জুমবাংলা ডেস্ক : এবারে শুদ্ধি অভিযানের ঘোষণা দিলো নির্বাচন কমিশন। রোহিঙ্গাদের ভোটার করার প্রক্রিয়া খোদ নির্বাচন কমিশনের একের পর এক সম্পৃক্ততা পাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত বলে জানায় ইসি সচিবালয়। তদন্তের অগ্রগতি বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে কমিশনার আরও জানান, সার্ভার সুরক্ষায় নেয়া হচ্ছে আরও ৫ ধাপে প্রযুক্তিগত নিরাপত্তা।
রোহিঙ্গাদের ভোটার করার প্রক্রিয়ায় সবচেয়ে বেশি সন্দেহে রয়েছে নির্বাচন কমিশনের চাকুরিচ্যুত ও চাকরি ছেড়ে দেয়া টেকনিক্যাল এক্সপার্টরা। সন্দেহে রাখা হয়েছে, বর্তমান টেকনিক্যাল এক্সপার্টদেরও। আর জালিয়াত চক্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে স্বয়ং কমিশনের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার।
সোমবার দুপুরে ইসি সচিবালয় তদন্তের অগ্রগতি বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায়, এবার নির্বাচন কমিশনে শুদ্ধি অভিযান পরিচালনা করা হবে বলেও জানান হয়।
জাতীয় পরিচয়পত্র অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুর ইসলাম বলেন, আমরা শুদ্ধি অভিযানে নেমেছি। আমরা চাই, আমাদের মধ্যে সে যেই হোক, তাকে খুঁজে বের করবো। যে কোন পদ মর্যাদার ব্যাক্তিবর্গ হোক। এখানে যদি বিভাগীয় মামলা করতে হয়, আমরা বিভাগীয় মামলা করবো। ফৌজদারি মামলা করতে হলে তা আমরা করবো। যারা ইতিপূর্বে চাকরি চ্যুত, তাদের কঠোর নজরদারির মধ্যে রাখার জন্য আমরা গোয়েন্দাদের সহযোগিতা গ্রহণ করবো।
সার্ভার সুরক্ষায় নেয়া হচ্ছে আরও ৫ ধাপে প্রযুক্তিগত নিরাপত্তা। ডিজি বলেন, চট্টগ্রামের ভোটারদের যাচাই-বাছাইয়ের আওতায় আনা হবে নতুন করে।
তিনি বলেন, এই ডাটাবেজ এনআইডিকে সুরক্ষিত করার জন্য, যা যা পদক্ষেপ প্রয়োজন আমরা তা করবো। নজরদারিতে থাকবে দেশের সব ক’টি অঞ্চল। এনআইডি কর্মকর্তাদের দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদককে স্বাগত জানানো হবে বলেও জানান তিনি। ভিডিও : সময়টিভি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।