বিনোদন ডেস্ক: ছোট থেকেই কথা বলা ও শোনার ক্ষমতাই নেই। এই শারীরিক অক্ষমতার জন্য ছোট থেকেই সকলের অবজ্ঞার পাত্রী ছিলেন বিদিশা বালিয়ান। জীবনের প্রতিটি পদে হোঁচট খেতে হয়েছিল তাকে। একটা সময় যেন আঁধার নেমে এসেছিল তার জীবনে। তবে সমস্ত বাধা–বিপত্তি কাটিয়ে আজ তিনি জয়ী। ভারতের উত্তরপ্রদেশের মুজফফর নগরের বাসিন্দা একুশের এই তরুণী জিতলেন ‘মিস ডিফ ওয়ার্ল্ড ২০১৯’ খেতাব।
যে সময় সকলে তাকে হেয় করতেন। ছুঁড়ে দিতেন ব্যঙ্গ–বিদ্রুপ। সে সময় তিনি স্বপ্ন দেখতেন একদিন মিস ওয়ার্ল্ড হবেন। কী করে হবেন সেই পথ তার জানা ছিল না। তবে ছোট থেকেই নানা সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার বিষয়ে খুঁটিয়ে পড়তেন।
সুযোগ পেলে টিভিতে দেখতেন। মেয়ের উৎসাহ দেখেই তার বাবা প্রথমে তাকে টেনিসে ভর্তি করে দেন। বিদিশাই প্রথম ভারতীয় যিনি অন্তর্জাতিক টেনিস প্রতিযোগিতায় মূক ও বধির বিভাগে ভারতের হয়ে একমাত্র প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। কিন্তু পরে কোমরে চোট পাওয়ায় খেলা ছাড়তে বাধ্য হন। এরপরই তিনি উত্তরপ্রদেশ থেকে চলে যান নয়ডায়। সেখানে একটি ইন্সটিটিউটে প্রশিক্ষণ নিয়ে গুরুগ্রাম ও নয়ডার একটি সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। সেই প্রতিযোগিতায় তিনি সকলের মন জিতে নেন।
সেখান থেকে খবর পেয়েই তিনি নাম লেখান বিশ্ব মূক ও বধির সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায়। দক্ষিণ আফ্রিকায় বসেছিল এই প্রতিযোগিতার মূল পর্ব। গত ২২ জুলাই সেখানেই আরও ১১ জনের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর জয়ের মুকুট ছিনিয়ে নেন তিনি। বিদিশার কথায় এবং তাণ্ডবনৃত্যে মুগ্ধ বিচারকেরা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের একটি ছবি শেয়ার করে বিদিশা লেখেন, ‘যেসব স্বপ্ন একদিন দেখতে শুরু করেছিলাম সবে তার শুরু। অনেক লড়াই আর কষ্টের পর আজ এই সম্মান আমি পেলাম। আমার মতো এরকম আরো অনেকেই আছেন যারা সঠিক সুযোগের অভাবে এখনো অন্ধকারে। অনেক পথ চলা বাকি। রবার্ট ফর্স্টের কথার সূত্র ধরে বলেন– ‘Miles to go before I sleep’।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।