরে থাকা স্বামীর জন্য ওয়াজিব, থাকতেই হবে। শারীরিক সঙ্গম করুক বা না করুক কিন্তু থাকতে হবে। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন যে, আজ রাত্রে তো আল্লাহর রাসুল আমার ঘরে থাকার কথা, তিনি কোথায়? রাসুলকে খোঁজার জন্য তিনি বের হয়ে গেলেন, বের হয়ে দেখলেন মসজিদে নববীর পার্শ্বে জান্নাতুল বাকী কবরস্থান, (যেখানে অসংখ্য সাহাবার কবর আছে) সেখানে তিনি দাঁড়িয়ে যিয়ারত করছেন। আল্লাহর রাসুল যখন টের পেলেন যে, হযরত আয়শা (রাঃ) এসেছেন, তখন তিনি আয়েশার সাথে কথা বললেন, জিজ্ঞাস করলেন, হে আয়েশা তোমার কি আশঙ্কা হয়েছে যে, আল্লাহর রাসুল তোমার উপর জুলুম করবেন? তোমার প্রাপ্য হক্ব নষ্ট হবে? জেনে রাখ আল্লাহর রাসুল কারো হক নষ্ট করতে পারেনা। কোন মানুষের উপর জুলুম করতে পারেনা। হে আয়েশা, আজকের রাত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন রাত। এই রাতে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন প্রথম আসমানে অবতরন করেন, অর্থাৎ মাগরিব থেকে অল্লাহ রাব্বুল আলামীন রহমত নিয়ে বান্দাদেরকে প্রথম আসমানে আসেন। ফয়জুল কাদীর কিতাবে এই হাদীসের ব্যাখ্যায় লেখক বলেন, আল্লাহ রহমতের দৃষ্টি বান্দাদের প্রতি নিবদ্ধ করার জন্য তার রহমত তিনি প্রেরন করেন। রাসূল সা. বলেন, হে আয়েশা! আল্লাহ তাআলা দয়া নিয়ে আজকের এই রাতে প্রথম আসমানে নাজিল হন এবং প্রচুর সংখ্যক মানুষের গোনাহকে ক্ষমা করেন। এজন্যেই আমি যারা কবরের মধ্যে শুয়ে আছে তাঁদের যিয়ারত করতে এসেছি। তাঁদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি। এই হাদীস ইমাম তিরমিজী (রহঃ) বর্ণনা করেছেন। হাদীস দ্বারা বুঝা যায়, এই রাত হচ্ছে তাওবার রাত, এই রাত হচ্ছে আল্লাহর কাছে পাওয়ার রাত, চাওয়ার রাত। এই রাত হচ্ছে আল্লাহর দরবারে কাঁদার রাত। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন গোনাহ মাফ করার জন্য প্রস্তুত। আমাদের মাফ চাইতে হবে।

শবে বরাতে যা যা করনীয়: আমরা শবে বরাতে ঘরে কিংবা মসজিদে নীরব জায়াগায় আল্লাহর দরবারে কান্নার চেষ্টা করব। কারণ, এই রাত হচ্ছে কান্নার রাত, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এই রাতে লক্ষ লক্ষ মানুষকে ক্ষমা করবেন। আর আমি যেন এই লক্ষ মানুষের বাহিরে না থাকি। আল্লাহ রহমতের চাদরে যেন আমি অন্তর্ভূক্ত থাকি। চাদরের বাহিরে যেন আমার স্থান না হয়। এ জন্য আল্লাহর কাছে কাঁদতে হবে। হাদীসে আছে মশার ডানা পরিমান অর্থাৎ এক কণা চোখ দিয়ে যদি পানি বের হয়ে ঝরে পড়ে যায় তাহলে সে চোখকে কখনো জাহান্নামের আগুন স্পর্শ করবেনা। অর্থাৎ সে লোককে জাহান্নাম থেকে মুক্ত করে দিবেন। আসুন শবে বরাতে আমরা কাঁদি এবং দুআ করি, হে আল্লাহ তুমি আমাদেরকে ক্ষমা করে দাও। হে আল্লাহ তুমি মাবুদ, তুমি রহমান, তুমি রহীম, আমাদেরকে ক্ষমা করে দাও। এভাবে বলব আর কাঁদবো। আল্লাহর কাছে চাইব, নিজেকে ছোট করব, তাওবা করব। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পবিত্র কোরআনে বার বার বলেন, হে বান্দা তাওবা কর, ক্ষমা চাও, মাফ চাও, দুনিয়ার মানুষ মাফ চাইলে মাফ করতে পারেনা, কিন্তু আল্লাহ পাক বলেন: আমি মাফ করে দিতে প্রস্তুত। আমি রাহমানুর রাহীম।

