আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মার্কিন মুলুকের জনগণের ভোটে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন জোসেফ বাইডেন। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের কাছ থেকে ইতোমধ্যেই শুভেচ্ছাবার্তা ও অভিনন্দন পেয়েছেন তিনি। তবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, চীনের শি জিন পিং, তুরস্কের রিসেপ তাইফ এরদোয়ান, ব্রাজিলের জাইর বলসোনারো, মেক্সিকোর আন্দ্রে মানুয়েল লোপেজ-রা এখনও শুভেচ্ছাবার্তা পাঠাননি বাইডেনকে।
২০১৬ সালে ট্রাম্প যখন ২৭০ ইলেক্টোরাল ভোটের গন্ডি ছুঁইয়ে ফেলেছেন, তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছিলেন পুতিন। তবে এবার বাইডেনের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত ফলাফল আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন বলে ক্রেমলিন দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে।
ক্ষমতায় থাকার ৪ বছরে বেশ কয়েকবার পুতিনের প্রশংসা করেছেন ট্রাম্প, যা দীর্ঘদিনের মার্কিন নীতিমালার বিপরীত। আর এর ফলে অনেকেই সন্দেহ করেন যে ট্রাম্পের জয়ী হবার পেছনে রাশিয়ার প্রভাব ছিল। তবে এবার বাইডেনের কাছ থেকে একই ধরনের সম্পর্ক প্রত্যাশা করতে পারেন না পুতিন।
অক্টোবরে এক সাক্ষাতকারে রাশিয়াকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ‘প্রধান হুমকি’ বলে উল্লেখ করেন বাইডেন। এর প্রত্যুত্তরে ক্রেমলিন দপ্তর থেকে জানানো হয় যে বাইডেনের এই বক্তব্যের সঙ্গে রাশিয়া একমত নয় আর এভাবে ‘রাশিয়ার প্রতি ঘৃণা ছড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র’।
২০১৬ সালে ট্রামপকে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছিলেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংও। এবং এরপর একরকমের ‘বন্ধুত্ব’ই গড়ে তুলেছিলেন তারা। যদিও পরবর্তীতে বাণিজ্য, প্রযুক্তি এবং সম্প্রতি কোভিড-১৯ কে কেন্দ্র করে সেই সম্পর্ক বিরোধপূর্ণ হয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতেও বাইডেনকে কিন্তু অভিনন্দন জানায়নি চীনা প্রেসিডেন্ট। সোমবার দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী কার্যালয় থেকে জানানো হয়- বাইডেন চূরান্ত পর্যায়ে জিতলে আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুসরণ করে তাকে অভিনন্দন জানাবে চীন।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে এরদোয়ানের বেশ প্রশঙ্গসাই করেছেন ট্রাম্প, বিশেষ করে একটি ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানকে সামাল দেওয়ার বিষয়ে। এমনকি তুরস্কে এরদোয়ানের জয়ের ব্যাপারেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ত্রাম্পের হাত আছে বলে উল্লেখ করেন কূটনীতিকরা। অর্থাৎ ট্রাম্পের আমলে রীতিমতো ‘যা চাই তাই পাই’ অবস্থা হয়েছিল এরদোয়ানের।
গতবছর নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক সাক্ষাৎকারে বাইডেন জানান, তুরস্কের ব্যাপারে তিনি কিছুটা ‘চিন্তিত’। তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করার চিন্তা করছেন বাইডেন- সেটা হতে পারে বিরোধী দল বা কুর্দদের সমর্থন।
বাইডেনের বিজয়ে চুপচাপ আছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোও, যাকে ‘ট্রপিকাল অঞ্চলের ট্রাম্প’ও বলা হয়। ২০২০ সালের নির্বাচনে ট্রাম্পই জয়ী হবে বলে ধরে নিয়েছিলেন বলসোনারো। ট্রাম্পের হারে একজন কূটনৈতিক বন্ধুকে হারিয়েছে বলসোনারো, কেননা এখন এমন একজন মার্কিন প্রেসিডেন্ট এসেছে যিনি মানবাধিকার ও পরিবেশের ব্যাপারে বেশি মনযোগ দিতে চলেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।