স্পোর্টস ডেস্ক : এরই মধ্যে আইপিএলের সবচেয়ে সফলতম দল মুম্বাই ইন্ডিয়ানস। টুর্নামেন্টের প্রথম ১২ আসরেই চারবার শিরোপা জিতে নিয়েছে রোহিত শর্মার নেতৃত্বাধীন দল। এবার ১৩তম আসরেও শিরোপার দ্বারপ্রান্তে মুম্বাই। ফাইনাল জিতে আইপিএলের ব্রাজিল তথা পঞ্চম শিরোপা জিততে তাদের প্রয়োজন ১৫৭ রান।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আইপিএলের ১৩তম আসরের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রান করেছে প্রথমবারের মতো ফাইনালে ওঠা দিল্লি ক্যাপিট্যালস। অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার ও উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান রিশাভ পান্তের ফিফটির পরেও দলীয় সংগ্রহ বড় হয়নি দিল্লির।
আইপিএলের ষষ্ঠ অধিনায়ক হিসেবে ফাইনালে ফিফটির দেখা পেয়েছেন শ্রেয়াস। ২০১৩ সালে মহেন্দ্র সিং ধোনি (চেন্নাই), ২০১৫ সালে রোহিত শর্মা (মুম্বাই), ২০১৬ সালে ডেভিড ওয়ার্নার (হায়দরাবাদ) ও বিরাট কোহলি (ব্যাঙ্গালুরু) এবং ২০১৭ সালে স্টিভেন স্মিথের (রাইজিং পুনে) পর এ কীর্তি গড়লেন শ্রেয়াস।
তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান রিশাভ পান্ত। মাত্র ২২ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর ৬৯ বলে ৯৬ রানের জুটি গড়েন পান্ত ও আইয়ার। মূলত এ জুটির কল্যাণেই লড়াই করার মতো পুঁজি পেয়েছে দিল্লি। যার ফলে ১৫৭ রান করলেই টানা দ্বিতীয় ও সবমিলিয়ে পঞ্চম শিরোপার স্বাদ পেয়ে যাবে মুম্বাই।
ফাইনালে দিল্লির ব্যাটিং দৈন্যতার শুরুটা হয়েছে মূলত ইনিংসের একদম প্রথম বলেই। ম্যাচের প্রথম ওভারের প্রথম বলেই দুই দলের পার্থক্যটা স্পষ্ট করে দেন মুম্বাইয়ের বাঁহাতি পেসার ট্রেন্ট বোল্ট। শুধু পার্থক্য গড়েছেন বললে ভুল হবে, রীতিমতো আইপিএল ইতিহাসেই অনন্য এক কীর্তির মালিক হয়েছেন বোল্ট।
ম্যাচের প্রথম ওভারের প্রথম বলেই তিনি সাজঘরে পাঠিয়ে দিয়েছেন দিল্লির অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার মার্কাস স্টয়নিসকে। আইপিএল ইতিহাসে ফাইনাল ম্যাচের প্রথম ওভারের প্রথম বলে উইকেট পাওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম। বোল্ট শুধু আজকের ম্যাচেই প্রথম ওভারে উইকেট নিলেন না, চলতি আসরে দিল্লির বিপক্ষে আগের তিন ম্যাচেও প্রথম ওভারে আঘাত হেনেছিলেন এ কিউই পেসার।
পরে বোল্টের আগুন থেকে রক্ষা পাননি তিন নম্বরে নামা আজিঙ্কা রাহানেও। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে স্টয়নিসের মতোই উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরের পথ ধরেছেন ৪ বলে ২ রান করা রাহানে। পাওয়ার প্লে’র মধ্যে বাঁহাতি ওপেনার শিখর ধাওয়ানের উইকেটও হারিয়েছে দিল্লি। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ধাওয়ান ১৩ বলে ১৫ রান করে আউট হয়েছেন চতুর্থ ওভারে।
চতুর্থ উইকেটে শক্ত প্রতিরোধ গড়েন শ্রেয়াস ও আইয়ার। পুরো আসরে ব্যাট হাতে অফফর্মে থাকা রিশাভ পান্টই মূলত শুরু করেন পাল্টা আক্রমণ। ক্রুনাল পান্ডিয়ার এক ওভারে হাঁকান জোড়া ছক্কা। তারপর আর পেছনে তাকাতে হয়নি তাকে। ইনিংসের ১৫তম ওভারে কাউল্টার নাইলের ওভারে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ৩৫ বলে ফিফটি পূরণ করেন পান্ত।
তবে নিজের ইনিংস বড় করতে পারেননি, ফিফটি করার পর আর একটি মাত্র চার মেরে সেই ওভারেই ফাইন লেগে হার্দিক পান্ডিয়ার হাতে ধরা পড়েন তিনি। আউট হওয়ার আগে ৪ চার ও ২ ছয়ের মারে ৩৮ বলে ৫৬ রান করেন পান্ত। তখন দিল্লির দলীয় সংগ্রহ ১৫ ওভার শেষে ৪ উইকেটে ১১৮ রান।
পান্ত আউট হলেও উইকেটে ছিলেন অধিনায়ক শ্রেয়াস। তবু শেষের পাঁচ ওভারে ঠিক প্রত্যাশামাফিক রান তুলতে পারেনি দিল্লি, এ সময়ে ৩ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৩৮ রান করতে পেরেছে তারা। আইপিএল ইতিহাসের ষষ্ঠ ক্যাপ্টেন হিসেবে ফাইনালে ফিফটি করে ৬৫ রানে অপরাজিত থাকেন আইয়ার। পঞ্চাশ বলের ইনিংসটিকে ৬ চার ও ২ চারের মারে সাজান দিল্লি অধিনায়ক।
মুম্বাইয়ের পক্ষে বল হাতে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন ট্রেন্ট বোল্ট। সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীর পার্পল ক্যাপের সন্ধানে থাকা বুমরাহ থাকেন উইকেটশূন্য। এছাড়া কাউল্টার নাইল ২ ও জয়ন্ত যাদবের শিকার ১ উইকেট।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।