আন্তর্জাতিক ডেস্ক : একদিন নয়, দুদিন নয়! প্রায় এক বছর। এক বছর ধরে টয়লেটে বন্দি জীবন। ভারতের হরিয়ানার পানিপথের রিশপুর জেলায় স্বামীর অত্যাচারের শিকার এক নারীর ঘটনা শুনলে গায়ে কাঁটা দেবে। এক বছর ধরে স্বামী ওই নারীকে শৌচাগারে আটকে রেখেছিল। নারী সুরক্ষা অফিসার ও তার দল হানা দিয়ে ওই নারীকে উদ্ধার করেন।
ওই নারীর স্বামীর দাবি, মানসিক রোগী হওয়ায় স্ত্রীকে শৌচাগারে বন্ধ করে রাখতেন তিনি। যদিও নারী সুরক্ষা অফিসার রজনী গুপ্তার দাবি, ওই নারীকে দেখে মোটেও মানসিক রোগী মনে হয়নি। বরং দীর্ঘদিন অভুক্ত রয়েছেন বলে ওই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
সংবাদসংস্থা এএনআইকে রজনী গুপ্তা জানিয়েছেন, ‘আমার কাছে খবর আসে, রিশপুর গ্রামে এক নারীকে তার স্বামী এক বছর ধরে টয়লেটে বন্দি করে রেখেছেন। তারপর নিজের টিম নিয়ে হানা দিই। তারপর এসে দেখলাম, খবর সত্যি ছিল। নারীটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে দেখে মানসিক রোগী মনে হয়নি। বরং অনেক দিন না খেয়ে ওই নারী দুর্বল হয়ে পড়েছেন। এদিন ঠিক করে দাঁড়াতেও পারছিলেন না তিনি।’
ওই নারীর স্বামীর বিরুদ্ধে পুলিশ মামলা রুজু করেছে।
রজনী গুপ্তা জানিয়েছেন, ওই নারীর স্বামী নির্যাতন করার জন্য তাকে টয়লেটে বন্দি করে রেখেছিলেন। খেতেও দিতেন না। উদ্ধার করার পর তাকে পরীষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই নারীর স্বামীকে আটক করা হয়েছে। ওই নারীকে চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যদি ওই নারী মানসিক রোগী হন তাহলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হবে। আর তার স্বামীকে গ্রেফতার করে আদালতে পেশ করা হবে। সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।