Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home শিশুদের আবেগ নিয়ন্ত্রণ শেখানো: কেন অপরিহার্য?
    লাইফস্টাইল ডেস্ক
    লাইফস্টাইল

    শিশুদের আবেগ নিয়ন্ত্রণ শেখানো: কেন অপরিহার্য?

    লাইফস্টাইল ডেস্কMd EliasJuly 23, 202514 Mins Read
    Advertisement

    গভীর রাত। ঢাকার একটি ফ্ল্যাটে দশ বছরের আরাফ কাঁদছে ভেঙে পড়ার মতো। কারণ? স্কুলের প্রজেক্টে তার দল জিততে পারেনি। তার কান্না ধীরে ধীরে রাগে রূপ নিলো, বই ছুড়ে ফেললো, ভাইকে ধাক্কা দিলো। তার মা হতভম্ব। শুধু আরাফ নয়, বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ শিশুর অভিভাবকদের মুখে একই প্রশ্ন: “কেন আমার সন্তান এত সহজে আবেগে ভেসে যায়? কীভাবে শেখাবো নিয়ন্ত্রণ?” এই প্রশ্নের উত্তর শুধু শান্তিপূর্ণ পরিবেশের জন্য নয়, একটি শিশুর ভবিষ্যৎ সুস্থতা, সাফল্য এমনকি তার মানবিক বিকাশের জন্য অপরিহার্য। শিশুদের আবেগ নিয়ন্ত্রণ শেখানো শুধু একটি প্যারেন্টিং টিপ নয়; এটি তাদের ভবিষ্যতের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জীবন দক্ষতা গড়ে তোলার প্রক্রিয়া।

    শিশুদের আবেগ নিয়ন্ত্রণ শেখানো

    • আবেগ নিয়ন্ত্রণ শেখানো কেন মৌলিক শিক্ষার অংশ হওয়া উচিত
    • শিশুরা কীভাবে শিখে: আবেগ নিয়ন্ত্রণের উন্নয়নমূলক ধাপসমূহ
    • অভিভাবক হিসেবে আপনি কীভাবে সাহায্য করতে পারেন: ব্যবহারিক কৌশল ও দৈনন্দিন অভ্যাস
    • স্কুল ও সম্প্রদায়ের ভূমিকা: একটি সমন্বিত প্রচেষ্টা
    • চ্যালেঞ্জ ও প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি: যখন বিষয়টি কঠিন মনে হয়
    • জেনে রাখুন (FAQs)

    আবেগ নিয়ন্ত্রণ শেখানো কেন মৌলিক শিক্ষার অংশ হওয়া উচিত

    আমাদের সমাজে প্রায়শই শিশুদের আবেগকে “ছোটখাটো বিষয়” বা “বড় হওয়ার সাথে সাথে ঠিক হয়ে যাবে” বলে উড়িয়ে দেওয়ার প্রবণতা রয়েছে। কিন্তু আধুনিক মনোবিজ্ঞান ও স্নায়ুবিজ্ঞান একদম ভিন্ন কথা বলে। শিশুদের আবেগ নিয়ন্ত্রণ শেখানো সরাসরি প্রভাব ফেলে তাদের মস্তিষ্কের গঠন, শিক্ষার ক্ষমতা, সামাজিক সম্পর্ক এবং দীর্ঘমেয়াদী মানসিক সুস্থতার ওপর।