শবে বরাতে একটি বিশেষ আমল নামায: এ রাতে অধিক হারে নফল নামাজ আদায় করার চেষ্টা করা। দু’রাকাত নফল নামাজ যদি আল্লাহর দরবারে কবুল হয় আমরা জান্নাতে যাওয়ার জন্য সে দু’রাকাতই যথেষ্ট হয়ে যাবে। বোখারী এবং মুসলিম শরীফের হাদীস- অর্থাৎ এমনভাবে তুমি এবাদত করবে আল্লাহকে যেন তুমি দেখছো। এতটুকু যেতে না পারলেও অন্তত মনে করবে যেন আল্লাহ তোমাকে দেখছেন। আমি আল্লাহ তাআলার দরবারে দাঁড়িয়েছি শুরু থেকে সালাম ফিরানো পর্যন্ত পুরা দু’রাকাত নামাজে যদি আমাদের এই মনোভাব থাকে। অবশ্যই তিনি আমাদের নামাজ কবুল করবেন। বৎসরের প্রতি রাতেইতো আমরা ঘুমাচ্ছি। অন্তত কয়েকটি রাত, শা’বানের মধ্য রাত, কদরের রাত এবং দুই ঈদের রাত জাগ্রত থেকে পূর্নরাত এবাদত করে আল্লাহ দরবারে যদি কাটিয়ে দিই, তাহলে আমাদের কোন ক্ষতি হবেনা। কাজেই রাতে আমরা নামাজ পড়বো, এরপর সুন্দরভাবে শুদ্ধ করে কোরআন তেলওয়াত করবো। যখন জান্নাতের কথা আসবে ‘জান্নাত’ শব্দ আসবে তখন আল্লাহ তাআলার কাছে ফরিয়াদ করব, হে আল্লাহ, তুমি আমাদেরকে জান্নাতের অধিকারী করে দাও। আর যখন জাহান্নাম শব্দ আসবে তখনও আল্লাহর কাছে বলব, হে আল্লাহ তুমি আমাদেরকে জাহান্নাম হতে পরিত্রাণ দাও। এভাবে কোরআন কারীমের তেলাওয়াত করব। এরপর বেশি করে আল্লাহর নবীর উপর দুরুদ শরীফ পাঠ করব। একবার যে ব্যক্তি আল্লাহর নবীর উপর দুরুদ পাঠ করবে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তার উপর দশটি রহমত নাজিল করবেন। যে দোয়ার শুরুতে দুরুদ পড়া হয়না, আল্লাহ তাআলা তা কবুল করেন না। এজন্য দোয়ার শুরুতেও দুরুদ পাঠ করতে হবে এবং শেষেও দুরুদ পাঠ করতে হবে। সংক্ষিপ্ত দুরুদ আছে যেমন, ‘সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ বা ‘আসসালাতু ওয়াসসালামু আলা সৈয়্যদিল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন’ ছোট বড় দুরুদ শরীফ বেশি করে আমরা পড়ব। এরপর আমরা ‘ইস্তেগফার’ করব। বলবো হে আল্লাহ অনেক গোনাহ করেছি, সে গোনাহ থেকে আমরা ক্ষমা চাই এটাকে বলা হয় ‘ইস্তেগফার’। ইহা বার বার করতে থাকব। কারণ এটা তাওবার রাত, গোনাহ মাফ চাওয়ার রাত। এ জন্য দুরুদ এবং ইস্তেগফার বেশি বেশি আদায় করতে হবে। আর রাতে আমরা কবর যিয়ারত করব। একটু আগেই হযরত আয়শা (রাঃ)’র বর্ণনা থেকে আমরা জানতে পেরেছি যে, এ রাতে মহানবী (সাঃ) কে জান্নাতুল বাকীতে যিয়ারত করা অবস্থায় তিনি দেখতে পেয়েছেন। কাজেই কবর যিয়ারত করার জন্য আমরা চেষ্টা করব।

