লাইফস্টাইল ডেস্ক : মরিচের কথা শুনলেই প্রথমে ঝাল স্বাদের কথা মাথায় আসে। কাঁচা মরিচ ও লাল মরিচ দুটোতেই পুষ্টিগুণ অনেক বেশি। দুইটির স্বাদও কিছুটা ভিন্ন। তবে শুধু স্বাদই না মরিচের অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা আছে।
পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মরিচের দুটো জাতেই ক্যাপসাইসিন থাকে। ক্যাপসাইসিন হলো সেই যৌগ যা মুখে পানি এনে দেয়। এটি প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে, যা সাধারণত ক্যান্সার সহ বেশিরভাগ রোগের জন্য এখন দায়ী। যে মরিচে ঝাল যত বেশি তা তত বেশি ক্যাপসাইসিন সরবরাহ করে।
শুধু তাই নয় ক্যাপসাইসিন কোলেস্টেরলের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেসও নিয়ন্ত্রণে রাখে। আর এ দুটোই কার্ডিয়ার রোগের ঝুঁকির কারণ। এছাড়া এটি পেটও ভালো রাখে।
মরিচকে বিশেষ করে তোলে কোন উপাদান : মরিচের লাল জাতগুলোতে বিটা-ক্যারোটিন এবং ভিটামিন এ বেশি থাকে, এই কারণেই তা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় সএবং স্বাস্থ্যকর শ্লেষ্মা ঝিল্লি উন্নত করে। এটি ফুসফুস, অনুনাসিক প্যাসেজ, প্রস্রাব এবং অন্ত্রে রক্ত জমা থেকে দূরে রাখে।
অন্যদিকে, সবুজ মরিচগুলোতে পানির পরিমাণ বেশি থাকে এবং এতে ক্যালোরির পরিমাণ থাকে শূন্য। যারা ওজন কমাতে চায় তাদের জন্য কাঁচা মরিচ ভালো। এই মরিচে প্রচুর পরিমাণে বিটা-ক্যারোটিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। কাঁচা মরিচ রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে, হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করতে এবং ভিটামিন ই এবং সি থাকার কারণে ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করে। তাছাড়া, এটি হার্টকে সুস্থ রাখে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করে।
আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন ফর ক্যান্সার রিসার্চের মতে, মরিচের ক্যাপসাইসিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লিউকেমিয়া এবং প্রোস্টেট ক্যান্সারের কোষকে মেরে ফেলতে পারে। আর তা সম্ভব হয় মূলত মরিচের উচ্চ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যের কারণে।
মরিচ খাওয়ার সবচেয়ে ভালো উপায় : লাল এবং সবুজ উভয় মরিচ খাওয়ার সর্বোত্তম উপায় হল সেগুলি কাঁচা অবস্থায় খাওয়া। এতে করে মরিচ গুঁড়ায় যে ভেজাল বা কৃত্রিম রঙ মেশায় তা থেকে আপনি মুক্তি পাবেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।