আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনাভাইরাসের প্রকোপ কমে যাওয়ায় থাইল্যান্ডের পর্যটন শিল্প আবার চাঙা হয়ে উঠছে। তবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে এখন অনেকেই যাচ্ছেন শুধু গাঁজা সেবন করতে। কিন্তু দেশটি জানিয়েছে, তারা এমন পর্যটক আর চায় না।
বুধবার (১৭ আগস্ট) থাইল্যান্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রী আনুতিন চারনভিরাকুল বলেছেন, ‘‘শুধু গাঁজা সেবন করতে আসেন এমন পর্যটক আমরা চাই না। আমরা আর তাদের স্বাগত জানাতে চাই না।’’
এক প্রতিবেদনে এ কথা জানিয়েছে জার্মান ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলের বাংলা সংস্করণ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৮ সালে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে চিকিৎসার প্রয়োজনে পরিমাণ মতো গাঁজা সেবন বৈধ ঘোষণা করে থাইল্যান্ড। পরে দেশটি গাঁজা বিষয়ক নীতিমালাও প্রণয়ন করে। নীতিমালায় দেশের ওষুধ শিল্পকে ঘিরে ৭৯০ মিলিয়ন ডলারের গাঁজা শিল্প গড়ে তোলার পরিকল্পনার কথা বলা হয়।
এরপর ২০১৯ সালে রেকর্ডসংখ্যক প্রায় চার কোটি পর্যটক ঢোকে দেশটিতে। তবে করোনাভাইরাসের কারণে ২০২০ সালে দেশটিতে পর্যটক যেতে পারেনি, ২০২১ সালে গিয়েছিল মাত্র চার লাখ ২৮ হাজার জন।
তবে এ বছর গাঁজার বিষয়ে আরেও “উদার” হয়েছে থাই সরকার। গত জুনে গাঁজাকে পুরোপুরি বৈধতা দেওয়া হয়। ফলে অনেক দোকানেই এখন গাঁজা পাওয়া যায়। কোনো কোনো দোকানে “স্মোকিং রুমে” বসে সেবনও করা যায়।
এ বছর গাঁজাসেবী পর্যটক এতটাই বেড়েছে যে ইতোমধ্যে এ বিষয়ে কঠোর হওয়ার কথা ভাবতে শুরু করেছে সরকার। বেশিমাত্রায় সেবন করার ফলে নেশাগ্রস্ত হয়ে নানা ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করছেন কেউ কেউ।
থাইল্যান্ডে প্রকাশ্যে ধূমপান করলে তিনমাসের কারাদণ্ড বা ৭০৫.৮২ ডলার জরিমানার বিধান রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।