    • মস্তিষ্কের বিকাশের চাবিকাঠি: প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্স (মস্তিষ্কের সামনের অংশ), যা যুক্তি, পরিকল্পনা এবং আবেগ নিয়ন্ত্রণের জন্য দায়ী, তা পুরোপুরি পরিণত হতে কিশোর বয়সের শেষ বা যৌবনের শুরুর দিক পর্যন্ত সময় নেয়। শৈশবেই যখন আমরা আবেগ নিয়ন্ত্রণের কৌশল শেখাই, তখন এই অঞ্চলটিকে শক্তিশালী করার জন্য সার্কিট গড়ে তোলা হয়। এটি একটি জিমে মাংসপেশি শক্তিশালী করার মতোই – যত বেশি অনুশীলন, তত বেশি শক্তিশালী সংযোগ। (সূত্র: Harvard University Center on the Developing Child)
    • শিক্ষাগত সাফল্যের ভিত্তি: যে শিশু রাগ বা উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না, সে ক্লাসে মনোযোগ দিতে, তথ্য মনে রাখতে বা সমস্যা সমাধানে বেশি সংগ্রাম করে। গবেষণায় দেখা গেছে, আবেগীয় বুদ্ধিমত্তা (Emotional Intelligence – EI) প্রায়শই একাডেমিক আইকিউ (IQ) এর চেয়ে ভালো ফলাফলের পূর্বাভাস দেয়। উদাহরণস্বরূপ, ঢাকার একটি নামকরা স্কুলে পরিচালিত অভ্যন্তরীণ সমীক্ষায় দেখা গেছে, যেসব শিক্ষার্থীকে সামাজিক-আবেগীয় শিক্ষা (SEL) প্রোগ্রামে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল, তাদের পরীক্ষার ফলাফল এবং শ্রেণিকক্ষে অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
    • সামাজিক সম্পর্কের সেতুবন্ধ: ভাবুন তো, যে শিশু তার খেলনা ভাগ করে নিতে না পারার রাগে সহপাঠীকে ধাক্কা দেয় বা কাদা ছোঁড়ে, তার বন্ধু তৈরি করা কতটা কঠিন হবে? আবেগ নিয়ন্ত্রণ শেখানো শিশুদের সহানুভূতি (Empathy) বিকাশে সাহায্য করে। তারা অন্যের অনুভূতি বুঝতে, শুনতে এবং যথাযথভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে শেখে। এটি বন্ধুত্ব, সহযোগিতা এবং দলগত কাজের ভিত্তি তৈরি করে।
    • দীর্ঘমেয়াদী মানসিক সুস্থতার রক্ষাকবচ: শৈশবকালে আবেগ নিয়ন্ত্রণের দক্ষতা না গড়ে উঠলে পরবর্তী জীবনে উদ্বেগ, বিষণ্নতা, আগ্রাসন, মাদকাসক্তি এমনকি আত্মহত্যার ঝুঁকি বাড়ে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এর মতে, বিশ্বব্যাপী ১০-২০% শিশু ও কিশোর-কিশোরী মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছে, যার অনেকগুলোর শিকড় রয়েছে আবেগ নিয়ন্ত্রণের অভাবে। (সূত্র: World Health Organization – Child Mental Health)
    • শারীরিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব: দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ, যা নিয়ন্ত্রণহীন নেতিবাচক আবেগ থেকে আসতে পারে, এটি শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে, ঘুমের সমস্যা সৃষ্টি করে এবং এমনকি বৃদ্ধি ও বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।

    সহজ কথায়: আবেগ নিয়ন্ত্রণ শেখানো মানে শুধু “কান্না থামানো” নয়। এটি শিশুকে তার অভ্যন্তরীণ জগতকে বোঝার, পরিচালনা করার এবং সেই শক্তিকে ইতিবাচকভাবে কাজে লাগানোর সামর্থ্য দান করা। এটি তাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রকে প্রভাবিত করে।

    শিশুরা কীভাবে শিখে: আবেগ নিয়ন্ত্রণের উন্নয়নমূলক ধাপসমূহ

    শিশুদের সাথে কাজ করার সময় (একজন মনোবিজ্ঞানী হিসেবে আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি), এই বিষয়টি সর্বদা মাথায় রাখতে হয় যে আবেগ নিয়ন্ত্রণের দক্ষতা রাতারাতি বা একইভাবে সব বয়সের শিশুদের মধ্যে বিকশিত হয় না। এটি একটি ধাপে ধাপে প্রক্রিয়া, বয়সের সাথে সাথে বিকশিত হয়:

