বিনোদন ডেস্ক : চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার (৮ মার্চ) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এক সময়ের ব্যস্ত চিত্রনায়ক শাহীন আলম। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৮ বছর। মঙ্গলবার (৯ মার্চ) সকাল ১০টায় বনানী কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
শাহীন আলমের শেষ দুই ইচ্ছা পূরণ করা হয়েছে উল্লেখ করে তার ছেলে ফাহিম আলম বলেন, আব্বুর শেষ ইচ্ছা ছিল নিকেতন মসজিদে জানাজা এবং বনানী কবরস্থানে যেন উনাকে দাফন করা হয়। এফডিসি বা অন্য কোথায় জানাজার কথা উনি বলেননি। শুধু নিকেতন আর বনানীর কথাই বলেছেন।
ফাহিম আরও বলেন, এক সময় আব্বু অনেক ধর্মপ্রিয় মানুষ হয়ে গিয়েছিলেন। আল্লাহ ও রাসূলকে (সা.) খুব ভালোবাসতেন। সবসময় চাইতেন তার যেন মক্কায় মৃত্যু হয়, হজ করার ইচ্ছাও ছিল উনার। আর্থিক দিক থেকে আমরা শক্তিশালী ছিলাম না কিন্তু এবার উনাকে হজ করানোর জন্য মানসিক প্রস্তুত ছিলাম।
শাহীন আলমের দাফনে প্রথমে কিছুটা জটিলতা দেখা দিয়েছিল। তারপর মেয়রের অনুমতি নিয়ে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়। এ সময় চিত্রনায়ক ওমর সানী এবং শাহীন আলমের পরিবাবের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে বাদ ফজর নিকেতন মসজিদে তার জানাজা হয়। সেখানে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট কাউকে দেখা যায়নি।
ঢাকায় বেড়ে ওঠা শাহীন আলম শুরুতে মঞ্চে অভিনয় করতেন। ‘নতুন মুখের সন্ধানে’ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ১৯৮৬ সালে সিনেমায় পা রাখেন তিনি। ১৯৯১ সালে শাহীন অভিনীত ‘মায়ের কান্না’ সিনেমাটি মুক্তির পর নজরে আসেন তিনি। একসঙ্গে সাতটি সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হন শাহীন। এরপর দেড় শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন এ অভিনেতা।
শাহীন আলম অভিনীত সিনেমাগুলোর মধ্যে ‘ঘাটের মাঝি’, ‘এক পলকে’, ‘প্রেম দিওয়ানা’, ‘চাঁদাবাজ’, ‘প্রেম প্রতিশোধ’, ‘টাইগার’, ‘রাগ-অনুরাগ’, ‘দাগি সন্তান’, ‘বাঘা-বাঘিনী’, ‘স্বপ্নের নায়ক’, ‘আরিফ লায়লা’, ‘আঞ্জুমান’, ‘অজানা শত্রু’, ‘গরিবের সংসার’, ‘দেশদ্রোহী’, ‘আমার মা’, ‘পাগলা বাবুল’, ‘তেজী’, ‘শক্তির লড়াই’, ‘দলপতি’, ‘পাপী সন্তান’, ‘ঢাকাইয়া মাস্তান’, ‘বিগবস’, ‘বাবা’, ‘বাঘের বাচ্চা’, ‘বিদ্রোহী সালাউদ্দিন’, ‘তেজী পুরুষ’ ইত্যাদি অন্যতম।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।