জুমবাংলা ডেস্ক : শিশু চুরি করে ‘অনুতপ্ত’ হয়ে আবার নিজেই থানায় খবর পাঠিয়ে শিশুটিকে ফেরত দিলেন এক নারী। তবে পুলিশের ধারণা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা ও সামাজিক চাপে শিশুটিকে ফেরত দিতে বাধ্য হয়েছেন ওই নারী।
এদিকে সাতদিন পর হারানো তিন মাসের মেয়েকে খুঁজে পেয়ে আবেগে আপ্লুত পরিবার। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার মো. জাফর হোসেন বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে বিস্তারিত জানা যাবে।
গত ১৯ নভেম্বর তিন মাসের শিশু জোবাইদাকে আল্ট্রাসনোগ্রাম করার জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান তার মা ও নানী। সেখানে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রক্ত পরীক্ষা করতে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন শিশুটির মা ও নানী। টিকিট কাউন্টারে শিশুটির মা ব্যস্ত হয়ে পড়লে তখন নানীর কোলে ছিল সে।
এ সময় লাইনের পেছনে দাঁড়িয়ে থাকা বোরখা পরিহিত এক নারী শিশুটির নানীকে বলেন, ‘আপনি মুরুব্বি মানুষ, বাচ্চা কোলে রাখতে সমস্যা হলে আমাকে দেন, কোলে রাখি।’
ঠিক ওই সময় শিশুটির নানীর মোবাইল ফোন বেজে ওঠে। তখন মোবাইলে কথা বলছিলেন নানী। এই সুযোগে বোরখা পরিহিত ওই নারী শিশুটিকে কোলে নিয়ে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়। পরে শিশুটির মা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির পরও সন্তানকে না পেয়ে কোতোয়ালী থানায় যান।
সিসিটিটি ফুটেজে দেখা যায়, হাসপাতাল থেকে শিশুটিকে নিয়ে দ্রুত বের হয়ে যান বোরকা পরিহিত এক নারী।
এ ঘটনার ৭ দিন পর অভিযুক্ত ওই নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ, নাম ময়না বেগম। পুলিশ জানায়, শিশুটিকে চুরির পর প্রথমে কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়ায় স্বামীর বাড়িতে নিয়ে যান ময়না। এরপর সেখান থেকে খিলগাঁওয়ের ত্রিমোহনী এলাকায় নিয়ে গেলে স্থানীয়দের জেরার মুখে পড়েন অভিযুক্ত ময়না। পরে তাঁর ভাইয়ের মাধ্যমে পুলিশকে জানানো হয় ঘটনা।
লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার জাফর হোসেন বলেন, ওই নারীর দাবি, অপহরণ নয় ১৩ বছর নিঃসন্তান থাকায় মেয়েটিকে চুরি করেন তিনি। জনপরিসরে অভিভাবকদের সন্তানকে নিয়ে আরও সর্তক হওয়ার অনুরোধ জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।