বিনোদন ডেস্ক : হৃতিক রোশনকে বলা হয় বলিউডের ‘গ্রিক গড’। ৫০-এর গণ্ডি পেরোলেও তার হ্যান্ডসাম লুকে এখনও ফিদা কিশোরী-যুবতী-তরুণী। সোনার চামচ মুখে দিয়ে জন্মালেও বলিউডে হৃতিকের সফরটা কিন্তু মোটেই সহজ ছিল না। অভিনেতা হিসাবে ক্যারিয়ার শুরুর অনেক আগেই বাবার সহকারী পরিচালক হিসাবে কাজ করতেন হৃতিক। ইনস্টাগ্রামে সেই ঘটনার বিস্তারিত জানিয়েছেন হৃতিক নিজেই।
নব্বই দশকের অন্যতম ব্লকবাস্টার ছবি ‘করণ অর্জুন’-এ সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছিলেন হৃতিক রোশন। ফের বড়পর্দায় আসছে করণ অর্জুন। নস্টালজিয়ায় ভেসে ইনস্টাগ্রামে ১৯৯৫ সালের ছবির সেট থেকে বেশ কয়েকটি ছবি শেয়ার করেছেন হৃতিক।
ছবিতে হৃতিককে ‘করণ’ ও ‘অর্জুন’ সালমান খান ও শাহরুখ খানের সঙ্গে দেখা গেছে। পোস্টের সঙ্গে হৃতিক শেয়ার করেন, ‘করণ অর্জুন’ অভিজ্ঞতা।
তিনি লেখেন, ‘করণ আর অর্জুনের সঙ্গে আমাকে তরুণ কবিরের মতো লাগছে। সহকারী হিসেবে আমার মনে আছে, মুক্তির দিন মিনার্ভা ছিল মূল প্রেক্ষাগৃহ। আমি ও বাবার অন্য সহকারী অনুরাগ মুক্তির আগে ছবিটি দেখে অবিশ্বাস্যভাবে হতাশ হয়েছিলাম। কারণ, প্রিন্টটি ছিল অন্ধকার এবং নিস্তেজ দেখাচ্ছিল। আমরা পুরো পর্দাটি ধুয়ে ফেললাম। ময়লা পরিষ্কার হওয়ার পর ম্যানেজারকে বলতে শুনলাম ২৫ বছর পর স্ক্রিন পরিষ্কার করা হলো!’
এদিন আরেকটি মজার তথ্যও ভক্তদের সঙ্গে ভাগ করে নেন অভিনেতা। তার ভাষ্যে, ‘এক গভীর রাতে শাহরুখ ও সালমান গাড়িতে করে দিল্লি যাওয়ার প্ল্যান করে। তারা বলে, সকালের মধ্যে ফিরে আসবে। আমি হতভম্ব হয়ে গেলাম এবং তাদের থামাতে গাড়ির বনেটে (আক্ষরিক অর্থে) ঝাঁপিয়ে পড়লাম। কলটাইম ছিল সকাল ছয়টা। আমাকে নিশ্চিত করতে হয়েছিল, বাবার শুটিংয়ের দিনটি যেন তারা নষ্ট না করে। তেমনটা ঘটেনি।’
হৃতিক আরও যোগ করেন, ‘১৭ বছর বয়সে সালমান ও শাহরুখের অভিনয় দেখা আমার জন্য একটি বড় অভিজ্ঞতা ছিল। সর্বকালের সেরা প্র্যাকটিক্যাল অ্যাক্টিং স্কুল। আবার প্রেক্ষাগৃহে চলছে ছবিটি।’
রাকেশ রোশনের এই ব্লকবাস্টার ছবিটি ২২ নভেম্বর নতুন করে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে। প্রায় ৩০ বছর পর ছবিটি নিয়ে তাই নস্টালজিয়ায় ভেসেছেন হৃতিক।
এর আগে ইন্ডিয়া টুডেকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাকেশ রোশন জানিয়েছিলেন, পরিচালকের ছেলে হলেও সেটে বিশেষ খাতির পেতেন না হৃতিক। কপালে জুটত না আলিশান যাতায়াত কিংবা হোটেল। বাকি সহকারীদের সঙ্গেই তাকে থাকতে হতো।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।