জুমবাংলা ডেস্ক : নওগাঁর মান্দায় এক শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে দারুল কোরআন মহিলা হাফেজিয়া মাদরাসার প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমানকে (৩৫) আটক করেছে পুলিশ। রবিবার দুপুরে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। তার আটকের সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় হৈচৈ পড়ে যায়।
আটক হাফিজুর রহমান কাশোপাড়া ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া কানাইপাড়া গ্রামের মোহর পেয়াদার ছেলে।
তিনি দীর্ঘ তিন বছর ধরে একক নেতৃত্বে ওই মাদরাসাটি পরিচালনা করে আসছেন। সেখানে ৫০ জন মেয়েশিশু পড়াশোনা করে।
গ্রামের বাসিন্দা গোলাম রাব্বানী জানান, মাদরাসাটি তিন বছর আগে প্রতিষ্ঠিত হলেও পরিচালনা কমিটি নেই। হাফিজুর রহমান একাই এটি পরিচালনা করেন। গ্রামের লোকজনকে তোয়াক্কাই করেন না। মাদরাসাটি কিভাবে পরিচালিত হয় তা-ও জানেন না তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার একাধিক নারী জানান, মাদরাসাটিতে পাঠদানের জন্য দুজন নারী শিক্ষক ছিলেন। রবিবার সকালে তারা মাদরাসার চাকরি ছেড়ে চলে যান। যাওয়ার আগে আশপাশের নারীদের কাছে দুই শিক্ষক বলেন, মাদরাসাপ্রধানের স্বভাব-চরিত্র ভালো না। এ জন্য তারা চাকরি ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। এরপর এলাকাজুড়ে কানাঘুষা শুরু হয়।
বোনের বাড়ি থেকে ফেরার পথে প্রাণ গেল আবহাওয়া কর্মকর্তার
ওই মাদরাসার এক শিক্ষার্থী জানায়, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে হুজুরের স্ত্রী বাবার বাড়িতে বেড়াতে যান। এই সুযোগে কেতাব শিক্ষার এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে শনিবার রাতে হুজুর খারাপ আচরণ করেন। হুজুর মাঝেমধ্যে তার গায়েও হাত দিতেন। ভয়ে কাউকে কিছুই জানাতে পারেনি সে।
মান্দা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হাবিবুর রহমান বলেন, বিষয়টি জানার পর অভিযান চালিয়ে মহিলা হাফেজিয়া মাদরাসার প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমানকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। ভিকটিমকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।