বিনোদন ডেস্ক : ২০১৭ সালের নির্বাচনে ‘সভাপতি’ পদে শিল্পী সমিতির নির্বাচনে অংশ নিলেও মিশা সওদাগরের কাছে পরাজিত হন ওমর সানি। তার আগে তিনি দুইবার শিল্পী সমিতির কার্যকরী সদস্য, একবার ক্রীড়া ও প্রচার সম্পাদক এবং সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। আসন্ন নির্বাচনেও অংশ নিবেন তিনি।
জনপ্রিয় এই চিত্রনায়ক মনে করেন, এবার ‘সভাপতি’ পদ ছাড়া তার জন্য বিকল্প কোনো অপশন নেই। আমি প্যানেল থেকে নির্বাচন করবো। তবে প্যানেলের অন্যান্য পদে কারা থাকবেন এখনও ঠিক হয়নি।
ওমর সানি বলেন, শিল্পী সমিতি ভালোবাসার জায়গা। এটা টাকা-পয়সা কামানোর জায়গা না। কিন্তু কেউ কেউ শিল্পী সমিতিকে ব্যবহার করে টাকা-পয়সা কামানোর জায়গা করে ফেলেছে। আগামী নির্বাচনে সমিতি থেকে কামানো লাখ লাখ টাকা ঢালা শুরু করবে। সমিতি ও এই জায়গাটাকে ভালোবাসি। যারা টাকা ঢালবে তাদের সঙ্গে টক্কর দেয়াটা বেমানান দেখাবে।
ভোটারদের উদ্দেশ্যে ওমর সানি বলেন, যারা সমিতিকে ঢাল বানিয়েছে তাদের হঠাও। কারা ঢাল বানিয়ে সুযোগ সুবিধা নিয়েছে তাদের নামগুলো আমি বলতে চাইনা। যারা সমিতির সদস্য, ভোটার এবং বাংলা সিনেমার দর্শক তারা এ সম্পর্কে ভালো করেই জানে। তাই আমার চাওয়া ভালো একটা কমিটি আসুক। যারা ব্যক্তি স্বার্থে নয়, চলচ্চিত্রের কাজে শিল্পী সমিতিকে ব্যবহার করবে। আসল কথা হলো, যারা চলচ্চিত্রকে বাঁচাতে কাজ করবে।
সবশেষে ওমর সানি জানান, তিনি যেমন চলচ্চিত্রের সুদিনে ছিলেন, তেমনি খারাপ দিনেও পাশে আছেন, থাকবেন।
প্রসঙ্গত, গেল ২৪ মে ২০১৭-১৮ মেয়াদে নির্বাচিত শিল্পী সমিতির বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে। সমিতির গঠনতন্ত্রের ৮ নম্বর অনুচ্ছেদের (চ)-এ আছে, ‘পূর্ববর্তী কার্যকরী পরিষদের মেয়াদান্তে অতিরিক্ত ৯০ দিনের মধ্যে অবশ্যই নির্বাচন হইতে হইবে।’ সে হিসাবে আগামী ২৪ আগস্টের মধ্যে ২০১৯-২০-এর নির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু সেই নির্বাচনের তফসিল এখনো ঘোষণা হয়নি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।