    • শিশুকাল (০-২ বছর): এই পর্যায়ে শিশুরা তাদের শারীরিক সংবেদন (ক্ষুধা, ক্লান্তি, অস্বস্তি) এবং মৌলিক আবেগ (খুশি, দুঃখ, ভয়, রাগ) অনুভব করে কিন্তু সেগুলো নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা প্রায় নেই বললেই চলে। তারা শারীরিক প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে (কান্না, ধাক্কাধাক্কি, জড়িয়ে ধরা) প্রকাশ করে। এখানে “কো-রেগুলেশন” গুরুত্বপূর্ণ – অভিভাবকের শান্ত উপস্থিতি, সান্ত্বনা এবং প্রতিক্রিয়া শিশুকে ধীরে ধীরে নিজেকে শান্ত করার অভিজ্ঞতা দেয়। যেমন: শিশু কান্না করলে তাকে কোলে নিয়ে ধীরে ধীরে ঝুলানো, কোমল স্বরে কথা বলা।
    • প্রাক-বিদ্যালয় (৩-৫ বছর): আবেগের তীব্রতা বেশি থাকে। তারা “কেন” বা “কীভাবে” জিজ্ঞাসা শুরু করে। এখানেই আবেগের নামকরণ এবং সহজ কৌশল শেখানোর সোনালি সুযোগ। “আমি দেখছি তুমি খুব রেগে গেছো কারণ তোমার ভাই তোমার ব্লক নিয়ে গেছে, তাই না?” – এইভাবে আবেগ চিহ্নিত করা। সহজ শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম (“চার সেকেন্ড নাক দিয়ে শ্বাস নাও, চার সেকেন্ড মুখ দিয়ে শ্বাস ছাড়ো”), “রাগের বাক্সে” রাগের ছবি আঁকা, বা একটি নির্দিষ্ট “শান্ত কোরner” তৈরি করা কার্যকর হতে পারে। বাংলাদেশি প্রেক্ষাপটে, গল্প বা ছড়ার মাধ্যমেও আবেগ শেখানো যায় (যেমন: “রাগ করলে কেমন হয়, শান্ত হলে কেমন লাগে” নিয়ে ছড়া তৈরি করা)।
    • প্রাথমিক বিদ্যালয় (৬-১১ বছর): তারা আরও জটিল আবেগ (হিংসা, লজ্জা, অপরাধবোধ) অনুভব করে এবং অন্যের দৃষ্টিভঙ্গি বোঝার ক্ষমতা বাড়ে। সমস্যা সমাধানের কৌশল এবং সহানুভূতি শেখানোর আদর্শ সময়। “যদি তুমি মনে কর তোমার বন্ধু তোমার সাথে অন্যায় করেছে, তুমি কী করতে পারো? চিৎকার করবে নাকি শান্ত হয়ে বলবে তোমার কী লাগছে?” – এই ধরনের কথোপকথন গুরুত্বপূর্ণ। দলগত খেলার মাধ্যমে ধৈর্য্য, জয়-পরাজিত মেনে নেওয়া শেখানো যায়। বাংলাদেশে স্কাউটিং বা গার্লস গাইড কার্যক্রম এতে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে।
    • কৈশোর (১২-১৮ বছর): হরমোনের পরিবর্তন, সমবয়সীদের চাপ এবং পরিচয় খোঁজার সংগ্রাম আবেগকে তীব্র ও জটিল করে তোলে। তারা আরও স্বাধীনতা চায় কিন্তু মস্তিষ্কের পুরোপুরি বিকাশ না হওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এখানে জটিল আবেগ নিয়ে আলোচনা, স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট কৌশল (গভীর শ্বাস, মাইন্ডফুলনেস, শারীরিক ব্যায়াম), সীমানা নির্ধারণ এবং সহায়ক নেটওয়ার্ক (বিশ্বস্ত বন্ধু, পরিবারের সদস্য) গড়ে তোলার ওপর জোর দিতে হবে। অভিভাবকদের ভূমিকা পরামর্শদাতা এবং নিরাপদ আশ্রয়স্থলের হওয়া উচিত, নিয়ন্ত্রণকারীর নয়।

    মনে রাখবেন: প্রতিটি শিশুই অনন্য। বিকাশের গতি ভিন্ন হতে পারে। ধৈর্য্য ধরা এবং প্রতিটি ছোটো সাফল্যকে স্বীকৃতি দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

    অভিভাবক হিসেবে আপনি কীভাবে সাহায্য করতে পারেন: ব্যবহারিক কৌশল ও দৈনন্দিন অভ্যাস

    শিশুকে আবেগ নিয়ন্ত্রণ শেখানো শুধু তাকে শেখানো নয়, এটি একটি যৌথ অভিজ্ঞতা যেখানে আপনাকেও নিজের আবেগ নিয়ে পুনর্বিবেচনা করতে হতে পারে। ঢাকা কিংবা সিলেটের ব্যস্ত জীবনে এই কৌশলগুলো কিভাবে প্রয়োগ করবেন?

    1. আবেগকে বৈধতা দিন, আচরণকে সীমাবদ্ধ করুন: এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নীতি।

      • ভুল পদ্ধতি: “কাঁদো না, এটা তো কিছুই না!”, “ছেলেমানুষ হয়ে এত কাঁদিস কেন?” (আবেগকে অবমূল্যায়ন করা)।
      • সঠিক পদ্ধতি: “আমি বুঝতে পারছি তুমি খুবই মন খারাপ করেছ/রেগে গেছ কারণ…। এটা অনুভব করা ঠিক আছে। কিন্তু তোমার ভাইকে ধাক্কা দেওয়া/জিনিস ভাঙা ঠিক নয়।” এতে শিশু বুঝবে তার অনুভূতি গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু প্রকাশের কিছু উপায় গ্রহণযোগ্য নয়। চট্টগ্রামের এক মা তার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন: “আমার মেয়ে হেরে যাওয়ায় রাগ করলে আমি আগে বলতাম ‘এত রাগ করার কী আছে?’ এখন বলি, ‘হেরে গেলে রাগ হওয়াটা স্বাভাবিক। আমারও হয়। চলো শান্ত হয়ে ভাবি পরের বার কী করা যায়।’ তারপর তার রাগ অনেক তাড়াতাড়ি কমে।”
    2. আবেগের নাম শেখান ও ভাষা দিন:

