লাইফস্টাইল ডেস্ক: সুষম খাদ্য নিশ্চিত করলেই শিশুর স্বাস্থ্য যে ভালো হবে তা কিন্তু নয়। সুষম খাদ্য শিশুর মস্তিস্কের সুস্বাস্থ্যও নিশ্চিত করে। তবে সুষম খাদ্য শুধুমাত্র দৈহিক বিকাশেই সহায়ক এই ধারণা একদম ভুল। আদর্শ খাবার মানসিক বিকাশেও ব্যাপক অবদান রাখে। মস্তিস্কের সুষ্ঠু তদারকি খাবারের বণ্টনের মাধ্যমেই নিশ্চিত করা সম্ভব। চলুন জেনে আসি:
ডিম
ডিম আমাদের অনেকেরই প্রিয় খাবার৷ বিশেষত প্রোটিনের উৎস হিসেবে ডিমের সুনাম সুবিদিত। শুধু যে প্রোটিনের উৎস হিসেবেই ডিম উপাদেয় তা কিন্তু না। ডিমে কোলিন নামক একটি উপাদান পাওয়া যায়। এই কোলিন স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক৷ আপনার শিশুকে স্কুলে যাওয়ার আগে প্রচুর সবজি এবং ডিম খাওয়ান৷
পিনাট বাটার
আমাদের দেশে পিনাট বাটারের চল এতটা বাড়েনি। জ্যাম দিয়ে অনেকে নাস্তা করান। তাছাড়া পিনাট বাটারের দামও বেশ চড়া৷ তবে পিনাট বাটারে ভিটামিন-ই এবং প্রচুর এন্টি অক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। এই উপাদানগুলো নার্ভ মেমব্রেন গঠনে সাহায্য করে। এছাড়াও মস্তিস্কের কার্যকারীতা বৃদ্ধিতে গ্লুকোজের জোগানও দেয়৷ তাই নাস্তাতে পিনাট বাটার সারাদিনের ধকল কাটাতে সাহায্য করবে।
ওটস
মেয়েদের কাছে ওটস বেশ প্রিয় একটি নাম৷ তবে শিশুদের মানসিক বিকাশে ওটস একটি ভালো খাদ্য। ওটসে হোলগ্রেইন পাওয়া যায়৷ এতে ভিটামিন-ই এবং বি কমপ্লেক্স পাওয়া যায়। বিশেষত এতে আছে জিংক বা শিশুদের মস্তিস্কের বিকাশে সাহায্য করে। এছাড়াও ওটস শিশুর পেট ভরাতে সাহায্য করে। তাই আজেবাজে স্ন্যাকসের হাত থেকেও বাঁচার পদ্ধতি হতে পারে ওটস।
দুধ ও দই
ওই যে একটা গান আছে না? দুধ না খেলে, হবে না ভালো ছেলে। সেটা ছেলে কিংবা মেয়েই হোক – দুধের অনেক উপাদান মস্তিস্কের নিউরোট্রান্সমিটার, এনজাইম এবং টিস্যু গঠনে সাহায্য করে৷ এতে ভিটামিন ডি ও পাওয়া যায়। লো ফ্যাট দুধ কিংবা দই সবসময় মস্তিস্কের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।