স্পোর্টস ডেস্ক: অবশেষে রানের দেখা পেলেন দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। তার ব্যাটে চড়েই ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৮০ রান তুলেছে ঢাকা প্লাটুন। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৪ রান করেন তামিম। তার ইনিংসটি ৫৩ বলে ৬টি চার ও ৪টি ছক্কায় সাজানো।
লম্বা সময় পর বিপিএলের মধ্য দিয়ে পেশাদার ক্রিকেটে ফিরেছেন তামিম। কিন্তু খেলায় ফিরেও হারানো সেই ফর্ম ফিরে পাননি। চলতি বিপিএলে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মাত্র ৫ রানে আউট হন তিনি। লম্বা সময় ধরে বাজে ফর্মে থাকায় দেশসেরা এ ওপেনারকে নিয়ে কম সমালোচনা হয়নি। শুক্রবার বিপিএলে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নেমে সেই সমালোচনার জবাব দিলেন ঢাকা প্লাটুনের এ ওপেনার। ফর্মে ফেরায় দর্শকরাও খুশি।
শুক্রবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সপ্তম আসরের ষষ্ঠ ম্যাচে মুখোমুখি হয় কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স ও ঢাকা প্লাটুন।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা ঢাকা শুরুতেই ধাক্কা খেয়েছিল। স্কোরবোর্ডে কোনো রান যুক্ত হওয়ার আগেই মুজিব-উর-রহমানের বলে ‘ডাক’ মেরে ফিরেন এনামুল হক বিজয়। তামিমের সঙ্গে জুটি জমে উঠতেই ১২ রান করে আবু হায়দার রনির বলে আল আমিনের তালুবন্দি হন ১২ রান করা মেহেদি হাসান। তৃতীয় উইকেটে কাঙ্খিত জুটির দেখা পায় ঢাকা। লরি ইভান্সের সঙ্গে ৭৫ রানের দারুণ জুটি গড়েন তামিম। ইভান্স ২৪ বলে ২৩ রানে আউট হলে এই জুটির অবসান হয়। কিন্তু তামিমকে থামায় কার সাধ্যি?
শুরুটা ধীরগতির হলেও সময়ের সঙ্গে তা কাটিয়ে ওঠেন। এক পর্যায়ে ৪০ বলে ৩ চার ৩ ছক্কায় তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। এরপরেও তরবারির মতো চলছিল তার ব্যাট। সঙ্গী থিসারা পেরেরাও স্বভাবসুলভ মারকুটে ব্যাটিং করছিলেন। আবু হায়দারের করা ১৬তম ওভারে টানা ৪ বাউন্ডারি এবং ১ ছক্কা হাঁকান তিনি। পরের ওভারে দাসুন শানাকাকে একটি করে চার-ছক্কা মেরে সাব্বির রহমানের তালুবন্দি হন তামিম। শেষ হয় ৫৩ বলে ৬ চার ৪ ছক্কায় ৭৪ রানের গোছানো ইনিংস। শহিদ আফ্রিদি ৪ রানে আউট হলেও পেরেরা খেলেন ১৭ বলে ৭ চার ১ ছক্কায় ৪২ রানের ইনিংস।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।