      • “তোমার কি এখন রাগ লাগছে নাকি দুঃখ লাগছে নাকি ভয় লাগছে?”
      • “তোমার মুখ দেখে মনে হচ্ছে তুমি খুব উত্তেজিত!”
      • আবেগ চার্ট/কার্ড ব্যবহার করুন: বিভিন্ন মুখের অভিব্যক্তি দেখিয়ে আবেগের নাম শেখানোর জন্য ছবির কার্ড বা চার্ট তৈরি করুন বা কিনুন। বাংলাদেশে অনলাইনে বা বইয়ের দোকানে এমন চার্ট পাওয়া যায়।
      • গল্প ও বই ব্যবহার করুন: আবেগ নিয়ে লেখা শিশুদের বই (যেমন: “রাগী রাগী মেজাজ” বা “দুঃখের দিনে সুখের ফুল”) পড়ুন। গল্পের চরিত্রদের অনুভূতি নিয়ে আলোচনা করুন। “তুমি কি কখনো এমন অনুভব করেছ?”
    3. আপনিই প্রধান রোল মডেল: আপনার শিশু সবচেয়ে বেশি শেখে আপনার আচরণ দেখে।

      • আপনার নিজের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করুন: রাগান্বিত বা চাপে থাকার সময় কী করেন? চিৎকার করেন নাকি গভীর শ্বাস নেন? বলুন: “আমি এখন খুব রেগে গেছি। আমি নিজেকে শান্ত করার জন্য একটু হেঁটে আসছি/গভীর শ্বাস নিচ্ছি।”
      • আপনার অনুভূতি প্রকাশ করুন: “আজ অফিসে অনেক ব্যস্ত দিন ছিল, তাই আমি একটু ক্লান্ত/চিন্তিত বোধ করছি।” এতে শিশু বুঝবে আবেগ নিয়ে কথা বলা স্বাভাবিক।
      • ভুল স্বীকার করুন: যদি আপনি রেগে গিয়ে কিছু বলে ফেলেন যা বলা উচিত ছিল না, ক্ষমা চান। “আমি খুব রেগে গিয়ে তোমাকে যা বলেছি, সেটা বলা উচিত হয়নি। আমি দুঃখিত।”
    4. শান্ত হওয়ার কৌশল শেখান ও অনুশীলন করান:

      • গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস: সহজতম ও সবচেয়ে কার্যকর কৌশল। ফুল ফুলানো, বেলুন ফোলানোর খেলা বা “৫-৫-৭” নিয়ম (৫ সেকেন্ড শ্বাস নেওয়া, ৫ সেকেন্ড ধরে রাখা, ৭ সেকেন্ডে ছাড়া) শেখান।
      • শারীরিক সঞ্চালন: ছোট শিশুদের জন্য রাগের নাচ (ঝাঁকি দিয়ে নাচা), দৌড়ানো, বালিশে মুষ্ট্যাঘাত করা। বড় শিশুদের জন্য যোগব্যায়ামের সহজ আসন, দড়ি লাফ, বা হাঁটা।
      • শান্ত স্থান/কোণ (Calm Down Corner): ঘরে একটি ছোট জায়গা তৈরি করুন – নরম বালিশ, প্রিয় খেলনা, বই, স্ট্রেস বল রাখুন। এটা শাস্তির জায়গা নয়, শান্ত হওয়ার জায়গা। শিশুকে বলুন সে অনুভব করলেই সেখানে যেতে পারে। খুলনার এক বাবা বলেন, “আমার ছেলের ‘শান্ত গুহা’তে সে তার ডাইনোসর নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ খেলার পরেই সে নিজে থেকে বেরিয়ে এসে বলে ‘বাবা, এখন ভালো লাগছে।'”
      • সংবেদনশীল সরঞ্জাম: স্ট্রেস বল, ফিজি টিউবস, বালির বাক্স, চকচকে পাথর – যা স্পর্শ করলে শান্তি লাগে।
      • মাইন্ডফুলনেসের সহজ অনুশীলন: “চোখ বন্ধ করে ঘরের সব শব্দ শোনার চেষ্টা করো,” “একটি কিসমিস খুব ধীরে ধীরে খাও (কেমন গন্ধ? কেমন স্বাদ? কেমন অনুভূতি?)”। UNICEF এর ওয়েবসাইটে বাচ্চাদের জন্য সহজ মাইন্ডফুলনেস এক্সারসাইজ পাওয়া যায়। (সূত্র: UNICEF Parenting – Mindfulness for Children)
    5. সমস্যা সমাধান ও বিকল্প খোঁজার দক্ষতা গড়ে তুলুন: আবেগ শান্ত হওয়ার পর।

