জুমবাংলা ডেস্ক : রংপুরে শিশু ধর্ষণের পর হত্যার ৮ বছর পরে ধর্ষক ও হত্যাকারীকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক আলী আহম্মেদ রবিবার দুপুরে এই আদেশ দেন। রায়ে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি আসামিকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।রায় ঘোষণার সময় আসামি কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
মামলা ও আদালতের পিপি সূত্রে জানা গেছে, পীরগঞ্জের ফতেপুর গ্রামের ৬ বছরের শিশু কন্যাটির বাবা-মা ঢাকায় গার্মেন্টেসে চাকরি করতো। শিশুটির দেখা শোনা করতো তার দাদি। শিশুটি স্থানীয় ব্র্যাক স্কুলে পড়তো। ২০১৩ সালের ১১ এপ্রিল আসামি হিরু মিয়া (২৫) শিশুটিকে তার বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে। এরপর শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ ঘরের ভেতর গর্ত করে পুতে রেখে লাশ গুম করে।
পরে নিহত শিশুর স্বজন ও এলাকাবাসী হিরুর বাড়িতে ঘর থেকে মাটি চাপা দেয়া অবস্থায় শিশুটির লাশ উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের চাচা খলিলুর রহমান বাদি হয়ে পীরগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন। পরে আসামি হিরু মিয়াকে গ্রেফতার করা হলে সে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সিরাজুল ইসলাম হিরু মিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ১৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা শেষে আদালত হিরু মিয়াকে ফাঁসির আদেশ দেন। সেই সাথে একলাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিশেষ পিপি তাইজুর রহমান লাইজু বলেন, সাক্ষ প্রমাণ শেষে বিচারক রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।