
জুমবাংলা ডেস্ক : টাঙ্গাইলে শিশু শান্তা (১০) হতায় লোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছে আসামি মাজেদুর রহমান (২৫)। শুক্রবার আদালতে জবানবন্দিতে সে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।
জবানবন্দিতে মাজেদুর জানায়, বুধবার বিকালে তার লেবুক্ষেতের কাছে শিশু শান্তা আসে। তখন ধর্ষণের উদ্দেশ্যে শান্তার গলায় পেঁচানো ওড়না ধরে টান দেয়। শান্তা চিৎকার করার চেষ্টা করলে সে ওড়না টান দিয়ে ধরে রাখে। এক পর্যায়ে নিস্তেজ হয়ে পড়ে শান্তা। এরপর তাকে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে চলে যায়।
এদিকে বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শান্তাকে না পেয়ে তার স্বজনরা সব জায়গায় খুঁজতে থাকেন। পরে সদর উপজেলার মগড়া ইউনিয়নের চৌধুরী মালঞ্চ মিরপুর মধ্যপাড়া গ্রামে তাদের বাড়ির পাশে একটি কচুক্ষেতে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা।
খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। পরদিন বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। নিহত শান্তার ভাই সানি আলম বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে থানায় মামলা দায়ের করেন।
টাঙ্গাইল থানার ওসি মীর মোশারফ হোসেন জানান, লাশ উদ্ধারের পর ওই গ্রামের চারজনকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে আনোয়ার হোসেনের ছেলে মাজেদুর রহমান শিশু শান্তাকে হত্যার পর ধর্ষণের কথা স্বীকার করে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।