      • সমস্যাটি কী ছিল তা নিয়ে আলোচনা করুন।
      • সম্ভাব্য সমাধানগুলো নিয়ে ব্রেনস্টর্ম করুন (সব ধারণা স্বাগত, যুক্তিহীন হলেও!)।
      • প্রতিটি সমাধানের ভালো-মন্দ দিক নিয়ে কথা বলুন।
      • একটি সমাধান বেছে নিন এবং পরীক্ষা করে দেখুন। কাজ না করলে আরেকটি চেষ্টা করুন।
      • উদাহরণ: দুই ভাইবোন টিভি রিমোট নিয়ে ঝগড়া করছে। শান্ত হওয়ার পর সমাধান হতে পারে: টাইম শেয়ার করা, অন্য কারো সাহায্য নেওয়া, আজকে একজনের প্রোগ্রাম আগে দেখা ইত্যাদি।
    6. ইতিবাচক আচরণকে প্রশংসা ও পুরস্কৃত করুন: যখন শিশু কঠিন পরিস্থিতিতে শান্ত থাকার চেষ্টা করে বা আবেগ ভালোভাবে প্রকাশ করে, তখন তা লক্ষ্য করুন এবং প্রশংসা করুন।

      • “আজকে তুমি খুব রেগে গিয়েও চিৎকার করনি, গভীর শ্বাস নিয়েছো – আমি তোমার এই চেষ্টাটা খুব পছন্দ করলাম!”
      • “তোমার বোন কাঁদছিল দেখে তুমি তাকে তোমার খেলনা দিয়েছ – এটা খুব দয়ালু কাজ করেছ।”
    7. নিয়মিত রুটিন ও পর্যাপ্ত ঘুম/পুষ্টি: ক্লান্ত বা ক্ষুধার্ত শিশুদের পক্ষে আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। নিয়মিত খাওয়া-ঘুমানোর রুটিন মেনে চলুন। পুষ্টিকর খাবার (বিশেষ করে প্রক্রিয়াজাত খাবার ও অতিরিক্ত চিনি কম) মেজাজ স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে।

    বাস্তবতার মুখোমুখি: সব সময়ে যে শান্ত ও ধৈর্য্যশীল থাকা যাবে তা নয়। নিজে হতাশ বা রাগান্বিত হলে, শিশুকে নিরাপদে রেখে প্রথমে নিজেকে শান্ত করার সুযোগ নিন। “মা/বাবা এখন একটু শান্ত হতে চাই। একটু পর তোমার সাথে কথা বলব।” এটাও আপনি তাকে শেখাচ্ছেন – স্ব-যত্ন নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

    স্কুল ও সম্প্রদায়ের ভূমিকা: একটি সমন্বিত প্রচেষ্টা

    শিশুদের আবেগ নিয়ন্ত্রণ শেখানো শুধু পরিবারের দায়িত্ব নয়। স্কুল এবং বৃহত্তর সম্প্রদায়েরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে:

    • স্কুলে সামাজিক-আবেগীয় শিক্ষা (SEL) প্রোগ্রাম: বাংলাদেশে কিছু প্রগতিশীল স্কুল (বিশেষ করে ইংরেজি মাধ্যম ও কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠান) SEL কারিকুলাম অন্তর্ভুক্ত করছে। এতে শেখানো হয়:
      • আত্ম-সচেতনতা: নিজের আবেগ ও শক্তিগুলো চিহ্নিত করা।
      • আত্ম-ব্যবস্থাপনা: আবেগ, চিন্তা ও আচরণ নিয়ন্ত্রণ।
      • সামাজিক সচেতনতা: অন্যের প্রতি সহানুভূতি, বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি বোঝা।
      • সম্পর্কের দক্ষতা: স্পষ্টভাবে যোগাযোগ করা, সক্রিয়ভাবে শোনা, সহযোগিতা করা, দ্বন্দ্ব সমাধান।
      • দায়িত্বশীল সিদ্ধান্ত গ্রহণ।
      • SEL প্রোগ্রামগুলো দলগত কার্যকলাপ, ভূমিকা পালন, গল্পের আলোচনা ও প্রতিদিনের শ্রেণিকক্ষের মিথস্ক্রিয়ার মাধ্যমে শেখানো হয়। বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ও প্রাথমিক স্তরে জীবন দক্ষতা শিক্ষাকে গুরুত্ব দিচ্ছে। (সূত্র: National Curriculum and Textbook Board, Bangladesh)
    • কাউন্সেলিং সেবা: স্কুলে প্রশিক্ষিত কাউন্সেলরের উপস্থিতি আবেগ নিয়ন্ত্রণে সংগ্রামরত শিশুদের জন্য অমূল্য সহায়তা হতে পারে। তারা এক-একজন শিশুর সাথে কাজ করে, গ্রুপ থেরাপির আয়োজন করে এবং অভিভাবকদের পরামর্শ দেয়। তবে বাংলাদেশের বেশিরভাগ স্কুলে এই সুবিধা এখনও সীমিত।
    • শিক্ষক প্রশিক্ষণ: শিক্ষকদের SEL নীতিগুলো বোঝা এবং শ্রেণিকক্ষে আবেগ নিয়ন্ত্রণের কৌশল প্রয়োগ করার প্রশিক্ষণ দেওয়া প্রয়োজন। একজন শান্ত, সহানুভূতিশীল ও নিয়ন্ত্রিত শিক্ষকই শ্রেণিকক্ষের আবেগের জন্য সেরা রোল মডেল।
    • সম্প্রদায়ের সম্পদ: স্থানীয় কমিউনিটি সেন্টার, লাইব্রেরি বা সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো আবেগ নিয়ন্ত্রণ ও সামাজিক দক্ষতা শেখানোর কর্মশালা, গল্পের সময় বা খেলার আয়োজন করতে পারে। মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক এনজিওগুলো (যেমন: মনের বন্ধু, বাংলাদেশ মনোরোগ সমিতি) সচেতনতা ও পরামর্শ সেবা দিতে পারে।

