জুমবাংলা ডেস্ক : রিকশাচালক সোলেমান মিয়া (৬০)। গায়ে ভারি জ্যাকেট, হ্যান্ড গ্লাভস ও কানটুপি পরিহিত; মঙ্গলবার রাত সোয়া ১০টায় লালবাগ চৌরাস্তার সামনে দিয়ে তিনজন যাত্রী নিয়ে যাচ্ছিলেন। একটু যানজটে পড়তেই দু’হাত জ্যাকেটের ওপর চেপে ধরে রাখলেন।
পাশের এক রিকশাচালক হেঁকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘চাচা মিয়া, শীত কেমন।’ প্রশ্নোত্তরে বৃদ্ধ বললেন, ‘কনকনে ঠাণ্ডা, মনে হয় গায়ে কেউ সুই ঢুকাচ্ছে। এ কারণে তিনজন যাত্রী লইয়া রিকশা টাইননাও গরম অইতে পারতাছি না।’
হঠাৎ করে মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে রাজধানী ঢাকায় শীত জেঁকে বসেছে। ঠাণ্ডা বাতাসে শীতকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। মঙ্গলবার রাতে সরেজমিনে রাজধানীর ধানমন্ডি, লালবাগ ও রমনা থানা এলাকা ঘুরে দেখা গেছে শীতের কারণে রাস্তা-ঘাটে মানুষের উপস্থিতি তুলনামূলক কম।
যারা প্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের হয়েছেন তারা সকলেই ভারী শীতের পোশাক পরে বের হয়েছেন। হঠাৎ শীত আসায় বিপদে পড়েছেন ভাসমান দরিদ্র মানুষ। রাস্তার পাশে পলিথিনের তৈরি ঘরে তাদেরকে শীতে কষ্ট করতে দেখা যায়।
কাগজ ও কাঠের টুকরো কুড়িয়ে আগুন জ্বালিয়ে শরীর গরম করার চেষ্টা করছিলেন কেউ কেউ। রাত ১০টার পরও ভ্যানগাড়িতে গরম পোশাক কিনতে মানুষকে ভিড় জমাতে দেখা যায়।
এদিকে মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাতটা থেকে পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। পশ্চিম/উত্তর পশ্চিম দিক থেকে ঘন্টায় আট থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে। রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ছয়টায় তাপমাত্রা ছিল ২৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৭৯ শতাংশ। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামীকাল (বুধবার) সূর্যোদয় ভোর ৬টা ৩৪ মিনিট ও সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।