দিনে রোজা পালন: ইবনে মাজা শরীফের হাদীসে আছে- যখন শাবানের মধ্যরাত আসবে তখন তোমরা আল্লাহর ইবাদত কর, কান্নাকাটি কর, ইবাদতের মাধ্যমে রাত জাগ্রত কর। আর দিনের বেলায় রোজা রাখ। শাবান মাসে আল্লাহর রাসুল সবচেয়ে বেশি রোজা রাখতেন, বিশেষ করে মধ্য শাবান ১৫ তারিখের রোজা রাখার কথা হাদীস দ্বারা প্রমানিত। তাহাজ্জুদ নামায: এ রাতে যারা অসুস্থ কিংবা দুর্বল পুরা রাত এবাদত করার সুযোগ হবেনা, তারা তাড়াতাড়ি শুয়ে ভোর রাতে উঠে যাবে। যাতে তাহজ্জুদ নামাজ আদায় করা যায়। কারণ তাহাজ্জুদের সময় দোয়া কবুলের উপযুক্ত সময়। বিশেষ করে মধ্য শাবানের এই রাতে তাহাজ্জুদ যেন কারো ছুটে না যায়। এই রাতে যদি আমি তাহাজ্জুদ পড়তে না পারি আমার চেয়ে পোড়া কপাল আর কে হতে পারে। এজন্য দুর্ভাগা মানুষের তালিকায় যেন আমার নাম অন্তর্ভূক্ত না হয়। সেহরী খেয়ে ফজরের নামাজ মসজিদে এসে জামাতে আদায় করতে হবে, কারণ হাদীসে এসেছে, যে ব্যক্তি এশার নামাজ এবং ফজরের নামাজ মসজিদে এসে জামাতের সাথে আদায় করবে, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পুরা রাত ইবাদত করার সওয়াব তাঁকে দান করবেন। কাজেই এশা এবং ফজরের নামাজকে প্রথম তাকবীরের সাথে আদায় করার চেষ্টা করতে হবে। এছাড়াও শবে বরাতে যত পারি জিকির করবো, তাসবিহ পাঠ করবো, সাধ্যমতে দান সদকা করবো। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদেরকে কুরান হাদিসের আলোকে শবে বরাত পালন করার তাওফিক দান করুন। আমিন

জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
Related Posts
জানাজার নামাজের নিয়ম

জানাজার নামাজের নিয়ম, দোয়া ও ফজিলত

December 20, 2025
গায়েবানা জানাযা

গায়েবানা জানাযা কি, কখন কিভাবে আদায় করতে হয়?

December 20, 2025
জান্নাত লাভের যোগ্য

যেসব গুণ মানুষকে জান্নাত লাভের যোগ্য করে তোলে

December 19, 2025
Latest News
জানাজার নামাজের নিয়ম

জানাজার নামাজের নিয়ম, দোয়া ও ফজিলত

গায়েবানা জানাযা

গায়েবানা জানাযা কি, কখন কিভাবে আদায় করতে হয়?

জান্নাত লাভের যোগ্য

যেসব গুণ মানুষকে জান্নাত লাভের যোগ্য করে তোলে

জুমা

জুমার দিন যে দোয়া পাঠে ৮০ বছরের গুনাহ মাফ হয়

ঋণ মুক্তির দোয়া

ঋণ মুক্তির দোয়া কখন-কীভাবে পড়বেন?

তালাক

তালাক পরবর্তী মীমাংসায় ইসলামের নির্দেশনা

মূলনীতি

কোরআন ও সুন্নাহর মতে সফল মুমিনের তিন মূলনীতি

ভালোবাসা

কোরআন ও হাদিসের আলোকে আল্লাহর ভালোবাসা লাভের ১০ আমল

রিজিক

হাদিসের আলোকে রিজিক বৃদ্ধি

আল্লাহর প্রথম সৃষ্টি

আল্লাহর প্রথম সৃষ্টি কী—আলেমদের মতামত ও কোরআন-হাদিসের দলিল

  • About Us
  • Contact Us
  • Career
  • Advertise
  • DMCA
  • Privacy Policy
  • Feed
  • Editorial Team Info
  • Funding Information
  • Ethics Policy
  • Fact-Checking Policy
  • Correction Policy
© 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.