    সহযোগিতার শক্তি: যখন পরিবার, স্কুল এবং সম্প্রদায় একসাথে কাজ করে আবেগ নিয়ন্ত্রণের শিক্ষা দেওয়ার জন্য, তখন শিশুরা সবচেয়ে বেশি উপকৃত হয়। তারা একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ বার্তা পায় এবং বিভিন্ন পরিবেশে তাদের দক্ষতা অনুশীলন করার সুযোগ পায়।

    চ্যালেঞ্জ ও প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি: যখন বিষয়টি কঠিন মনে হয়

    সব শিশু একই গতিতে বা একইভাবে শিখবে না। কিছু শিশু তাদের আবেগ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে পারে। এটা মানে আপনি ব্যর্থ নন। কিছু সাধারণ প্রতিবন্ধকতা ও করণীয়:

    • নিউরোডাইভার্সিটি (Neurodiversity): অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডার (ASD), অ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপারঅ্যাক্টিভিটি ডিসঅর্ডার (ADHD), উদ্বেগজনিত সমস্যা বা শেখার অক্ষমতাযুক্ত শিশুদের জন্য আবেগ নিয়ন্ত্রণ বিশেষভাবে কঠিন হতে পারে। তাদের মস্তিষ্ক তথ্য প্রক্রিয়া করে এবং আবেগ নিয়ন্ত্রণ করে ভিন্নভাবে।
      • কী করবেন: বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিন (শিশু মনোরোগ বিশেষজ্ঞ, ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট, বিশেষ শিক্ষা বিশেষজ্ঞ)। তারা শিশুর বিশেষ চাহিদা অনুযায়ী কৌশল ও সমর্থন দিতে পারবেন। প্রচলিত পদ্ধতি কাজ না করলে বিকল্প পথ খুঁজুন (ভিজ্যুয়াল শিডিউল, সোশ্যাল স্টোরিজ, সেন্সরি ডায়েট)। ধৈর্য্য ধারণ করুন এবং ছোটো ছোটো অগ্রগতিকে স্বীকৃতি দিন। ঢাকার শিশু বিকাশ কেন্দ্র বা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু মনোরোগ বিভাগে যোগাযোগ করা যেতে পারে।
    • ট্রমা বা প্রতিকূল অভিজ্ঞতা: যেসব শিশু নির্যাতন, অবহেলা, দারিদ্র্য, পারিবারিক অস্থিরতা বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হয়েছে, তাদের জন্য বিশ্বাস করা এবং আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হতে পারে। তাদের আবেগপ্রবণতা বা আবেগকে আটকে ফেলা একটি অভিযোজিত প্রতিক্রিয়া হতে পারে।
      • কী করবেন: নিরাপদ ও পূর্ণবিকাশমূলক সম্পর্ক সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। পেশাদার থেরাপির প্রয়োজন হতে পারে (ট্রমা-সংবেদনশীল থেরাপি)। ধারাবাহিকতা, পূর্বানুমানযোগ্যতা এবং নিরাপত্তার পরিবেশ তৈরি করুন। চাপ দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। UNICEF ও Save the Children এর মতো সংস্থাগুলো বাংলাদেশে ট্রমায় ক্ষতিগ্রস্ত শিশুদের জন্য সহায়তা প্রদান করে।
    • অভিভাবকীয় ক্লান্তি ও হতাশা: ক্রমাগত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা, বিশেষ করে যদি আপনার নিজের মানসিক স্বাস্থ্য বা সহায়তা ব্যবস্থা দুর্বল থাকে, তা ক্লান্তিকর হতে পারে।
      • কী করবেন: নিজের যত্ন নিন। সহায়তা চান (জীবনসঙ্গী, পরিবার, বন্ধু)। নিজের জন্য বিরতি নিন। পেশাদার সাহায্য নিতে দ্বিধা করবেন না (কাউন্সেলিং)। মনে রাখবেন, আপনি একা নন। অনলাইন প্যারেন্টিং ফোরাম বা স্থানীয় সহায়তা গ্রুপে যোগ দিতে পারেন।

