জুমবাংলা ডেস্ক : রামগঞ্জে শিক্ষকদের পরামর্শে স্টাইলিশ চুল বিসর্জন দিয়েছে অর্ধশতাধিক ছাত্র। স্কুলে ডাকা নাপিতের কাছে লাইনে দাড়িয়ে তারা চুল কাটিয়ে ছোট করে নিয়েছে। বুধবার দুপুরে রামগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
প্রধান শিক্ষক মো. সোহরাব হোসেন বলেন, ‘স্টাইলিশ চুল কাটানো ঠিক না, এতে ছাত্রদের চেহারার সৌন্দর্য ঢাকা পড়ে। এসব বিষয়ে শিক্ষকরা শ্রেণীকক্ষে বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন। কোন ছাত্রকে জোর করা হয়নি। শিক্ষকদের কথায় অনুপ্রাণিত হয়ে তারা মাথার চুল স্বাভাবিক রাখায় আমরা খুব খুশি।’
ধর্মীয় শিক্ষক গোলাম মাওলা বলেন, ‘ছাত্রদের চুল কাটানোর স্টাইল দেখে খারাপ লাগতো। রঙে-ঢঙে চুল না কাটতে আমরা তাদেরকে বুঝিয়েছি। তারা আমাদের কথা শুনেছে।’
সূত্র জানায়, স্কুলের ছাত্ররা বিভিন্ন মডেলকে দেখে তাদের স্টাইলে চুল কাটিয়েছিল। এতে তাদের খারাপ দেখা যায় বলে শিক্ষকরা জানান। এতে তাদের পরিবার ও বিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে বলেও আলোচনা হয়। অনেকে এ স্টাইলকে ‘বখাটে কাট’ বলে অবিহিত করেন। এ অবস্থায় বুধবার স্কুলে নাপিত ডেকে এনে তারা লাইনে দাঁড়িয়ে স্টাইলিশ চুল কেটে ফেলেছে।
রামগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও পৌরসভার সাবেক মেয়র বেলাল আহমেদ বলেন, ‘চুল কাটার মাধ্যমে ছাত্রদের চেহারার সৌন্দর্য ফুটে উঠে। শিক্ষকরা এ ব্যাপারে ছাত্রদের সচেতনতামূলক পরামর্শ দিয়েছেন। ছাত্রদের বোধদয় হয়েছে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।