জুমবাংলা ডেস্ক : প্রাণঘাতী করোনায় দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ রয়েছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ইতোমধ্যে আগামী ৬ আগস্ট পর্যন্ত নতুন করে এই বন্ধ বাড়ানো হয়েছে। গত ১৫ জুন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। যার ফলে ছুটির সময় শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এমনকি ঘরে বসেই শিক্ষার্থীদের অনলাইনে পাঠদানের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষা মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ঠ একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, শিক্ষার্থীদের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে অনলাইনে শুক্রবারসহ সাতদিন ক্লাস নেয়ার চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে।
শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার সময় কমেছে ৮০ শতাংশ। মাত্র ১৬ শতাংশ শিক্ষার্থী টেলিভিশনে ‘ঘরে বসে শিখি’ ও ‘আমার ঘরে আমার স্কুল’ এই দুটি অনুষ্ঠান দেখছে এবং ১ শতাংশ শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাসে অংশগ্রহণ করেছে। যারা টিভি ক্লাসে অংশগ্রহণ করছে তারা আবার টেলিভিশনে ক্লাস অনুসরণ করাকে বেশ কঠিন বলে মনে করছে।
সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত এমন প্রতিবেদন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগে যেখানে গ্রামের শিক্ষার্থীরা দিনে স্কুল, কোচিং ও বাড়িতে নিজেদের পড়ালেখা মিলে ১০ ঘণ্টা ব্যয় করত, এখন তা নেমে এসেছে মাত্র ২ ঘণ্টায়, অর্থাৎ ৮০ শতাংশ সময় কমেছে পড়াশোনার। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের আগে যেখানে ৪ শতাংশ শিক্ষার্থী ২ ঘণ্টার বেশি আয়মূলক কাজে জড়িত ছিল এখন তার হার দাঁড়িয়েছে ১৬ শতাংশে। এই তথ্যগুলো গ্রামের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে পাওয়া গিয়েছে। শহরের বস্তি এলাকাও চিত্রটা মোটামুটি একইরকম সেক্ষেত্রে হিসাবটা অনেকাংশেই সঠিক।
সে ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের স্বার্থ ও পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে টানা সাত দিনই ক্লাস নেয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী ৬০ শতাংশ পাঠ্যসূচি দিয়ে বার্ষিক পরীক্ষা নেয়া হতে পারে। সে বিষয়ে মন্ত্রণালয় পুনর্বিবেচনা করবেন।
এদিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ‘আমার ঘরে আমার স্কুল’ শিরোনামে সংসদ টেলিভিশনে ক্লাস চলছে এবং ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও ক্লাস আপলোড করা হচ্ছে। এছাড়া, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ‘ঘরে বসে শিখি’ শিরোনামে সংসদ টেলিভিশনে ভিডিও ক্লাস চলছে। এই নামে একটি ওয়েব পোর্টালও ডেভেলপ করা হচ্ছে।
এছাড়া দীর্ঘ ছুটির কারণে সাধারণ এলাকার পাশাপাশি পাহাড়ি এলাকা, চরাঞ্চল ও হাওরসহ দুর্গম এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের আওতায় আনারও চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি কমিউনিটি রেডিও’র মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রমের আওতায় আনার চিন্তাভাবনা হচ্ছে। তবে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি কমিয়ে এবং ক্লাস বাড়িয়ে ক্ষতি পূরণ করার কথা ভাবছে সরকার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।