    সাহায্য চাওয়ার সংকেত: যদি আপনার শিশুর আবেগ নিয়ন্ত্রণের সমস্যা তার দৈনন্দিন জীবন (খাওয়া, ঘুমানো, স্কুলে যাওয়া, বন্ধুত্ব), পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা বা তার নিজের নিরাপত্তাকে (আত্ম-ক্ষতির চিন্তা বা আচরণ) মারাত্মকভাবে ব্যাহত করে, অবিলম্বে একজন শিশু মনোরোগ বিশেষজ্ঞ বা ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্টের পরামর্শ নিন।

    শিশুদের আবেগ নিয়ন্ত্রণ শেখানো কোনো গন্তব্য নয়, এটি একটি যাত্রা। প্রতিটি হতাশা, প্রতিটি অশ্রু, প্রতিটি “আমি পারছি না” এর ভেতরেও শেখার সুযোগ লুকিয়ে থাকে। এটি শুধু শৃঙ্খলা নয়, প্রেম, ধৈর্য্য ও গভীর বোঝাপড়ার মাধ্যমে তাদের ভেতরের সেই শক্তিকে জাগিয়ে তোলা, যা তাদের ভবিষ্যতের ঝড়েও দাঁড় করিয়ে রাখবে। যখন আপনার শিশু শিখবে তার রাগকে ভাষায় প্রকাশ করতে, দুঃখকে আলিঙ্গনে সান্ত্বনা দিতে, ভয়কে সম্মান জানিয়ে এগিয়ে যেতে, তখন আপনি শুধু একটি দক্ষতা শিখাচ্ছেন না, আপনি তাকে গড়ে তুলছেন একজন স্থিতিস্থাপক, সহানুভূতিশীল এবং পূর্ণাঙ্গ মানুষ হিসেবে। আজই একটি গভীর শ্বাস নিন, আপনার সন্তানের চোখের দিকে তাকান, এবং এই অপরিহার্য যাত্রায় পা বাড়ান। তাদের ভবিষ্যতের সাফল্য ও সুখ এই দক্ষতার ওপরই দাঁড়িয়ে আছে।


    জেনে রাখুন (FAQs)

    ১. শিশুদের আবেগ নিয়ন্ত্রণ শেখানোর সঠিক বয়স কোনটি?
    আবেগ নিয়ন্ত্রণের ভিত্তি জন্মের পরপরই শুরু হয় অভিভাবকের “কো-রেগুলেশন” (সহ-নিয়ন্ত্রণ) এর মাধ্যমে। তবে সচেতনভাবে নামকরণ ও সহজ কৌশল শেখানো শুরু করা যায় প্রাক-বিদ্যালয় বয়স (৩ বছর) থেকে। দক্ষতা ধাপে ধাপে বিকশিত হয় এবং কৈশোর পর্যন্ত এর উন্নয়ন ও পরিমার্জন চলতে থাকে। কখনোই খুব বেশি দেরি হয়ে যায় না।

    ২. আমার শিশু খুবই আবেগপ্রবণ (Temper Tantrums) করে। আমি কী করব?
    প্রথমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। সম্ভব হলে উপেক্ষা করুন (যদি নিরাপদ থাকে)। আবেগকে বৈধতা দিন (“তুমি খুব রেগে গেছো, বুঝতে পারছি”) কিন্তু আক্রমণাত্মক আচরণকে থামান (“কিন্তু মারতে পারবে না”)। শান্ত হওয়ার পর তার সাথে কথা বলুন ও বিকল্প উপায় শেখান। ট্যানট্রাম প্রতিরোধে নিয়মিত রুটিন, পর্যাপ্ত ঘুম/খাবার এবং সতর্ক সংকেত (ক্লান্তি, ক্ষুধা) চিনতে পারা গুরুত্বপূর্ণ।

    ৩. আবেগ নিয়ন্ত্রণ শেখালে কি শিশু আবেগপ্রবণতা হারিয়ে ফেলবে?
    একদমই না! আবেগ নিয়ন্ত্রণ শেখানো মানে আবেগ দমন করা বা হারিয়ে ফেলা নয়। এটি অনুভূতিকে স্বীকৃতি দেওয়া কিন্তু সেগুলোকে এমনভাবে প্রকাশ করা শেখা যাতে তা নিজের বা অন্যের ক্ষতি না করে। লক্ষ্য হলো আবেগকে বোঝা, মেনে নেওয়া এবং ইতিবাচক ও উৎপাদনশীল উপায়ে পরিচালনা করা।

