লাইফস্টাইল ডেস্ক: এক সময় বাংলাদেশসহ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন গ্রামে পা দিলেই ‘ঠক্ঠক্…’ শব্দটা ভেসে আসত। রঙিন সুতো আর কাপড় মেলা থাকত প্রায় প্রতিটি বাড়ির উঠোনে। তবে এখন এ সবই অতীত।
কারখানায় তৈরি কম দামের ফ্যান্সি শাড়ির দাপটে বাজার হারাচ্ছে তাঁতের শাড়ি। মুখ থুবড়ে পড়েছে বাংলার তাঁতশিল্প। তার ওপর দুই বছর কোভিডের ভয়াবহ প্রভাবে বাংলার তাঁতিদের অবস্থা যেন আরও শোচনীয় হয়ে পড়েছে। মেশিনে তৈরি শাড়ির দাপটে কোথায় যেন হারিয়ে যেতে বসেছে হাতে বোনা শাড়ির মাহাত্ম্য। হালফিলে কম বয়সীদের মধ্যেও শাড়ি পরার ঝোঁক কমেছে। রোজের ব্যস্ততায় শাড়ি ছেড়ে জিন্স-টপ পড়তেই সকলে বেশি স্বচ্ছন্দ!
শাড়ি কী করে পরতে হয়, হয়ত জানেন না অনেক উঠতি বয়সী তরুণীই। তাঁদের জন্য ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকায় কিছু টিপস দিয়েছেন শাড়ি ড্রেপার ডলি জৈন।
শাড়ি পরার বিশেষ টোটকা
১) শাড়ি পরার সময় সেফটি পিনের জন্য অনেক ভালো শাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। ডলি জানিয়েছেন, সেফটি পিনে একটি মুক্তো ঢুকিয়ে নিলেই হবে সমস্যার সমাধান। মুক্তো না পেলে বোতাম, টিস্যু, টিপ দিয়েও হতে পারে মুশকিল আসান। শাড়িতে দুটোর বেশি পিন ব্যবহার না করাই ভালো।
২) সাবেকি পদ্ধতিতে শাড়ি না পরে জিন্সের সঙ্গে শাড়ি পরুন। ব্লাউজের বদলে পরুন ক্রপ টপ।
৩) যাঁরা মনে করেন, প্লিট করে শাড়ি পরলে মোটা লাগে, তাঁদের জন্য ডলি বলেন, আঁচল যত লম্বা রাখবেন, ততই আপনাকে দেখতেও লম্বা লাগবে। মোটা লাগবে না। প্লিট করে শাড়ি পরার সময় সব সময় খেয়াল করতে হবে যেন প্লিট কাঁধের বাইরে বেরিয়ে না যায়। প্লিট করে শাড়ি পরার সময় চওড়া পাড়ের শাড়ি এড়িয়ে চলাই ভালো।
৪) শাড়িতে যত কুঁচি পড়বে দেখতে ততই ভাল লাগে। এ ক্ষেত্রে শাড়িটি প্রথম কোথায় গুঁজছেন, তা গুরুত্বপূর্ণ। ডলির মতে, নাভি থেকে ডান দিকে সরিয়ে শাড়ির কোনা গুঁজতে শুরু করুন। তা হলেই বেশি কুঁচি পড়বে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।