আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। এসব বিক্ষোভ থেকে অনেক শিক্ষার্থীকে ধরপাকড়ের পর আরও জোরদার হয়েছে ফিলিস্তিনপন্থী এই আন্দোলন। খবর ডয়েচে ভেলে, মিডল ইস্ট মনিটর
জানা গেছে, আগের আন্দোলনকারীদের সঙ্গে নতুন করে যুক্তরাষ্ট্রের আরও দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন। এগুলো হল- রোড আইল্যান্ডের ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয় এবং সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। তারা গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির দাবি জানাচ্ছেন।
তবে ইসরায়েলপন্থীরা বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে ইহুদিবিদ্বেষের অভিযোগ এনেছে। বিক্ষোভকারীদের দমনের জন্য ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুসহ ইহুদি রাজনিতিকরা আহ্বান জানাচ্ছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানহাটন ক্যাম্পাসের মূল চত্বরে গত কয়েক দিন ধরে বিক্ষোভকারীরা জড়ো হচ্ছেন। সেখানে তারা সবুজ ভূমির ওপর তাবু স্থাপন করে গাজায় ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।
এ অবস্থায় কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট নেমাত মিনোচে শাফিক নিউইয়র্ক পুলিশকে ক্যাম্পাসে ডেকে আনেন। দাঙ্গা পুলিশ এক শ’রও বেশি শিক্ষার্থীকে আটক করে। আটককৃত শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার বিকালে ক্যাম্পাসে প্রচারিত একটি ইমেল বার্তায় শাফিক লিখেছেন, “আমি এই বিশেষ ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়েছি, কারণ এখানে একটি বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল।”
এদিকে, শিক্ষার্থীদের গ্রেফতারের পর সোমবার কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও শিক্ষার্থীদের সাথে সংহতি প্রকাশ করে ওয়াক-আউট করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃত্বের সমালোচনা করেছেন তারা।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সোমবার প্রথমে জানায়, ক্লাস অনলাইনে নেওয়া হবে। পরে বলা হয়, শিক্ষাবর্ষের বাকি সময়টা হাইব্রিড মডেলে ক্লাস হবে।
কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিলিস্তিনপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলোর প্লাটফর্ম কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি অ্যাপারথাইড ডাইভেস্ট তাদের ইনস্টাগ্রামে প্রতিবাদের বিষয়ে লিখেছে, “আমরা চাই, গাজায় ফিলিস্তিনিদের গণহত্যার বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদ যেন শোনা যায়।”
কলাম্বিয়ার এই প্রতিবাদ যুক্তরাষ্ট্রের আরও বিশ্ববিদ্যালয়েও ছড়িয়ে পড়েছে। নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়, ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়সহ আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবাদ করছেন শিক্ষার্থীরা।
কয়েকটি দেশ ফিলিস্তিনকে কেন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে চায় না?
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।