    ৪. স্কুলে যদি আমার সন্তানের আবেগ নিয়ন্ত্রণে সমস্যা হয়, আমি কীভাবে শিক্ষকদের সাথে কাজ করব?
    শিক্ষকের সাথে খোলামেলা আলোচনা করুন। আপনার সন্তানের চ্যালেঞ্জগুলো এবং বাড়িতে কোন কৌশলগুলো কাজ করছে তা জানান। স্কুলে একই রকম সমর্থন (যেমন: শান্ত হওয়ার ছোট বিরতি, ভিজ্যুয়াল রিমাইন্ডার) দেওয়ার জন্য অনুরোধ করুন। শিক্ষক কী লক্ষ্য করছেন তা জানতে চান। একসাথে একটি পরিকল্পনা তৈরি করুন। স্কুল কাউন্সেলরকে জড়িত করুন।

    ৫. বাংলাদেশে শিশু মনোরোগ বিশেষজ্ঞ বা কাউন্সেলরের সাহায্য কোথায় পাব?
    বড় শহরগুলোতে (ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, সিলেট) ভালো অপশন আছে:

    • বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (BSMMU), ঢাকা – শিশু মনোরোগ বিভাগ।
    • জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, ঢাকা।
    • বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতাল (অ্যাপোলো, ইউনাইটেড, স্কয়ার ইত্যাদি)।
    • প্রাইভেট প্র্যাকটিস করা শিশু মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ও ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট।
    • মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক এনজিও (যেমন: মনের বন্ধু, বাংলাদেশ মনোরোগ সমিতি) পরামর্শ দিতে পারে।
      অনলাইন কাউন্সেলিং প্ল্যাটফর্মও বিকল্প হতে পারে।

    ৬. আমি নিজেও রেগে যাই। কীভাবে আমার আবেগ নিয়ন্ত্রণ করব যাতে সন্তানের জন্য ভালো উদাহরণ হতে পারি?
    এটা খুবই সাধারণ। প্রথম ধাপ হলো নিজের ট্রিগার (যে ঘটনাগুলো রাগ সৃষ্টি করে) চিনতে পারা। যখন রেগে যাচ্ছেন বুঝতে পারলে, নিজেকে বিরতি দিন (“আমি এখন খুব রাগ করছি, একটু শান্ত হয়ে আসি”)। গভীর শ্বাস নিন, পানি পান করুন, অন্য ঘরে যান। পরে সন্তানের কাছে আপনার অনুভূতি ব্যাখ্যা করুন এবং ক্ষমা চান যদি কিছু বলে থাকেন। নিজের যত্ন নিন (ব্যায়াম, পর্যাপ্ত ঘুম, শখ) এবং প্রয়োজনে পেশাদার সাহায্য নিন। নিজের প্রতি দয়ালু হোন।


    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    অপরিহার্য আবেগ কেন নিয়ন্ত্রণ, লাইফস্টাইল শিশুদের শিশুদের আবেগ নিয়ন্ত্রণ শেখানো শেখানো
    Related Posts
    ফ্যাটি লিভার

    ফ্যাটি লিভার থেকে বাঁচতে যেসব খাবার খাবেন

    July 24, 2025
    নিরাপদ থাকুন: অনলাইন শপিংয়ে ঠকাবেন না যেভাবে

    নিরাপদ থাকুন: অনলাইন শপিংয়ে ঠকাবেন না যেভাবে

    July 24, 2025
    কিশোরীদের স্বাস্থ্য সচেতনতা

    কিশোরীদের স্বাস্থ্য সচেতনতা:সুস্থ ভবিষ্যতের বুনিয়াদ

    July 24, 2025
    সর্বশেষ খবর
    Ryan Murphy JFK Jr. series

    Ryan Murphy’s JFK Jr. Series Sparks Explosive Feud with Kennedy Grandson

    LG QNED93

    LG QNED93 Mini LED TV Review: Gaming Powerhouse Challenges OLED Dominance

    Sony HT-S2000

    Sony’s Budget Dolby Atmos Soundbar Deal Delivers Quality Audio

    China visa free

    China Expands Visa-Free Transit to Indonesia: 10-Day Stays Now Available at 60 Ports

    snoop dogg raising canes

    Snoop Dogg Surprises Fans at Raising Cane’s Drive-Thru

    Sengoku Dynasty console release date

    Sengoku Dynasty Console Release Date Locked for August 21 with Major Pre-Order Discount

    student visa social media requirement

    US Mandates Public Social Media Profiles for Student Visa Applicants: Privacy Experts Sound Alarm

    South Park Trump episode

    South Park’s Trump-Satan Episode Ignites Controversy and Fan Acclaim

    JBL Flip 6 Discount: Five-Star Predecessor to Flip 7 Now Cheaper

    JBL Flip 6 Discount: Five-Star Predecessor to Flip 7 Now Cheaper

    Mauro Icardi DM scandal

    Natasha Rey Leaks Mauro Icardi Private Content on Instagram

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    • Feed
    • Banglanews
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.